• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘৫ জানুয়ারি’ ঘিরে ফের রাজনৈতিক উত্তাপ


বিশেষ প্রতিনিধি ডিসেম্বর ৩১, ২০১৭, ০৬:২০ পিএম
‘৫ জানুয়ারি’ ঘিরে ফের রাজনৈতিক উত্তাপ

ঢাকা: গতবারের মতো এবারও নতুন বছরের শুরুতেই রাজপথে নামছে দেশের বড় দুই দল। আর সারা দেশে তাদের এই শোডাউন হচ্ছে ‌‘৫ জানুয়ারিকে’ কেন্দ্র করে। এ দিনটিকে ঘিরে ফের রাজনৈতিক মাঠ গরম হচ্ছে। তবে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

২০১৪ সালের ‘৫ জানুয়ারির’ নির্বাচনের দিনটিকে আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ ও বিএনপি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। এবারও দিনটি পালনে প্রস্তুতি নিচ্ছে দুই দল। এ লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর দুই অংশে দুটি কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। জেলা-উপজেলায় যথাযথভাবে দিনটি পালনের নির্দেশনা দিয়ে চিঠিও দেয়া হয়েছে।

ওই সময় বিএনপির আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার নিয়ে রাজধানীর শিল্পকলায় সেমিনারও করবে ক্ষমতাসীন দল। অন্যদিকে দিনটিতে ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক শোডাউন করতে প্রস্তুত মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী অথবা নয়াপল্টনে সমাবেশসহ সারা দেশে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির।

দিনটিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের চলতি মেয়াদ শেষের বছর হওয়ায় নানাভাবে এটি এবার গুরুত্ব পাচ্ছে।

তাছাড়া এর আগের বছরগুলোয় এই দিনটিকে ঘিরে মাঠ উত্তপ্ত হওয়ার নজির রয়েছে। তাই সংঘাত-সহিংসতার আশঙ্কা কেউ উড়িয়ে দিচ্ছে না। যদিও বিএনপি সহসা মাঠ গরম করার নীতি থেকে সরে এসেছে। তাদের লক্ষ্য- শক্তি ক্ষয় না করে নির্বাচন পর্যন্ত সময়টি স্বাভাবিকভাবে অতিক্রম করা। তাই সরকারের অনুমতি পেলেই কেবল ঢাকায় সমাবেশ বা কালো পতাকা মিছিল করবে দলটি। না হলে প্রতিবাদের ভাষা ঘরোয়া সভার মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

এদিকে দিনটিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও বেশ সতর্ক। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় তারা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দুই দল একই স্থানে সমাবেশের ডাক দিলে ১৪৪ ধারা জারিসহ যে কোনো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হবে না তারা।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। অনেকটা একতরফা নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে নানান সমালোচনা আছে। যদিও আওয়ামী লীগ সেটি মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য কেউ নির্বাচনে না এলে তাদের কী করার আছে। সবকিছু সংবিধান অনুযায়ী হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা সত্ত্বেও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হয়েছিল বলেই দেশে গণতন্ত্র সমুন্নত আছে। দেশ গণতান্ত্রিক চর্চায় এগিয়ে যাচ্ছে, গণতান্ত্রিক ধারা শক্তিশালী হয়েছে। কেননা স্থানীয় বা জাতীয় যে নির্বাচনই বলুন, সেগুলো সুষ্ঠু হচ্ছে, মানুষ নির্বিঘ্নে-নির্ভয়ে এবং স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে। একটি গণতান্ত্রিক সরকার দেশ পরিচালনা করছে বলে সেটি সম্ভব হয়েছে।

অপরদিকে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক দিন। দেশের গণতন্ত্রের কফিনে এদিন শেষ পেরেক ঠুকে দেয়া হয়। তিনি বলেন, ওই নির্বাচনে একতরফাভাবে জয়ী হয়ে অনেকটা গায়ের জোরে দেশ চালাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। তাই বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

সোনালীনিউজ/জেএ/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!