• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৪৫ বছরে ১২ সিইসি: ইদ্রিস থেকে হুদা


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭, ০৬:০১ পিএম
৪৫ বছরে ১২ সিইসি: ইদ্রিস থেকে হুদা

ঢাকা: স্বাধীনতার পর ৪৫ বছরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ১১ জন। এ তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন সাবেক সচিব কেএম নুরুল হুদা। এ নিয়ে সিইসির সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ জনে।

অনেক তর্ক-বিতর্কের পর সার্চ কমিটির দেয়া নামের ভিত্তিতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি (২০১৭) দেশের ১২তম সিইসি হলেন কে এম নুরুল হুদা। তিনি ১৯৭১ সালে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশকে হানাদার মুক্ত করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ১৯৭৩ সালে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) প্রশাসন ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ পান।

নতুন সিইসি নুরুল হুদা ছাড়া আগের ১১ জন সিইসি হয় বিচারপতি বা সেনা কর্মকর্তা, নয়ত কোনো সিএসপি অফিসার ছিলেন। কিন্তু এবারই প্রথম স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের প্রশাসন ক্যাডারের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা সিইসি হিসেবে নিয়োগ পেলেন। এটি ইতিহাসেরই অংশ। 

এক নজরে বাংলাদেশের সিইসিরা

১. বিচারপতি মো. ইদ্রিস
দেশের প্রথম সিইসি বিচারপতি মো. ইদ্রিস। তিনি ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান। ৫ বছর সাংবিধানিক এ পদে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৭৭ সালের ৭ জুলাই অবসরে যান।

২. বিচারপতি এ.কে.এম. নুরুল ইসলাম
বিচারপতি মো. ইদ্রিসের স্থলাভিষিক্ত হন বিচারপতি এ কে এম নুরুল ইসলাম। ১৯৭৭ সালের ৮ জুলাই তিনি এই পদে নিয়োগ পান। ৭ বছর ৭ মাস দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিদায় নেন। সাংবিধানিক এ পদে ৫ বছর দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও সেনা সমর্থিত সরকারের আমলে তিনি ২ বছর ৭ মাস বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেন।

৩. বিচারপতি চৌধুরী এ.টি.এম. মাসুদ
দেশের তৃতীয় সিইসি হলেন বিচারপতি চৌধুরী এটিএম মাসুদ। তিনি দায়িত্ব পালন শুরু করেন ১৯৮৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। ৫ বছর দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯০ সালের ১৭ ফেব্রয়ারি দায়িত্ব শেষ করেন।

৪. বিচারপতি সুলতান হোসেন খান
চতুর্থ সিইসি বিচারপতি সুলতান হোসেন খান।। এরশাদ সরকারের শেষ সময়ে তিনি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান। তবে বেশি দিন এ পদে স্থায়ী হতে পারেন নি।

৫. বিচারপতি মো. আবদুর রউফ
পঞ্চম সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি মো. আব্দুর রউফ। তার অধীনেই দেশের প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচন হয়। এরশাদ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে তার অধীনেই নির্বাচনে অংশ নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিএনপি। তবে তিনিও এ পদে বেশি দিন স্থায়ী হতে পারেন নি। মেয়াদ শেষের আগেই তাকে বিদায় নিতে হয়।

৬. বিচারপতি এ কেএম সাদেক
ষষ্ঠ সিইসি বিচারপতি এ কে এম সাদেক। বিএনপি সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া এই সিইসির অধীনেই ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হয়। এরপর ফিরে আসে কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি।

৭. মোহাম্মদ আবু হেনা
মোহাম্মদ আবু হেনা ১৯৯৬ সালের ৯ এপ্রিল সপ্তম সিইসি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব পালন শেষে বিদায় নেন ২০০০ সালের ৮ মে।

৮. এম এ সাইদ
অষ্টম সিইসি এম এ সাইদ তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০০০ সালের ২৩ মে নিয়োগ পান। তার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। তিনি বিদায় নেন ২০০৫ সালের ২২ মে।

৯. বিচারপতি এম.এ. আজিজ
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় ২০০৫ সালের ২৩ মে সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি এম এ আজিজ। আওয়ামী লীগ সরকারের আন্দোলনের মুখে ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি বিদায় নেন। 

১০. ড. এটিএম শামসুল হুদা
সেনা সমর্থিত ফখরুদ্দিন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি দেশের দশম সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান ড. এটিএম শামসুল হুদা। তার অধীনে নির্বাচন করে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। বিদায় নেন ২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি।

১১. কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ
২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দেশের একাদশতম সিইসি হিসেবে নিয়োগ পান কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ। ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ৫ বছর মেয়াদ শেষ করে দায়িত্ব শেষ করেন। তার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে। যদিও ওই নির্বাচনে বিএনপিসহ ২০ দল অংশ নেয়নি।

১২. কে এম নুরুল হুদা
এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক সচিব কে এম নুরুল হুদা। আসছে ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি শপথ নেবেন। তার অধীনে ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এক নজরে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের ১২ সিইসি

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!