• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

৪,৬৪,৫৫৩ কোটি টাকার বিল পাস


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৩০, ২০১৬, ০৫:৫৮ পিএম
৪,৬৪,৫৫৩ কোটি টাকার বিল পাস

সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের তুমুল করতালির মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট পাস করা হয়। আগামী ০১ জুলাই থেকে এই বাজেট কার্যকর হবে।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত দায় মিলিয়ে মোট ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৫৩ কোটি ৯৭ লাখ ২৫ হাজার টাকার নির্দিষ্টকরণ বিল পাস করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নির্দিষ্টকরণ বিল ২০১৬ উত্থাপন করেন। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার যৌথ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়। এ সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ উপস্থিত ছিলেন।

নতুন অর্থবছরের বাজেটের ওপর সংসদে উত্থাপিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খাতের উপর ৫৫টি দাবির বিপক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মোট ৪২০টি ছাটাই প্রস্তাব আনা হয়। এতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ৬ জন এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের ৩ জন আলোচনা করেন। মোট ৭টি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা হয়, বাকিগুলো সরাসরি ভোটে গৃহিত হয়।

এর আগে দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়।

গত ২ জুন সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। এরপর ৮ জুন থেকে প্রস্তাবিত বাজেটের সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয়  নেতা বেগম রওশন এরশাদসহ অধিকাংশ সংসদ সদস্যরা পক্ষে-বিপক্ষে নানা যুক্তিতর্ক উত্থাপন করেন। গত ২৯ জুন সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া রপ্তানি খাতে উৎস কর কমানো হয়। এর বাইরেও কয়েকটি বিষয়ে সংশোধনী আনা হয়।

এটি ছিলো অর্থমন্ত্রী আবুল মালু আবদুল মুহিতের ১০ম বাজেট এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের ৮ম বাজেট এটি। দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেটও এটি। এই বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ধারাকে আরোও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ সরকারের নীতি  নির্ধারক সংসদ সদস্যরা।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের পাস হওয়া বাজেটের আকার ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। যেখানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর ব্যবস্থা থেকে আদায় করা হবে ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা।

এনবিআর বহির্ভূত কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ২৫০ কোটি টাকা এবং কর বহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। বিদেশি অনুদান ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা। এ অনুদান পাওয়া গেলে সরকারের মোট আয় হবে ২ লাখ ৪৮ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে মোট অনুন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে অনুন্নয়ন রাজস্ব ব্যয় হবে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা। এ অনুন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৩৮ হাজার ২৪০ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ দেয়া হবে ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকা। মূলধনী ব্যয় ২৬ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা। ঋণ ও অগ্রিম বাবদ ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা।

এছাড়া উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) হচ্ছে ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এডিপি বাস্তবায়নে সরকারের অর্থায়ন ৭০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা নেয়া হবে ৪০ হাজার কোটি টাকা। এডিপি বহির্ভূত প্রকল্প ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। এছাড়া কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!