• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অলিগলিতে পশুর হাট


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১০, ২০১৯, ০৯:২২ এএম
অলিগলিতে পশুর হাট

নাখালপাড়া রেলগেট পাশেই বসেছে গরুর হাট, এছাড়া তেজকুনিপাড়া ফ্লাইওভারের পাশে ছোট পরিসরে সেখানেও বসানো হয়েছে গরুর হাট।  এমন অস্থায়ী হাটের চিত্র দেখা যায় রাজধানীর পান্থ’পথ, লালবাগ, হাজারীবাগ, ধানমন্ডিসহ আরও অনেক স্থানে; যেখানে হাট ইজারার কোনো অনুমতিই দেওয়া হয়নি।  আবার অনুমতি পাওয়া হাটগুলোও নির্ধারিতের চেয়ে বেশি এলাকা দখল করে কোরবানির পশু উঠানো হয়েছে। ফলে যানজটসহ বৃদ্ধি পাচ্ছে নানা ভোগান্তি।

পান্থপথে স্কয়ার হাসপাতালের বিপরীতে কনকর্ড টাওয়ারের পাশের রাস্তায় হাট বসিয়েছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালাহউদ্দিন ঢালী ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মনির হোসেন।  সিটি করপোরেশনে অভিযোগ জানিয়েও অনুমোদনহীন সেই হাট বন্ধ করতে পারেননি এলাকাবাসী।  

এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন ঢালীর ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।  তবে মনির হোসেন এ হাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন বলে জানান, ‘আগে হাট বসাতাম। এখন আর হাটের সঙ্গে নেই।’

পলাশী মসজিদ গলিতে প্রথমবারের মতো হাট বসেছে; যেটি রিকশা ও লেগুনা চলাচলের প্রধান পথ। কিন্তু হাটের কারণে সেদিক দিয়ে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এ ছাড়া গোবরসহ নানা ধরনের ময়লা-আবর্জনা জমে থাকলেও তা পরিষ্কারের কেউ নেই। আর হাজারীবাগের প্রতি মোড়ে মোড়েই গড়ে উঠেছে পশুর হাট।

স্থানীয় বাসিন্দা আহসান হাবীব বলেন, ‘এলাকার সব জায়গায়ই গরুর হাট। এখন কি আর ইজারা দেওয়ার প্রয়োজন আছে- যদি এমনই করা হয়, তা হলে আমাদের ভোগান্তির অবস্থা কে দেখবে?’

এদিকে বাবুবাজারের হাটের ইজারায় অনুমতি দেওয়া হয় ব্রিজ পর্যন্ত। কিন্তু সেই হাট ব্রিজ পার হয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালের আশপাশের গলি পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। এতে রোগীদের চলাচলের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও তাদের পণ্য সঠিকভাবে সরবরাহ করতে পারছেন না। বাড়তি হাট নিয়ন্ত্রণ করছেন স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে হাটের ব্যানারে ইজারাদার হিসেবে উল্লেখ করা টোকন নামে একজনকে ফোন দিলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ধূপখোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠেও অবৈধ হাট বসিয়েছে ছাত্রলীগ। বাইরে থেকে আসা পশুভর্তি ট্রাক দেখলেই তা আটকিয়ে মাঠে নিয়ে যাচ্ছে সংগঠনের কর্মীরা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত সম্পত্তি কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম শামীম বলেন, ‘ইজারা ও বরাদ্দের বাইরের হাট বসানোর বিষয় আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। কেউ আইন ভঙ্গ করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এএস

Wordbridge School
Link copied!