• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

৬ দিনের রিমান্ডে হানিপ্রীত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ৫, ২০১৭, ১২:১৭ পিএম
৬ দিনের রিমান্ডে হানিপ্রীত

ঢাকা: ধর্ষণের অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত ভারতের ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং এর কথিত ‘দত্তক কন্যা’ হানিপ্রীত ইনসানকে ৬ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে পঞ্চকুলার একটি আদালত। 

স্থানীয় সময় বুধবার (৪ অক্টোবর) আদালত এ নির্দেশ দেয়। ধর্ষণ মামলায় ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং কে দোষী সাব্যস্ত করার পর সহিংসতায় উসকানি দেয়ার অভিযোগে মঙ্গলবার পাঞ্জাবের জিকাপুর-পাতিয়ালা রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হানিপ্রীতকে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ জানায়, এদিন থানায় তাকে রাত তিনটা পর্যন্ত জেরা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় খুব একটা বেশি কিছু জানাননি হনিপ্রীত।

বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। প্রায় এক-ঘণ্টার শুনানি শেষে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট রোহিত ব্যাস হানিপ্রীতের বিরুদ্ধে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের দায়ে গত ২৫ আগস্ট রাম রহিমের ২০ বছর কারাদণ্ড ঘোষণার দিন থেকেই ফেরারী ছিলেন হানিপ্রীত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আদালত থেকে জেলে যাওয়ার পথে ‘বাবা’কে নিয়ে পালানোর ছক কষেছিলেন। পাশাপাশি, রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার পর সিরসা ও পাঁচকুলায় যে সহিংসতা ছড়িয়েছিল তার নেপথ্যে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে হানিপ্রীতের বিরুদ্ধে। ওই হামলায় ৪১ জন মারা গিয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন পাঁচশোর বেশি মানুষ।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) চণ্ডীগড় থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর তিনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেতে কথা বলেন।   
এ সময় তার ও রাম রহিমের অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, বাবা ও মেয়ের পবিত্র সম্পর্ককে কেউ কেউ কীভাবে নোংরা চোখে দেখে। তিনি বলেন, তাদের সম্পর্ক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক।

রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার পরেই পঞ্চকুলায় চূড়ান্ত তাণ্ডব চালায় ডেরার ভক্তরা। এ প্রসঙ্গে হানিপ্রীত বলেন, ‘আমাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে এখন নিজেকেই নিজে প্রচণ্ড ভয় পাচ্ছি। চূড়ান্ত মানসিক চাপে রয়েছি। কী করব বুঝতে পারছি না।’

কান্নাভেজা চোখে হানিপ্রীত বলেন, ‘আমি একা একটি মেয়ে। আর ওখানে এত নিরাপত্তাব্যবস্থা। আমাকে অনুমতি না দিলে কীভাবে আদালত চত্বরে গেলাম! কীভাবেই বা বাবার সঙ্গে হেলিকপ্টারে উঠতাম! তারাই আমাকে অনুমতি দিয়েছিলেন। বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করার পর আমি ভীষণ ভেঙে পড়ি। কীভাবে আমি জড়িত থাকব বলেন।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!