• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‌‘চেঞ্জিং ডায়াবেটিসের’ শুভেচ্ছাদূত হলেন মাশরাফি


বিশেষ প্রতিনিধি অক্টোবর ২৭, ২০১৬, ০৮:১৮ পিএম
‌‘চেঞ্জিং ডায়াবেটিসের’ শুভেচ্ছাদূত হলেন মাশরাফি

মানুষের মাঝে ডায়াবেটিস সচেতনতা বাড়াতে ‌‘চেঞ্জিং ডায়াবেটিস’ শিরোনামে একটি সচেতনতামূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে ড্যানিশ ফার্মা নভো নরডিস্ক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি (বাডাস)।

এবার তাদের এই মহতী উদ্যোগের সঙ্গী হলেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মরতুজা। তিনি ‘চেঞ্জিং ডায়াবেটিস’ কার্যক্রমের ব্র্যান্ড অ্যামবাসেডর হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে ডেনিশ দূতাবাসে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এতে ড্যানিশ ফার্মা নভো নরডিস্ক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি ‘চেঞ্জিং ডায়াবেটিস’ ব্র্যান্ড অ্যামবাসেডর হিসেবে ডায়াবেটিসের প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ, ব্যবস্থাপনা এবং নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ভূমিকা রাখবেন। 

মূলত ডায়াবেটিস প্রতিরোধের ক্ষেত্রে একটি স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাত্রা এবং খাদ্যতালিকার উপকারিতার ওপরই জোর দেবেন তিনি।

‘চেঞ্জিং ডায়াবেটিস’-এর শ্লোগানই হচ্ছে- ‘এখুনি সক্রিয় হও, ডায়াবেটিস রুখে দাও।’ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য যে চারটি অসংক্রামক রোগ প্রধান বাধা, ডায়বেটিস তাদের মধ্যে অন্যতম। আর ডায়াবেটিস মানুষের জীবনের জন্য হুমকিস্বরুপ।

‘চেঞ্জিং ডায়াবেটিস’-এর ব্র্যান্ড অ্যামবাসেডর মাশরাফি বলেন, ‘এটা খুবই উদ্বেগের বিষয় যে,  বিপদজনক হারে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখন প্রায় ৭১ লাখ। অথচ তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশের কোনও ধারণাই নেই যে, তারা ইতোমধ্যেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে গেছে।’

‘ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত বছর দেশে ১ লাখ ২৯ হাজার ৩১৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে ডায়াবেটিসজনিত কারণে,’ বিষন্ন কন্ঠে জানান টাইগার অধিনায়ক। 

‘অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস মানুষের জীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা ধীরে ধীরে দেহের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো যেমন হার্ট, কিডনি, চোখ এবং পা এগুলোর  ক্ষতি করতে থাকে।’

ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য সবাইকে নিয়মিত শরীর চর্চা এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যতালিকা অনুসরণের পরামর্শ দেন তিনি।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির (বাডাস) সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, ‘ডায়াবেটিসের মহামারি নিয়ন্ত্রণ করাটা সরকারি কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আমাদের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যান্য অসংক্রামক রোগের মত ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণ এবং প্রসার প্রতিরোধে সচেতনতাই সবচেয়ে বড় প্রভাবক।’

‘এ উদ্যোগে সহযোগী হিসেবে কাজ করতে পেরে বাডাস অত্যন্ত গর্বিত। আমি সরকারের উদ্দেশে আহবান জানাবো তারাও যাতে এর সঙ্গে যুক্ত হয়, যেহেতু এটি সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কাজের এটি এক চমৎকার সুযোগ,’ যোগ করেন তিনি।

নভো নরডিস্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ রাজন কুমার বলেন, ‘আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য ডায়াবেটিস এবং এর লক্ষণসমূহ সম্পর্কে গণসচেতনতা তৈরি করা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান রাখা এবং আরও বেশি মানুষ যাতে ডায়াবেটিসের জটিলতা মুক্ত একটি সুস্থ জীবন যাপন করতে পারে তা নিশ্চিত করা।’

গত ২৯ জুন সরকারের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত অসংক্রামক রোগ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনার প্রেক্ষিতে ডায়াবেটিস সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাডাসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নভো নরডিস্ক এই ব্র্যান্ড অ্যামবাসাডর ধারণার বাস্তবায়নে উদ্যোগী ভূমিকায় এগিয়ে আসে। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!