• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

৭ মার্চ কেন্দ্রিক বড় পরিকল্পনা আওয়ামী লীগে


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮, ১০:১৫ এএম
৭ মার্চ কেন্দ্রিক বড় পরিকল্পনা আওয়ামী লীগে

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ৭ মার্চ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য গৌরবের। কারণ, ওই দিনই তাদের নেতা স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালিন ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাষণ দিয়েছিলেন। কার্যত যা ছিল স্বাধীনতার আহ্বান। তাই দিনটিকে সামনে রেখে ঢাকায় বড় ধরণের রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়েছে আওয়ামী লীগ। যা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বড়সর প্রস্তুতি বলে মনে করছে দলটি।

পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বড় গণজমায়েত। এটা উপলক্ষে রাজধানীর প্রতিটি থানা ও আশপাশের জেলাগুলোতে প্রস্তুতি সভা করা। এছাড়াও, নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে কিছু কর্মসূচি দেয়া। 

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্ব স্বীকৃতি পাওয়ার পর এই প্রথম এ দিনটি উদযাপন হচ্ছে। এ কারণে দিনটিকে বড় জমায়েতের মাধ্যমে স্মরণীয় করে রাখতে চায় আওয়ামী লীগ।

এ ছাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের অনানুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী সফরের অংশ হিসেবে বিভাগীয় শহরগুলোতে যাচ্ছেন। যা নিয়ে অবশ্য বিরোধী দলগুলোতে অভিযোগ আছে যে, বিরোধী দলের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করে সরকারি টাকায় প্রধানমন্ত্রী তার রাজনৈতিক সফর করছেন। একই সঙ্গে ঢাকায় বড় জমায়েতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণার আগাম মহড়া দিতে চাইছেন নেতারা। ৭ই মার্চের সমাবেশ সফল করতে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা তৎপরতা শুরু করেছেন। 

এর অংশ হিসেবে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভা হয়েছে। ধানমন্ডির একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা, পার্শ্ববর্তী জেলা, সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতা ও সংসদ সদস্যরা অংশ নেন। সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন ৭ই মার্চ আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করবো। আমরা এই জনসভায় নবজাগরণ দেখাতে চাই।

আমরা আশা করছি, স্মরণকালের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে। ঢাকা মহানগর ও জেলা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ থেকে বিপুল জনসমাগম নিয়ে বিভিন্ন শোভাযাত্রা এই সভায় যোগ দেবে। জনসভায় আসার জন্য বাস ছাড়াও ট্রেনের ব্যবস্থা করবে আওয়ামী লীগ। 

ওই সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে বিএনপির কার্যক্রমে যে শান্তিপূর্ণ কথা বলা হচ্ছে, এটা তাদের আসল ছবি না। তারা দূতাবাসে, জাতির পিতার ছবিতে হামলা চালিয়েছে। প্রিজন ভ্যান থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নিচ্ছে, পুলিশের ওপর হামলা করছে। 

তিনি বলেন, বিএনপি হচ্ছে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজের দল। ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের ১০ দিন আগে বিএনপি কাউন্সিল বৈঠক না করে সংগঠনের ৭ ধারা বাতিল করে। সেই ৭ ধারা (ঘ)-তে বলা আছে, উন্মাদ, দুর্নীতিবাজ এরকম কেউ নেতা হতে পারবেন না। একজন তো (খালেদা জিয়া) দুর্নীতির দায়ে কারাগারে আছেন। অন্যজন (তারেক রহমান) দণ্ডপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ এখন পলাতক। তাকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার জন্য এটি করা হয়েছে। 

আওয়ামী লীগের কোনো ধারা বাতিল করতে হলে কাউন্সিল ছাড়া এটা করা যায় না উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি এটি কেন করেছে, এর জবাব এখনো পাইনি। এটাই হচ্ছে বিএনপির চিত্র।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের এখন নারী, তরুণ ও প্রথম ভোটারদের গুরুত্ব দিতে হবে। এখন থেকে নির্বাচনের জন্য কাজ করতে হবে, ক্যাম্পেইন করতে হবে। 

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া বিএনপি শক্তিশালী হলে তাদের নির্বাচনে যেতে ভয় কেন। খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর বিএনপির নেতারা বলছে বিএনপি আগের চেয়ে বেশি শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ। তাহলে কেন এই শক্তিশালী বিএনপির নির্বাচনে যেতে ভয়? আমরা এই বিএনপিকে নিয়েই আগামী নির্বাচনে যেতে চাই। আমরা একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!