• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অহংকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না


ধর্মচিন্তা ডেস্ক এপ্রিল ২৪, ২০১৯, ০৬:৫৪ পিএম
অহংকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না

ছবি সংগৃহীত

ঢাকা: একজন মানুষের জঘন্যতম স্বভাব অহংকার। যে ব্যক্তি পূর্ণ ঈমানদার, তার অন্তরে কোনো অহংকার থাকবে না। মানুষের ঈমান ও আমল সব সৎগুণের ভিত্তিগুলো অহংবোধে বরবাদ হয়ে যায়।

এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, একবার হজরত ঈসা (আ.) আল্লাহপাককে জিজ্ঞেস করেছিলেন- হে মাবুদ, তোমার সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে অভিশপ্ত ব্যক্তি কে? উত্তরে আল্লাহপাক বলেন, যার অন্তরে অহংকার আছে। কথায় কাজে, যার দম্ভ বা অহমিকা কিংবা অহংকারের দাপট প্রকাশ পায়, নিঃসন্দেহে ওই ব্যক্তি আমার কাছে অপ্রিয়। অহংকার বা বড়াই করাকে আল্লাহ আদৌ পছন্দ করেন না।

আমাদের বংশ, সম্পদ, শিক্ষা, সৌন্দর্য কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। এ সবই আল্লাহপাকের মেহেরবানি ও তাঁর নেয়ামত।

সুতরাং আমরা শুধু তার গৌরব করব, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করব। কোনো অবস্থায় আমরা অহমিকা প্রকাশ করব না। অহংকার সম্পর্কে আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেছেন, নিঃসন্দেহে আল্লাহতায়ালা অহংকারীকে এবং দাম্ভিকতাকে পছন্দ করেন না। অহংকার, দম্ভ, ধাপ্পাবাজি ইত্যাদিতে লিপ্ত ব্যক্তিদের আল্লাহপাক লাঞ্ছনা ও দুর্গতিতে ফেলে শাস্তি প্রদান করবেন।

অহংকার সম্পর্কে আল্লাহপাক বলেছেন, অহংকারী ব্যক্তি কাফেরদের পর্যায়ভুক্ত। হজরত রসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, যার অন্তরে একটি সরিষা পরিমাণ অহংকার আছে, সে কখনোই বেহেশতে যাবে না। তিনি আরো বলেছেন, তোমরা নম্র ও বিনয়ী হও। আবু দাউদ ও তিরমিজি শরিফে বর্ণিত আছে, যেসব ব্যক্তি তাদের জাতি ও গোত্রের বংশ গৌরব বা পিতৃপুরুষের বংশ গৌরবে আত্মগরিমা প্রচার করে, তারা দোজখের অঙ্গারস্বরূপ।

সব মানুষই আদম সন্তান, আর আদম মাটির সৃষ্টি। এখানে অহংকার বা আত্মগরিমা পোষণ করা বোকামির নামান্তর।

অহংকার বা বড়াই করা ইসলামের আদর্শের পরিপন্থী। এ ধরনের স্বভাব মানুষকে অমানুষ ও গোমরাহ করে তোলে।

যারা সত্যিকারের জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান, তাদের আত্মগরিমা বা অহংকার করার মতো কিছু থাকে না। আল্লাহপাক আমাদের অহংকারের মতো অভিশপ্ত স্বভাব বর্জনের তৌফিক দিন।

আমরা যেন অহংকারী না হই। এজন্য প্রভুর কাছে দোয়া করতে থাকব- হে প্রতিপালক! তুমি আমার ও আমাদের মাতা-পিতার প্রতি যে নিয়ামত দিয়েছ, এর শোকর গোজারি করার তৌফিক দাও। আমিন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!