• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৭ খুনের ঘটনার নৃশংসতার বিবরণ


আদালত প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৬, ২০১৭, ১১:২০ এএম
৭ খুনের ঘটনার নৃশংসতার বিবরণ

নারায়ণগঞ্জ : তিন বছর আগে নারায়ণগঞ্জে কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনাটি আলোড়ন তুলেছিল সারাদেশে। হত্যাকাণ্ডের পর উত্তেজিত জনতা সন্দেহভাজন কয়েকজনের বাড়িঘর ও দপ্তর জ্বালিয়ে দেয়। পরে বেরিয়ে আসে যে এই হত‌্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরই কেউ কেউ, যা নিয়ে শোরগোল দেশের সীমানাও ছাড়িয়ে যায়।

হত‌্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি আরেক কাউন্সিলর নুর হোসেনের পালিয়ে যাওয়া নিয়েও সমালোচনা ওঠে। পলাতক অবস্থায় নুর হোসেনের সঙ্গে সংসদ সদস‌্য এ কে এম শামীম ওসমানের ফোনালাপ প্রকাশ হলে তা নিয়েও ব‌্যাপক আলোচনা ওঠে। নুর হোসেন পরে ভারতে ধরা পড়েন, ফিরিয়ে আনা হয় তাকে।

হত্যাকাণ্ডে নিহতদের স্বজনদের করা দুই মামলায় ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ৩৮টি শুনানির পর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ বছরের ১৬ জানুয়ারি মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন।

আজ সেই আলোচিত সাত খুন মামলায় নূর হোসেনসহ ২৬ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।  বাকি ৯ জনকে সাত থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে তিনজন পলাতক।  নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন আজ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) এই রায় ঘোষণা করেন।

নৃশংসভাবে হত্যার বিবরণ : নারায়ণগঞ্জের র‍্যাব-১১-এর তৎকালীন সদস্যরা অপহৃত সাতজনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিলেন। তাঁরা প্রথমে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে অপহৃত ব্যক্তিদের অচেতন করেন। তারপর মুখে পলিথিন পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। সর্বশেষ নদীতে ফেলার সময় লাশগুলোর পেট চিরে দেন তাঁরা। জড়িত র‍্যাব সদস্যদের জবানবন্দিতেই উঠে এসেছে ঘটনার নৃশংসতার বিবরণ।

মেজর আরিফ হোসেন ও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানা তাঁদের ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে বলেছেন, ২০১৪ সালের মার্চে আদমজীনগরে অবস্থিত র‍্যাব-১১-এর হেডকোয়ার্টারে এক কনফারেন্সে সিও লে. কর্নেল তারেক সাঈদ কাউন্সিলর নজরুলকে গ্রেপ্তারের জন্য আরিফ হোসেনকে নির্দেশ দেন। আর লে. কমান্ডার মাসুদ রানাকে নির্দেশ দেন এ কাজে আরিফকে সাহায্য করতে।

মেজর আরিফ তাঁর জবানবন্দিতে বলেছেন, ঘটনার দিন (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে নূর হোসেন তাঁকে ফোন করে বলেন, নজরুল নারায়ণগঞ্জ কোর্টে হাজিরা দিতে এসেছেন। তিনি খবরটি তারেক সাঈদকে জানান। তারেক তখনই নজরুলকে ধরার জন্য তাঁকে ও রানাকে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন।

এরপর আরিফ নীল রঙের মাইক্রোবাসে হাবিলদার এমদাদ, এসআই পূর্ণেন্দু বালা, নায়েক দেলোয়ার (ড্রাইভার), বেলাল, হীরা, নাজিম, সিপাহি তৈয়ব, সৈনিক আলীম, আলামিন, মহিউদ্দিন, কনস্টেবল শিহাবকে নিয়ে আনুমানিক বেলা ১১টায় কোর্টের বাইরের রাস্তার পশ্চিম পাশে অবস্থান নেন। নজরুলের গতিবিধি নজরদারি করতে আরিফ হাবিলদার এমদাদ, নায়েক বেলাল ও সিপাহি তৈয়বকে কোর্টের ভেতরে পাঠান। বেলা সোয়া ১১টার দিকে একটি সিলভার কালারের মাইক্রোবাসে করে রানার টিমের সাত-আটজন সদস্য তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১টায় রানা নিজের গাড়িতে করে এসে গাড়ি ছেড়ে দেন এবং আরিফের মাইক্রোতে গিয়ে বসেন। কিছুক্ষণ পর সিপাহি তৈয়ব ফোন করে আরিফকে জানান যে নজরুলের লোকজন তাঁকে সন্দেহ করে পুলিশে দিয়েছে।

মাসুদ রানা তাঁর জবানবন্দিতে বলেছেন, ওই সময় মেজর আরিফ তাঁকে বলেন, ‘স্যার, নজরুল একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তার সঙ্গে সব সময় চার-পাঁচটি আর্মস থাকে। আমরা সিভিল ড্রেসে তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সে আমাদের নূর হোসেনের লোক ভেবে গুলি করে বসতে পারে। আপনার ইউনিফর্মধারী প্যাট্রল টিমকে দিয়ে ফাঁকা জায়গায় নজরুলকে আটকাতে হবে।’

মাসুদ রানা তাঁর ইউনিফর্মধারী প্যাট্রল টিমকে নজরুলকে আটকানোর জন্য নির্দেশ দেন। নায়েক বেলাল আনুমানিক একটার দিকে মেজর আরিফকে ফোন দিয়ে জানান, নজরুলের সাদা রঙের গাড়িতে এসেছেন। আরিফ তাঁর কাছ থেকে গাড়ির নম্বর জেনে নেন। দু-এক মিনিট পর সাদা গাড়ি এবং তার পেছনে অ্যাশ বা ছাই রঙের একটি প্রাইভেট কার আদালত থেকে বের হয়।

আরিফ জবানবন্দিতে বলেছেন, ‘তখন আমি ও রানা আমাদের মাইক্রোবাস দুটি নিয়ে নজরুলের গাড়ির পিছু পিছু যাই। রানা ওই সময় নজরুলের গাড়ির বর্ণনা দিয়ে প্যাট্রল টিমকে ওই গাড়িটি থামাতে বলে। আনুমানিক দেড়টার দিকে প্যাট্রল টিম চেকপোস্ট বসিয়ে সিটি করপোরেশনের গেটের কাছে নজরুলের গাড়িটি থামায়। তখন আমরা নজরুলের গাড়ি থেকে নজরুলসহ পাঁচজনকে বের করে আমার মাইক্রোবাসে তুলি।’

আরিফ বলেছেন, ‘এ সময় আমাদের পেছনে একটি অ্যাশ কালারের প্রাইভেট কার থেকে একজন নেমে চিৎকার করতে থাকেন। তখন রানা ওই লোক ও তাঁর ড্রাইভারকে তাঁর মাইক্রোবাসে তোলেন। আমি ওই পাঁচজনকে মাইক্রোবাসে তুলে কাঁচপুরের দিকে রওনা দেই এবং রানাকে বলি আমার গাড়িটিকে ফলো করার জন্য।’

গ্রেপ্তারকৃত প্রত্যেকের হাতে হ্যান্ডকাফ লাগানো হয়। নজরুল, চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়ির চালক ইব্রাহিম এবং অন্য একজনের মুখে মুখোশ লাগানো হয়। বাকিদের চোখ গামছা দিয়ে বাঁধা হয়।

রানা তাঁর জবানবন্দিতে বলেছেন, ‘আমি মাইক্রোবাস থেকে নেমে ঘটনাস্থলে প্যাট্রল টিমের সঙ্গে থেকে যাই এবং মেজর আরিফ ধৃত লোকদেরসহ মাইক্রোবাস দুটি নিয়ে চিটাগাং রোডের দিকে চলে যায়। আমি সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আদমজীনগরে ব্যাটালিয়ন সদরে ফিরে অধিনায়কের সঙ্গে দেখা করি এবং তাকে জানাই যে নজরুলসহ পাঁচ-ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নজরুলের দুটি গাড়ির একটিকে সরানো হয়েছে, অন্যটি ঘটনাস্থলে পড়ে আছে। তখন সিও স্যার বলেন যে ওই গাড়িটিও সরানোর ব্যবস্থা করো। সিওর নির্দেশনা অনুযায়ী আমি ড্রাইভার কনস্টেবল মিজানকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পরিত্যক্ত কালচে রঙের গাড়িটি নিয়ে আনুমানিক ৩টা ৪৫ মিনিটে গুলশান নিকেতনে রেখে আসি।’

আরিফ তাঁর জবানবন্দিতে বলেছেন, ‘সিও (তারেক সাঈদ) বলেন, কোনো প্রত্যক্ষদর্শী রাখা যাবে না। সাতজনকেই গুম করে ফেলো। তাঁর আদেশে আমি আমার ক্যাম্পের বেলালকে সাত সেট ইটের বস্তা তৈরি করার জন্য বলে মাইক্রোবাস দুটি নিয়ে নরসিংদীর দিকে চলে যাই। আনুমানিক আড়াইটার দিকে আমি নরসিংদী র‍্যাব ক্যাম্পের কাছাকাছি পৌঁছাই। ওই সময় নরসিংদী ক্যাম্প কমান্ডার সুরুজকে ফোন করে তাঁর সঙ্গে ক্যাম্পের বাইরে দেখা করি।’

সুরুজের সঙ্গে দেখা করার আগে আরিফ কালো রঙের নকল দাড়ি ও গোঁফ লাগিয়ে নেন। সুরুজের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে তিনি ও তাঁর সঙ্গে থাকা বাকিরা দুপুরের খাবার খান। আনুমানিক বিকেল চারটার দিকে মাইক্রোবাস শিবপুর উপজেলার দিকে রওনা দেয়। শিবপুর পেরিয়ে মনোহরদী এলাকায় একটি ফাঁকা জায়গায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে।

আনুমানিক রাত আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জের দিকে রওনা দেন আরিফ। আনুমানিক নয়টার দিকে তাঁরা নরসিংদীর ভেলানগর পৌঁছান। আরিফ সেখানে সৈনিক মহিউদ্দিনকে সাতটি সাকসা (চেতনানাশক ইনজেকশন) এবং একটি সিরিঞ্জ কিনে আনতে বলেন। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাঁচপুরে পৌঁছে একটি পরিত্যক্ত পেট্রলপাম্পে অপেক্ষা করতে থাকেন। রাস্তায় পুলিশের কড়া নজরদারি থাকায় একটি ট্রলার কাঁচপুর ব্রিজের নিচে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য তারেক সাঈদকে বলেন আরিফ।

আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আরিফ বলেন, ‘আমি তখন নূর হোসেনকে ফোন করে জানাই, কাঁচপুর ব্রিজের নিচে যেন কোনো মানুষের জটলা না থাকে। রাত ১১টার দিকে আমি মাইক্রোবাস দুটিসহ কাঁচপুর ব্রিজের নিচে বিআইডব্লিউটিএর ঘাটে পৌঁছাই। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেলালকে ফোন করে ইটের প্যাকেটগুলো কাঁচপুর ব্রিজের নিচে নিয়ে আসতে বলি।’

রাত আনুমানিক ১২টার দিকে একটি সাদা মিতসুবিশি মাইক্রোবাসে করে হাবিলদার এমদাদ, নায়েক বেলাল, সৈনিক আরিফ, সৈনিক তাজুল ইটের প্যাকেটগুলো নিয়ে বিআইডব্লিউটিএর ঘাটে আসেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে রানার ট্রলারটি কাঁচপুর ব্রিজের নিচে আসে।

আরিফ বলেন, ‘তাঁর (সিও) আদেশ পেয়ে আমি নায়েক হীরা ও সিপাহি তৈয়বকে মাইক্রোবাসে থাকা সাতজনকে সাকসা ইনজেকশন পুশ করতে বলি। ইনজেকশন পুশ করার পর নায়েক বেলাল, হীরা, সিপাহি তৈয়ব, এসআই পূর্ণেন্দু বালা, সৈনিক আলামিন, তাজুল, কনস্টেবল শিহাব ও সৈনিক আলীম—এই আটজন মিলে আটককৃত সাতজনের মুখে পলিথিন পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর আমি সবার মৃতদেহ ট্রলারে লোড করতে বলি। আমার টিমসহ ট্রলারে উঠি এবং রানার টিম ও গাড়িগুলো ফেরত পাঠাই। আমরা রাত আড়াইটার দিকে ট্রলার নিয়ে মেঘনা নদীর মোহনায় পৌঁছাই। সেখানে পৌঁছানোর পর আমার টিমের সদস্যরা প্রতিটি মৃতদেহের সঙ্গে এক সেট ইটের বস্তা বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়।’

এসআই পূর্ণেন্দু বালা তাঁর জবানবন্দিতে বলেছেন, নায়েক হীরা একজনকে ইনজেকশন দেওয়ার সময় তাঁর হাত কাঁপায় আরিফ নিজেই বাকি ছয়জনকে ইনজেকশন দেন। এরপর বেলাল, হীরা ও আরিফ মিলে দুই মাইক্রোবাসে থাকা সাতজনের মুখে পলিথিন পেঁচিয়ে তাঁদের শ্বাস রোধ করেন। তিনি আরও বলেন, নদীতে ফেলার সময় প্রতিটি লাশের নাভির কাছে চাকু দিয়ে ছিদ্র করে দেন বেলাল। পরে আরিফ বেলালের কাছ থেকে চাকু নিয়ে নিজেই বাকি লাশগুলোর নাভিতে ছিদ্র করে দেন।

লাশ ফেলে দিয়ে রাত তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার দিকে আরিফ ও তাঁর দল নারায়ণগঞ্জ ঘাটে এসে পৌঁছায়। সেখানে তারেক সাঈদ আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন। তারেক সাঈদ সবাইকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার নির্দেশ দেন।

শীতলক্ষ‌্যায় ভেসে ওঠে হাত পা-বাঁধা লাশ : ৩০ এপ্রিল বিকালে শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া শান্তির নগর এলাকা থেকে নজরুল, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিমের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন একই জায়গায় মেলে নজরুলের আরেক বন্ধু সিরাজুল ইসলাম লিটনের লাশ। সব লাশের পেটে ছিল আঘাতের চিহ্ন। প্রতিটি লাশ ইটভর্তি দুটি করে বস্তায় বেঁধে নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২নং ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। পরদিন ২৮ এপ্রিল ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী। ওই মামলায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূর হোসেনকে প্রধান করে ৬ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ের জামাই বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় আরও একটি মামলা করেন। ৩০ এপ্রিল বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।  পরে স্বজনরা লাশগুলো শনাক্ত করেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!