• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‍‘ববিতা, ইন্ডাস্ট্রিতে ওয়ান এন্ড অনলি গ্ল্যামারাস হিরোইন‍‍’


মিতুল আহমেদ, বিনোদন প্রতিবেদক নভেম্বর ১৫, ২০১৬, ০৬:৫৮ পিএম
‍‘ববিতা, ইন্ডাস্ট্রিতে ওয়ান এন্ড অনলি গ্ল্যামারাস হিরোইন‍‍’

অধরা খান। মডেলিং দিয়েই শোবিজ অঙ্গনে তার যাত্রা। তবে অভিনয়ে ছোট পর্দা কিংবা থিয়েটার দিয়ে নয়, একেবারে বড়পর্দায় অভিষেক! যদিও মুক্তি পায়নি তার কোনো ছবি। কিন্তু এরইমধ্যে নামের আগে লেগে গেছে ‘নবাগতা নায়িকা’র খেতাব। তারপরও নিজেকে নায়িকার জায়গায় রেখেই বেশকিছু সহজ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। মূলত এটি একটি অপ্রাসঙ্গিক আলাপন-

আপনি সাংবাদিক হিসেবে কোনো নায়িকার ইন্টারভিউ নিতে গেলে প্রথমে তাকে কি জিজ্ঞেস করতেন?  
কিছুই জিজ্ঞেস করতাম নাতো। বেচারিকে নার্ভাস বানিয়ে দিয়ে লাভ কি!

কিন্তু ধরেন এটা আপনার উপর দায়িত্ব। সাংবাদিকতা করতে হলে জিজ্ঞেস করতেই হবে। তখন?
আমি আমার অবস্থান থেকে বলছি। আমি নায়িকার কাছে যেতাম এবং ভাবতাম আসলে কি প্রশ্ন করা যায়। ভাবতে ভাবতে এক সময় প্রশ্ন না করেই চলে আসতাম। এবং এও জানতাম যে শেষপর্যন্ত আমার জার্নালিজম-এর চাকরিটাই থাকতো না। কেননা আমি নিজে থেকে কাউকে ‍কিছু জিজ্ঞেস করতে পারি না। আর এমন কাণ্ডে ওই নায়িকাও রেগে যেতো। সবকিছু থেকে গেট আউট হয়ে যেতাম! আসলে যা সত্যি তাই কিন্তু আপনাকে বলছি। কারণ এতোক্ষণ ভেবেও বের করতে পারলাম না যে নায়িকাকে প্রথম কি প্রশ্ন করা যায়!

আর যদি নায়িকা না হয়ে সেটা নায়ক হয়, তাহলেও?
সেটা ডিপেন্ড করবে সে কেমন নায়ক বা কি কি কাজ করেছে তার উপর।  

ধরুন, আপনার সামনে শাহরুখ খান?
তাহলেতো তাকে প্রথমে টাইট করে জড়িয়ে ধরবো। এবং বলবো, আপনাকে অনেক সাংবাদিক এই জীবনে অনেক প্রশ্ন করেছে। একমাত্র আমিই আপনার লিস্টে থাকবো সবসময় যে কিনা আপনাকে কোনো প্রশ্নই করবে না। এই সময়টুকু আপনি বিশ্রাম নেন। স্টার হওয়ার পর থেকেতো সাংবাদিকরা আপনাকে জ্বালিয়ে মেরেছে।

সাংবাদিকের করা কোন্ ধরনের প্রশ্নে মনে বিষ আর মুখে হাসি রেখে উত্তর দেন নায়িকারা?
এইটার উত্তর দিতে পারলাম না। হার মানলাম।

সর্বশেষ কোন সিনেমা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন?
অ্যানিশেন মুভি ‘ট্রোলস’। ছবিটি কিন্তু দেখার সময় আমার মনেই হয়নি যে এটা একটা অ্যানিমেশন মুভি। আর বাংলায় ‘লাভ ম্যারিজ’। এ  দুটো সিনেমায় ঠিক মুগ্ধ না, কিন্তু বেশ এনজয় করেছি।
 
নায়িকা হিসেবে কাকে আইডল মানেন?
শাবানা মেম, ববিতা মেম এবং কবরী মেমকে। অভিনয়ের স্বপ্ন যখন বুনি তখন থেকেই তাদেরকে আইডল মানি।

এটাতো নতুন বা উঠতি নায়িকাদের কমন উক্তি। কিন্তু ধরেন গ্ল্যামারের ক্ষেত্রে বলা হলো। তখন কার নাম নিবেন?
এক কথায় ববিতা মেম। ইন্ডাস্ট্রিতে ওয়ান এন্ড অনলি গ্ল্যামারাস হিরোইন। একেবারে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত।  

বাংলাদেশের কোন নায়কের সাথে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করলে নিজেকে স্বার্থক মনে করতে চাইবেন?
এক কথায় সালমান শাহ।
 
আপিন কিন্তু যথেষ্ঠ ডিপ্লোমেটিক উত্তর দিচ্ছেন! তো এবার জীবিতদের মধ্যে কারো নাম নেন?
বুঝছি। আপনি আমাকে প্যাঁচে ফেলতে চাইছেন! যাইহোক, রিসেন্ট স্টারদের ভিতর থেকে কাউকে বেছে নিতে বললে বলবো, এমন কেউ নেই যার সাথে কো-আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করলে নিজের জীবন সার্থক মনে করবো। তবে স্টার যারা আছেন তাদের  সবার সাথেই কাজ করার ইচ্ছা বা আশা রাখি।

নায়িকার হাত ধরে টানাটানি ভিলেনের কাজ। এমন কোনো ভিলেন কি আছে যে সিনেমায় আপনার হাত ধরে টানাটানি করলে অসহ্য লাগবে বা নিতে পারবেন না?
হা হা.....! উহু নেই।

সবাইকেই নিতে পারবেন?
সবাইকে আমি নিতে যাবো কেনো। উনারাইতো নিবেন। কারণ টানাটানিতো উনারা করবেন, আমি না। আমার শুধু ছুটে যাওয়ার চেষ্টা থাকবে।

তারপরও টানাটানির সিনে ভিলেন হিসেবে আপনার কাকে পছন্দ?
অমিত ভাই(অমিত হাসান) এবং মিশা ভাই(মিশা সওদাগর)। কেননা উনাদের টানাটানিতেই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বড়ো বড়ো স্টার এসেছেন!   

ব্যস্ততা কি নিয়ে?
আমার একমাত্র ব্যস্ততা আসলে সিনেমার কাজ নিয়েই। দুটো সিনেমার কাজ চলছে। প্রথম সিনেমাটা হচ্ছে শাহীন-সুমনের পরিচালনায় ‘পাগলের মতো ভালোবাসি’। ছবিতে আমার বিপরীতে নায়ক হিসেবে আছেন আসিফ নুর ও সুমিত। এটার শুটিং প্রায় শেষের দিকে। আর দ্বিতীয় সিনেমার নাম ‘রাগী’। এটির কাজ এখনও শুরুর দিকেই আছে। এই ছবিটির পরিচালক মিজানুর রহমান মিজান। ছবিতে আমার কো-আর্টিস্ট আবীর। আরো আছেন মুনমুন আপু।

ছোটপর্দায় কোনো কাজ?
না। আমি আর কোনো মাধ্যমেই কাজ করিনি। ‘পাগলের মতো ভালোবাসি’ ছবিটিই মিডিয়ায় আমার প্রথম কাজ। সিনেমা দিয়েই আসলে আমার যাত্রাটা শুরু হলো।

কতো দূর যেতে চান?
দূরের কি কোনো শেষ আছে!

তারপরও একটা গোল থাকে না?
হুম। গোল বলতে আমিতো মাত্র শুরু করেছি। সেখান থেকে এটুকু বলতে পারি, চেষ্টা করবো যাতে কন্টিনিউ কাজ করে যেতে পারি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিএল

Wordbridge School
Link copied!