• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় সেপ্টেম্বরে’


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৯, ২০১৮, ০৫:০৯ পিএম
‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় সেপ্টেম্বরে’

ঢাকা: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হত্যা মামলার বিচারিক আদলতের রায় আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেয়া সম্ভব হবে। রায়টি হলে দেশ আরো একটি দায় থেকে মুক্তি পাবে।

রোববার (১৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লা‌বের ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বি‌দেশ থে‌কে ফি‌রি‌য়ে এনে বিচা‌রের রায় কার্যকর এবং ২১ আগস্ট গ্রে‌নেড হামলার দ্রুত বিচা‌র’ দা‌বি‌তে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ৫২ আসামির মধ্যে ১৭ জন পলাতক। এ মামলায় আদালতে ২২৫ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ ছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ দেয়া হয়েছে।

আনিসুল হক ব‌লেন, বিশেষ আদালতে চলা মামলায় এখন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের যুক্তিতর্ক চলছে, এই মাসেই তার যুক্তিতর্ক শেষ হবে। এরপরই তা রায়ের জন্য রাখা হবে।

তিনি আরো বলেন, এই রায় হলে বর্তমান সরকার সব হত্যা মামলার বিচার করবে। এমনকি বিএন‌পি চাইলে জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার ও করে দিবেন আইনের শাসনে বিশ্বাসী বর্তমান সরকার।

আইনমন্ত্রী ব‌লেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে নির্বাচন হবে। কোনো দল নির্বাচনে আসবে কি আস‌বে না সে জন্য নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে এটা হতে পারে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তখনকার বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েকশ নেতাকর্মী।

মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার ভাগনে সাইফুল ইসলাম ডিউক, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নান, সাবেক সাংসদ শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আবদুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলামসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!