• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

২৪ নভেম্বরের মধ্যে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি চূড়ান্তের নির্দেশ


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ৭, ২০১৬, ০৯:০৭ পিএম
২৪ নভেম্বরের মধ্যে বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি চূড়ান্তের নির্দেশ

ঢাকা: আগামী ২৪ নভেম্বরের মধ্যে অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি চূড়ান্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৭ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ৯ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই সময় বেঁধে দেন।

বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি মো. নিজামুল হক এবং বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

মামলাটি রবিবার (৬ নভেম্বর) শুনানির পর সোমবারের কার্যতালিকায় আদেশের জন্য রাখা হয়েছিল। সে অনুযায়ী আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের কার্যতালিকার শীর্ষেই ছিল আবেদনটি। সকাল ৯টায় আদালতের কার্যক্রম শুরুর পরই অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আট সপ্তাহের সময় প্রার্থনা করেন।

এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, ‘এর আগে আমরা দুই মাসের বেশি সময় দিয়েছি, এর মধ্যে আপনারা বিধি তৈরি করতে পারেননি।’ জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রস্তুতকৃত বিধিমালাটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। আইনমন্ত্রী দেশের বাইরে আছেন, বিধি চূড়ান্ত করে গেজেট আকারে জারি করতে সময় প্রয়োজন।

শুনানি শেষে আদালত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেন। আদালত বলেন, ‘শেষবারের মতো সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে বিধি চূড়ান্ত করে গেজেট আকারে জারি করবেন।’ এর আগে বিধি প্রণয়নসংক্রান্ত এই মামলার শুনানি হয় গত ২৮ আগস্ট। সেদিনই ৬ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুরি, নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা বিধান এবং চাকরির অন্য শর্তাবলী) বিধিমালা-২০০৭ অনুযায়ী পৃথক শৃঙ্খলাবিধি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ১৯৮৫ সালের গভর্নমেন্ট সার্ভিস রুলসের অধীনে থাকার কথা বলা হয়েছে অধস্তন আদালতের বিচারকদেরও। ১৯৯৯ সালে মাসদার হোসেন মামলার রায়ে বিচারকদের পৃথক শৃঙ্খলাবিধির নির্দেশনা থাকলেও সে বিধি এখনো তৈরি হয়নি।

মাসদার হোসেন মামলার রায় ঘোষণার আট বছর পর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করা হয়।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!