• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৫৭ ধারা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক জুলাই ১৩, ২০১৭, ১২:৪৮ এএম
৫৭ ধারা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৬ ও ৫৭ ধারা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। এই আইন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এটা কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। এটা মানবাধিকারবিরোধী নয়।

বুধবার (১২ জুলাই) জাতীয় সংসদে পীর ফজলুর রহমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। শুধুমাত্র সাংবাদিকদের জন্য করা হয়নি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটা সাধারণ দণ্ডবিধি। এ ধারাটি মানুষের নিরাপত্তার জন্য করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নারীর নিরাপত্তার জন্য, শিশুদের নিরাপত্তার জন্য ধারাটি করা হয়েছে। এটা জামিন অযোগ্য অপরাধ। তবে উচ্চ আদালতে গেলে জামিন পাওয়া যায়।
এ ধারাটি তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে করা হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ইনু বলেন, ডিজিটাইলেজশনের ফলে গণমাধ্যমের বিশাল প্রসার ঘটেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ডিজিটাল স্পেস তৈরি হয়েছে। এর ফলে অনেকে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়, চরিত্র হনন করে, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড, ধর্মীয় বিভেদ সৃষ্টির মতো অপরাধ করে। তখনই কেবল এই আইনের প্রয়োগ হয়। এটা শুধু সাংবাদিকদের জন্য করা হয়েছে এ কথাটি ঠিক নয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ অনলাইনে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুক, টুইটারে চরিত্র হনন করে পোস্ট দিলে এই আইনের আওতায় আসবে। এই আইন নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। এই আইনে একটা পর্যায়ে জামিনযোগ্য। নিম্ন আদালতে জামিন পায় না, উচ্চ আদালতে গেলে জামিন পাওয়া যায়। এরকম ৩০ এর অধিক আইন আছে জামিন অযোগ্য। কিন্তু উচ্চ আদালতে গেলে বিচারকরা মনে করলে জামিন দিতে পারেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশে ১ হাজার ৮শ' এর অধিক অনলাইন পত্রিকা আছে। পত্রিকা, টেলিভিশন, সাপ্তাহিক, পাক্ষিকসহ দেশে কতগুলো গণমাধ্যম রয়েছে। প্রতিটি গণমাধ্যমে যদি ১০ জন করে সাংবাদিকও কাজ করেন তাহলে কত হাজার সাংবাদিক কাজ করছে তা অনুমেয়। এর মধ্যে খুবই নগণ্য দুই একজন ৫৭ ধারায় গ্রেফতার হয়েছেন।

তিনি বলেন, তাছাড়া ৫৭ ধারার মামলার প্রতিটি বিষয় আমরা দেখছি। এ নিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও হস্তক্ষেপ করে। আমাদের আইনজীবীরা দেখেন কোনো মিথ্যা অভিযোগে কেউ গ্রেফতার হলে তাকে যেন জামিন দেয়া হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ৫৭ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। তারপরেও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক নতুন একটি আইনের খসড়া করা হয়েছে। আমাদের আইনমন্ত্রী দেখবেন ৫৭ ধারা বহাল রাখার দরকার আছে কিনা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!