• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

২৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া হবে: মিয়ানমার


নিউজ ডেস্ক জানুয়ারি ১৫, ২০১৮, ১০:৩৮ পিএম
২৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া হবে: মিয়ানমার

ঢাকা: মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে দেশটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে যে রোহিঙ্গা মুসলিম ও হিন্দু শরণার্থী মিয়ানমারে ফিরবেন তাদের আশ্রয়ের জন্য একটি শিবির নির্মাণের কাজ আগামী সপ্তাহে শেষ হবে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এ শিবিরের কাজ শেষ হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে শুরু হওয়া দেশটির সেনাবাহিনীর রক্তাক্ত অভিযান, জ্বালাও-পোড়াও, ধর্ষণে সাড়ে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ প্রথমে অস্বীকার করা হলেও আন্তর্জাতিক চাপে পরে স্বীকার করে নেয়। তবে গত সপ্তাহে সংখ্যালঘু ১০ রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যায় দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা জড়িত বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

গত ডিসেম্বরের শুরুতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কর্মকর্তা জেইদ রা’দ আল হুসেইন বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক এবং পরিকল্পিত নিপীড়নের ধরন দেখে এটিকে গণহত্যা না বলে পারা যায় না।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে গত বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সহিংসতায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরানোর লক্ষ্যে ডিসেম্বরে দুই দেশের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়।

মিয়ানমারের সামাজিক কল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ে বলেন, রাজধানী নেইপিদো বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে মিয়ানমার। বাংলাদেশ থেকে কতসংখ্যক রোহিঙ্গা ফেরত নেয়া হবে এবং তাদের কীভাবে যাচাই-বাছাইয়ের পর শিবিরে আশ্রয় দেয়া হবে সেব্যাপারে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।

আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে এ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মিয়ানমারের এ মন্ত্রী। উইন মিয়াত আয়ে বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে আমরা শরণার্থীদের ফেরত নেয়ার কাজ শুরুর পরিকল্পনা করছি। আশা করছি, সঠিক সময়েই এ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!