• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

২৮ বছর পর মা ও দুই মেয়ের পুনর্মিলন!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ২৩, ২০১৬, ০৬:১৭ পিএম
২৮ বছর পর মা ও দুই মেয়ের পুনর্মিলন!

হাতের ছয় আঙুল চিনিয়ে দিল ছোট মেয়েকে৷ তা নাহলে ডিএনএ টেস্ট করাতে হত৷  অবশেষে জন্মের পর প্রথমবারের মতো মাকে আবেগে জড়িয়ে ধরলেন দুই মেয়ে৷ ২৮ বছরের ব্যবধান৷ এতদিনের অদেখায় মেয়েদের মুখ ভুলেই গিয়েছিলেন নাজিয়া সাইদ৷ হায়দরাবাদ নিবাসী এই নারীর সঙ্গে তাঁর দুই কন্যার যোগাযোগ করাল পুলিশ৷

৬০ বছরের নাজিয়া সাইদ তাঁর মেয়ে আয়েশা ও ফাতিমাকে ১৯৮৮ সালে শেষবার দেখেছিলেন৷ তখন তিনি দুবাইয়ে স্বামী ওবেদ মাসমেরির সঙ্গে থাকেন৷ স্বামীর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী হয়ে প্রবল অশান্তির মধ্যে জীবন কাটত৷ পরপর কন্যা সন্তান হওয়ায় নাজিয়াকে তালাক দিয়ে ভারতে পাঠিয়ে দেয় তার স্বামী৷ আর দুই মেয়ে আয়েশা ও ফাতিমাকে জোর করে নিজের কাছেই রেখে দেয়৷ দেশে ফেরার কয়েকবছর পর নাজিয়ার সঙ্গে কর্ণাটকের এক ফল ব্যবসায়ীর বিয়ে হয়৷ এই পক্ষে দুই পুত্র ও এক কন্যার মা তিনি৷

এদিকে দুবাইতে বড় হওয়া আয়েশা ও ফাতিমা কোনোভাবেই মাকে ভুলতে পারেনি৷ দীর্ঘ অপেক্ষার পর তারা ভারতে আসে৷ হায়দরাবাদে পৌঁছে নাজিয়া সাইদের খোঁজে পুলিশের সাহায্য চায়৷ সঙ্গে ছিল মায়ের ছবি৷ পুলিশ সেই নারীর ছবি হায়দরাবাদের পুরনো এলাকার সব থানায় পাঠিয়ে দেয়৷ অনেক খুঁজে মেলে নাজিয়া সাইদের ঠিকানা৷ পুলিশের কাছে সব শুনে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন নাজিয়া সাইদ৷ দুবাইতে ছেড়ে আসা তার দুই কন্যার মুখ মনেই ছিল না৷ শুধু জানতেন তাঁর ছোট মেয়ের এক হাতে ৬টি আঙুল ছিল৷ সেটা জানতে পেরে হায়দরাবাদ পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ কার হয় আয়েশা ও ফাতিমার সঙ্গে৷ এবার ফাতিমা জানান তাঁর হাতে ৬টি আঙুল ছিল৷ কয়েক বছর আগে সেটি অপারেশন করে বাদ দিয়েছেন৷ আবার হায়দরাবাদে আসেন আয়েশা ও ফাতিমা  দেখা হয় তাদের মায়ের সঙ্গে৷

কত বড় হয়ে গেছে মেয়েরা! ভাবতেই পারছেন না মা নাজিয়া৷ ২৮ বছর পর মেয়েদের কাছে পেয়ে আপ্লুত তিনি৷ উচ্ছ্বসিত দুই মেয়ে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন হায়দরাবাদ পুলিশকে৷ সূত্র: কলকাতা

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!