• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
কেসিসি নির্বাচন

৫ মেয়র প্রার্থীর ইশতেহারে থাকছে শতাধিক প্রতিশ্রুতি


খুলনা প্রতিনিধি এপ্রিল ২৪, ২০১৮, ১০:৪৯ পিএম
৫ মেয়র প্রার্থীর ইশতেহারে থাকছে শতাধিক প্রতিশ্রুতি

খুলনা : খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ৫ মেয়র প্রার্থী নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজ করছেন। সব মিলিয়ে শতাধিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের কাছে হাজির হবেন তারা। ইতোমধ্যে দলীয় কর্মিসভা, বর্ধিত সভা, নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও প্রেস ব্রিফিংয়ে সম্ভাব্য ইশতেহারের প্রধান প্রধান বিষয়গুলো সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা।

আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে নগরীর উন্নয়নে আমার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করব। তার ইশতেহারের উলে­খযোগ্য প্রতিশ্রুতির মধ্যে থাকছে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, দুর্নীতিমুক্ত সিটি করপোরেশন গড়া, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তোলা, মেয়র পদক প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, মেয়র কাপ ফুটবল-ক্রিকেট আয়োজন, নারী উন্নয়ন, সুইমিং পুল নির্মাণ, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের সহায়তা প্রদান, সাম্প্র্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, খালিশপুর ও রূপসা শিল্পাঞ্চলের উন্নয়ন, নাগরিক পরামর্শ সভা, ইজিবাইক ও অটোরিকশার লাইসেন্স প্রদান, তিলোত্তমা নগরী গড়ে তোলা, খুলনার মানুষের প্রাণের দাবিগুলোসহ প্রায় ৩১ দফা প্রতিশ্রুতি এবার নির্বাচনী ইশতেহারে স্থান পাবে।

বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর ইশতেহারের উলে­খযোগ্য দিকগুলোর মধ্যে থাকছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী গড়া, করপোরেশন এলাকা সম্প্রসারণ, নাগরিক শাসন প্রতিষ্ঠা, মহানগরীকে শান্তি-স্বস্তির আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তোলা, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, মশক নিধনের জন্য বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়া, করপোরেশনের আয়ের উৎস সৃষ্টি, মাদকমুক্ত নগরী গড়া, ক্রীড়া-বিনোদনের ব্যবস্থা বাড়ানো, আধুনিক সুইমিং পুল নির্মাণ, নাগরিক মর্যাদা ও সম্মান সংরক্ষণ, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিমুক্ত আদর্শ সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, সড়ক উন্নয়ন বর্জ্য পানি নিষ্কাশন, গুণিজনের সম্মাননা প্রদান, শিশু-বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীসহায়ক পরিকল্পনা, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি না করে সেবার মান বাড়ানোর পরিকল্পনাসহ ১৯ দফা প্রতিশ্রুতি।

এ ব্যাপারে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, আমি আকাশচুম্বী বা কাল্পনিক কোনো স্বপ্নের অবাস্তব ইশতেহার দিতে চাই না, নগরবাসীর কাক্সিক্ষত সবকিছুর সারমর্ম হবে আমাদের ইশতেহারটি।

এদিকে খুলনাকে একটি আধুনিক মডেল সিটিতে রূপ দিতে চান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত কেসিসির মেয়র প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নগর সহসভাপতি শেখ নাসির উদ্দিন জানান, ২৫ দফার ইশতেহারে নাগরিক সমস্যা ও তার সমাধান, কেসিসিতে দুর্নীতির মূলোৎপাটন, নগরীর যানজট নিরসনে ব্যস্ততম সড়কগুলো প্রশস্তকরণ, নগর উন্নয়ন কমিটি গঠন, মিল-কারখানায় উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা ও শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে একাত্তা প্রকাশ, পরিচ্ছন্ন নগরী গড়া, নারীর মর্যাদা রক্ষার্থে ও যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা, সংখ্যালঘুদের ন্যায্য অধিকার প্রদানে বিশেষ সহযোগিতা, নগরীর সব শ্রেণি-পেশা ও ধর্ম-বর্ণের মানুষের অধিকার ও ন্যায্যতা সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে।

এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান ওরফে এসএম মুশফিকুর রহমান খুলনাকে মাদকমুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার ওপর বেশি গুরুত্ব দেবেন। তিনি বলেন, ইসলামী অনুশাসনের মাধ্যমেই শুধু খুলনাকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব। নগরীর অন্যতম সমস্যা হচ্ছে যানজট। ব্যস্ততম রাস্তাগুলো প্রশস্তকরণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে খুলনাকে গড়ে তোলা, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, খালিশপুর ও রূপসা শিল্পাঞ্চলকে ইপিজেড ঘোষণার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ১৯ দফার ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।

সিপিবি-বাসদ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মিজানুর রহমান বাবুর ১৭ দফার নির্বাচনী ইশতেহারে বন্ধ মিল চালু ও জলাবদ্ধতা নিরসনে মাস্টারপ্ল্যান করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, রূপসা শিল্পাঞ্চলের বিএমসি, দাদা ম্যাচ, নিউজপ্রিন্ট ও হার্ডবোর্ড মিল চালু করে হতদরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হবে। বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর ২৫ শতাংশ এলাকা সাময়িক দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। নির্বাচিত হলে মশক নিধন, হকার পুনর্বাসন, সড়ক বাতি আধুনিকায়ন, ময়লা আবর্জনা দ্রুত অপসারণ, হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি না করার পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!