• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘২৪ ঘণ্টায় ২৪ বার ধর্ষিত হয়েছি’


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ১৭, ২০১৭, ১২:৫৬ পিএম
‘২৪ ঘণ্টায় ২৪ বার ধর্ষিত হয়েছি’

ঢাকা: ইয়াজিদি নারীদের ওপর আইএস জঙ্গিদের অত্যাচারের কথা নতুন নয়। ইরাকের ইয়াজিদ অধ্যুষিত এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে হাজার হাজার নারীকে ধরে নিয়ে গিয়ে তাদের যৌনদাসী করে রেখেছে বছরের পর বছর।

সম্প্রতি তাদের ডেরা থেকে পালিয়ে আসা বেশ কিছু নারী সংবাদমাধমে তাদের প্রতি লোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ফাতিমা (ছদ্মনাম)। ১৪ বছরের এই কিশোরীর বয়স যখন ১২ তখন তার বাবা মাকে হত্যা করে তাদরে গ্রাম থেকে তুলে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। 

নিউ ইয়র্ক টাইসের প্রতিবেদনে বলা হয় ফাতিমাকে যেখানে নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছিল সেখানে প্রথমে তার কুমারিত্ব পরীক্ষা করা হয়। এরপর একটি বিশাল আকার ঘরের মধ্যে প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশ জন নারীর সঙ্গে তাকেও রাখা হয়। এর পর যখন সন্ধ্যা হয় তখন পাশের একটি ঘর যেখানে সুন্দর সোফা, সুসজ্জিত বিছানা ও পরিপাটি ঘরে নেয়া হয়। এর লম্বা দাড়িওয়ালা একজন ৫০ বছর বয়সের মানুষ আসে এবং বলে তাকে তার কাছে বিক্রি করা হয়েছে। 

তার সঙ্গে যৌনমিলন করতে হবে। লোকটিকে দেখেই কাঁপছিল ফাতিমা। অনেক কান্নাকাটি ও ধস্তা ধস্তির পরও তাকে ছেড়ে দেয়নি লোকটি। এই অপরাধে পরদিন তাকে ২৪ বার ধর্ষণ করা হয়। তার ভাষায়, ‘আমাকে পরপর ৫ বার ধর্ষণের পর আমি অর কিছু বলতে পারিনা। পরে ওদের কথায় জানতে পারি আমাকে সারা দিনে ২৪ বার ধর্ষণ করেছে।’

নারীদের ওপর হওয়া এমনই কিছু অত্যাচারের কথা জানিয়েছে- খোদ অত্যাচারিত অনেক নারী। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সের মেয়েরা তাদের কাছে মণি-মানিক্যের থেকেও দামি। পরিণত বয়সে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করার আগেই, ছোটবেলাতেই বিক্রি করে দেয়া হয় এদের।

ইয়াজিদি নারী এবং শিশুদের অপহরণ করার পর তাদের অবর্ণনীয় কুমারিত্ব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় নির্দিষ্ট জায়গায়। তারপর পরীক্ষার ফলাফলই তাদের মূল্য ধার্য করে দেয়, আর সেই অনুযায়ীই তাদের পাঠানো হয় বিভিন্ন জায়গায় যৌনদাসী হিসেবে।

এই অত্যাচার থেকে বাঁচতে যেসব নারী নিজেদের সৌন্দর্য নানাভাবে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে, তাদের ভাগ্যে আরো নির্যাতন জোটে। তাদের প্রিয়জন, পরিবারের সদস্য অথবা স্বামী-পুত্রকে চোখের সামনে নির্মমভাবে হত্যা করে এই জঙ্গিরা।

বারবার ধর্ষণের শিকার হয়ে এমনই এক নারী আগুণের ওপর ঝাঁপ দেয়, নিজের সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য। যৌন কার্যে সম্মতি না দিলে, অকথ্য অত্যাচারের শিকার হতে হয় তাদের। এমনকি লোহার খাঁচার মধ্যে তাদের ঢুকিয়ে পুড়িয়ে মারার ও খবর জানা গেছে।

সোনালীনিউজ/ঢকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!