• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবহেলা নয় কান পাকলে


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২৭, ২০১৬, ০৫:০১ পিএম
অবহেলা নয় কান পাকলে

সোনালীনিউজ ডেস্ক

কান দিয়ে পুঁজ বা পানিজাতীয় কিছু বের হলে সাধারণভাবে সেটিকে কানপাকা বলা হয়। মধ্যকর্ণে সংক্রমণের কারণে কানের পর্দা ফেটে গেলে এভাবে পুঁজ বা পানি বের হয়।

অনেকেই মনে করেন, কানে পানি ঢুকলেই বুঝি কান পাকে। এ ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। সুস্থ কানে পানি ঢুকলে সমস্যা নেই। কিন্তু কানের পর্দায় আগে থেকেই ছিদ্র থাকলে, এরপর পানি ঢুকলে কান পাকতে পারে।

ঘন ঘন ঠান্ডা লাগলে বা অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হলে এবং নাক বা নাকের পাশের বায়ুপূর্ণ গহ্বরে (সাইনাস) সংক্রমণের কারণে কান পাকতে পারে। ঘুমের মধ্যে বা শোয়ানো অবস্থায় শিশুদের তরল খাবার (ফিডার বা বুকের দুধ) খাওয়ালেও কান পাকতে পারে।

কান পাকলে সতর্কতা:
* কান পরিষ্কার করার চেষ্টা করবেন না। কটন বাডস বা অন্য কিছু দিয়ে কানে খোঁচাখুঁচি করা যাবে না।
* খেয়াল রাখুন কানে যেন পানি না ঢোকে। গোসলের আগে তুলার টুকরা তেলে ভিজিয়ে চিপে নিয়ে কানে গুঁজে রাখুন। যত দিন কানের পর্দার ফুটো বা এর জটিলতাগুলো পুরোপুরিভাবে সেরে না যায়, তত দিন পর্যন্ত গোসল করার সময় এমন সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
* নিজে থেকে কানে ড্রপ ব্যবহার করবেন না। ইচ্ছেমতো নানান ধরনের কানের ড্রপ ব্যবহার করলে বারবার জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। পরে ওষুধ ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যায় না এবং নানান জটিলতার আশঙ্কা থাকে।
* নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং সেই অনুযায়ী পূর্ণ চিকিৎসা নিন। চিকিৎসা শুরুর পর কান পাকার লক্ষণগুলো কমে যেতে থাকলেও কোর্স শেষ করতে হবে। না হলে পরে শল্যচিকিৎসাও লাগতে পারে। কানের সংক্রমণ যদি আশপাশে (বিশেষ করে মস্তিষ্কে) ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে বড় ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। অবহেলা না করে সমস্যা দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ণ চিকিৎসা নিলে এ থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!