• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

৬টি আসনে প্রবীণ-নবীনের চ্যালেঞ্জ


যশোর প্রতিনিধি জুলাই ২৬, ২০১৭, ০৬:১৭ পিএম
৬টি আসনে প্রবীণ-নবীনের চ্যালেঞ্জ

যশোর : ধর্মীয়, সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং গণসংযোগের মাধ্যমে তৃণমূলের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে যশোরের ছয়টি সংসদীয় আসনে তৎপর রয়েছেন অর্ধশতাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও প্রার্থীরা মনোনয়ন যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দলীয় টিকিট পেতে আগে থেকেই জোরেশোরে মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সর্বশেষ ঈদ ঘিরে নির্বাচনী এলাকায় নানা কৌশলে প্রচারণা চালিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, গত ঈদুল ফিতরে সাধারণ মানুষের মাঝে পাঞ্জাবি, শাড়ি, লুঙ্গি, সেমাই বিতরণ করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকে। আবার কেউ কেউ শুভেচ্ছা বিনিময়, ব্যানার ফেস্টুন, বিলবোর্ড লাগিয়ে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। প্রতিনিয়ত তৃণমূলে যোগাযোগ রাখছেন অধিকাংশ সম্ভাব্য প্রার্থী।

যশোর-১ (শার্শা): এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান এমপি শেখ আফিল উদ্দিন, শার্শা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মিন্নু ও পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মহসিন কবীর, শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান জহির, রাজধানীর পল্টন থানা বিএনপির (একাংশ) সহ-সভাপতি ওসমান গণি। তবে বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তির নাম সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে। এলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। জাতীয় পার্টির শার্শা উপজেলা সভাপতি ডা. আক্তার হোসেন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে তৎপর রয়েছেন।

যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা): এই আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম, সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ আলী রায়হান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট আহসানুল হক আহসান, মেজর জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন সম্ভাব্য প্রার্থী। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা নাজমুল মুন্নী, চৌগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহুরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসহাক, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের নাম আলোচনায় রয়েছে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন- জেলা ওলামা পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুফতি ফিরোজ ও চৌগাছা উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুল কদর।

যশোর-৩ (সদর): এই আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, তার ছোট ছেলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সাবেক কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম বাচ্চু ও সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের নাম শোনা যাচ্ছে।

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর): এই আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি রণজিৎ কুমার রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাজমুল ইসলাম কাজল, অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাবুল, সাবেক হুইপ শেখ আবদুল ওহাব মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফারাজী মতিয়ার রহমান, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার ওমর সাদাত, বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের সিদ্দীকী, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম জহির ও অভয়নগর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শাহ আশরফুজ্জামানের নাম শোনা যাচ্ছে।

যশোর-৫ (মণিরামপুর): এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, বর্তমান এমপি স্বপন ভট্টাচার্য, সাবেক এমপি খান টিপু সুলতান, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল মজিদ ও কামরুল ইসলাম বারী, মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মাহমুদুল হাসান প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মণিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল হোসেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসা এবং জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার শরিফুজ্জামান খানের নাম শোনা যাচ্ছে। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন।

যশোর-৬ (কেশবপুর): এই আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, সহ-সভাপতি আমীর হোসেনের নাম আলোচনায় রয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কেশবপুর উপজেলা সভাপতি আবু হোসেন আজাদ, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে কেশবপুর উপজেলা সভাপতি আবদুল মজিদ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল লতিফ রানা সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তৎপর রয়েছেন।

নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের অধিকাংশ এবার ঈদে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন। তৃণমূলের সঙ্গে তাদের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ভালবাসা অর্জনে তারা তৎপর রয়েছে।

এছাড়া যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করেছেন। ঈদকে ঘিরে সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গণসংযোগ করেছেন। নানাভাবে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তৃণমূলে তাদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি জানান দিয়েছেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!