• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৭৮৬ সংখ্যার রহস্য কী?


বিচিত্র-সংবাদ ডেস্ক মার্চ ১৫, ২০১৭, ০২:১৬ পিএম
৭৮৬ সংখ্যার রহস্য কী?

প্রতীকী ছবি

ঢাকা: ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীরা বিশেষ করে উপমহাদেশের মুসলমানরা ৭৮৬ সংখ্যাটিকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। অনেক মহিমান্বিত মনে করেন। অনেক মুসলিম ব্যবসায়ীরাও তাদের বিপণির সাইনবোর্ডে এই সংখ্যাটিকে লিখে রাখেন। সাধারণ বিশ্বাস অনুসারে, এই সংখ্যা ঐশী তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু, এর পিছনের কারণ কী? জানা যায়, এর দ্বারা পবিত্র কুরআনের বাণী  ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম’-কে ব্যক্ত করা হয়।

তবে এর একটি ব্যাখ্যাও রয়েছে। ভাষাবিদরা জানান, আরবি বর্ণমালা দু’ভাবে সাজানো যেতে পারে। প্রথমটি চিরাচরিত বর্ণানুক্রমিক ধারা। আর দ্বিতীয়টি আবজাদ পদ্ধতি, যাতে প্রতিটি অক্ষরের গাণিতিক মান অনুসারে তাদের ক্রমবিন্যাস করা হয়। এই পদ্ধতি অনুসারে প্রতিটি অক্ষরের নিজস্ব গাণিতিক মান রয়েছে এবং তা ১ থেকে ১০০০ পর্যন্ত। আবজিদ পদ্ধতি অনুসৃত হয় ফিনিশীয়, আরামাইক, হিব্রু ইত্যাদি সেমিটিক ভাষাতেও।

ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের কাছে আবজিদ পদ্ধতি বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই পদ্ধতিতে ‘বিসমিল্লাহ্’ শব্দটির গাণিতিক মান নির্ণিত হয় ৭৮৬। ইতিহাস থেকে জানা যায়, আব্বাসিয় খেলাফতকালে  মুসলমানরা ‘বিসমিল্লাহ’ এর পরিবর্তে ৭৮৬ সংখ্যাটিকে লিখতে শুরু করেন। 

কারো কারো ধারনা আছে যে, এই সংখ্যাগুলো লিখলে বা উচ্চারণ করলে ‘বিসমিল্লাহ’ লেখার বা বলার কাজ হয়ে যাবে। এটা একটি ভুল ধারণা। মুখে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম’ পাঠ করে যদি এই অংকগুলো লেখা হয় তাহলে সেটা ‘বিসমিল্লাহ’র চিহ্ন গণ্য করা যেতে পারে। কিন্তু সরাসরি এই অংকটাকে ‘বিসমিল্লাহ’র বিকল্প মনে করা সম্পূর্ণ ভুল। 

বলা বাহুল্য যে, একটি ‘সুন্নাতে মুতাওয়ারাছা’ যা সর্বযুগের ওলামা-মাশায়েখ ও দ্বীনদার ব্যক্তিদের অনুসৃত ছিল তা বাদ দিয়ে শুধু আবজাদী অংক লেখা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। 

তবে এই সংখ্যা ব্যবহারে কিছু দ্বিমতও দেখা যায়। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ায় ৭৮৬ এক অতি জনপ্রিয় কাল্ট। এমনকী, ঢালিউড ও বলিউড ছবিতেও এই সংখ্যার ব্যবহার দেখা যায়। 

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!