• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতের যে প্রশ্নে চুপ মিন্নি  


সোনালীনিউজ ডেস্ক জুলাই ১৮, ২০১৯, ১১:১০ এএম
আদালতের যে প্রশ্নে চুপ মিন্নি  

ঢাকা : বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যার পর যে ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল, সেখানে স্বামীকে বাঁচানোর এক নারীর আপ্রাণ চেষ্টা দেখে নিহতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির প্রতি সমবেদনা ছিলো সবার। কিন্তু ঘটনার কয়েকদিন পর সিসিটিভির দ্বিতীয় ফুটেজ দেখে সন্দেহ হয় মিন্নির প্রতিও। ওই সূত্র ধরেই গত সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন পুলিশ। সেখানে প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি মিন্নি। তাই ওইদিনই রাত ৯টায় সংবাদ সম্মেলন করে তাকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। পরে তাকে যখন আদালতে হাজির করা হয়, সেখানেও একটি প্রশ্নে আটকে যান তিনি। তখনই বিচারক মিন্নিকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়ার নির্দেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির আদালতকে বলেন, মিন্নি এ মামলার প্রধান সাক্ষী হলেও মামলার ১২ নম্বর আসামি রেজোয়ানুল ইসলাম ওরফে টিকটক হৃদয় গত ১৪ জুলাই আদালতে মিন্নি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া মামলার একাধিক অভিযুক্তের সাথে মিন্নির কথোপকথনের প্রামাণাদি আদালতে তুলে ধরেন।

বুধবার (১৭ জুলাই) মিন্নির রিমান্ড শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন- রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস বলেন, মিন্নির শুনানির সময় আদালতে রিফাত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্য শেষে আদালত মিন্নির সাথে কথা বলেন। আপনার পক্ষে কোনো আইনজীবী আছে কি না? এবং আপনার কোনো কিছু বলার আছে কি না? আদালতের এমন প্রশ্নের জবাবে মিন্নি বলেন, আমি নির্দোষ। আমি রিফাত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত নই। আমি আমার স্বামী রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

সঞ্জীব দাস আরো বলেন, আদালত রিফাত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের সাথে হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে মোবাইলফোনে কথোপকথনের পাশাপাশি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে মিন্নি চুপ হয়ে যান এবং আদালতের এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে আদালতের বিচারক মো. সিরাজুল ইসলাম গাজী তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য গত (২৬ ‍জুন) বরগুনা সরকারি কলেজের প্রধান ফটকে খুন হন রিফাত শরীফ। এই হত্যাকাণ্ডে প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!