• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এই সময়ে স্পর্শিয়ার রোমান্স


বিনোদন প্রতিবেদক এপ্রিল ৩, ২০২০, ০২:১৮ এএম
এই সময়ে স্পর্শিয়ার রোমান্স

ঢাকা : অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া। বিজ্ঞাপন ও ছোটপর্দায় কাজের মধ্য দিয়ে দর্শকপ্রিয়তা পান তিনি। করোনা মহামারীতে গোটা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে আছে। যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ- সবখানে ভাইরাস প্রতিরোধে নিরাপদে থাকার আকুতি। এমনই করুন করোনাকালে অন্যরকম এক প্রেমময় বার্তা নিয়ে হাজির হলেন লন্ডনপ্রবাসী সংগীতশিল্পী প্রীতম আহমেদ এবং ঢাকার অভিনেত্রী স্পর্শিয়া। গত ৩০ মার্চ অন্তর্জালে প্রকাশ হলো প্রীতমের কথা-সুর-কণ্ঠের নতুন মিউজিক ভিডিও ‘চলো একসঙ্গে বুড়ো হই’। স্থিরচিত্র দিয়ে সাজানো গানটির ভিডিওতে প্রীতমের সঙ্গে মডেল হিসেবে দেখা গেছে স্পর্শিয়াকে। জানা গেছে, এর ভিডিও তৈরি থাকলেও সেটি প্রকাশ করা হবে করোনাকাল পেরিয়ে।

‘একটা জীবন ফুরিয়ে গেলে ফেরত পাবো কই/ চলো আমরা দুজন একসাথে বুড়ো হই’- এমন কথায় সাজানো গানটি প্রসঙ্গে প্রীতমের মন্তব্য এমন, ‘প্রতিদিন হাজারো মানুষ মরছে। কে কখন চলে যাব কেউ জানি না। হতেও পারে এটাই আমার বা আপনার শেষ গান। তাই যতদিন বাঁচি, আসুন আপনজনের সঙ্গে বাঁচি।’

লন্ডন থেকে প্রীতম আরো বলেন, ‘এটা ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়ার গান। প্রেরণা সংগীতও বলতে পারেন। গোটা বিশ্বের যে অবস্থা, যেদিকে যাচ্ছি আমরা, সেটি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য এমন প্রতিজ্ঞা। আমাদের সবারই করা দরকার। করোনা দিয়ে আমরা আবারো জেনেছি, জীবন খুবই ঠুনকো। যেখানে ভালোবাসার কোনো বিকল্প নেই।’

স্পর্শিয়া বর্তমানে অভিনয়ে জনপ্রিয় হলেও নিজেকে আরো পরিপক্ব করতে চান স্পর্শিয়া। তিনি বলেন, ‘নিজের মধ্যে এখনো নায়িকা নায়িকা ভাব কাজ করে না। তবে কষ্ট করে একটি কাজ করেছি, সেটা বড়পর্দায় আসছে। আমার অভিনয় দর্শকের ভালো লাগবে নাকি খারাপ লাগবে সেটা নিয়েই বেশি ভাবছি। এর বেশি কিছু নয়। একজন অভিনেত্রী হিসেবে সব সময় চাই মানুষ আমার কাজ পছন্দ করুক।’

চরিত্রের মধ্যে বৈচিত্র আর অভিনয়ের জায়গা আছে কি না তা-ই দেখে অভিনয় করেন এ তারকা। গল্প মনের মতো হলে ওই নাটকে কাজ করেন। স্পর্শিয়া বলেন, ‘এমনিতেও আমার বই পড়ার অভ্যাস আছে। ফলে ধৈর্য নিয়ে চিত্রনাট্য পড়তে অসুবিধা হয় না। তাই আমাকে কেউ উল্টাপাল্টা বুঝিয়ে কাজ করাতে পারে না। আবার নিজের ভালো না লাগলে সে কাজটিও করি না।’

অভিনয়ের পাশাপাশি ইউটিউবে নিজের চ্যানেলেও উপস্থাপনা করেন। এক্ষেত্রে তার নিজস্ব একটি দল আছে বলে জানান।

বড়পর্দায় অভিনয়ের সঙ্গে ছোটপর্দার অভিনয়ে বিস্তর ফারাক বলে মন্তব্য করেন স্পর্শিয়া। তিনি বলেন, ‘সিনেমায় অনেক সময় দিতে হয়। নাটকে যেমন চিত্রনাট্য পড়লাম, কসটিউম গুছালাম তারপর চলে গেলাম শুটিংয়ে। দুই দিন শুটিং করেই কাজ শেষ। কিন্তু সিনেমার বিষয়টি তো আলাদা। এখানে প্রতিটি কাজ অনেক ভেবেচিন্তে করতে হয়। একটি সিনেমা করার জন্য দুই থেকে তিন মাসের প্রস্তুতি থাকে। শুটিংয়ের পরেও ডাবিংসহ নানা কাজ করতে হয়। সে কারণে দীর্ঘদিন নাটকে নেই। নাটক আর সিনেমা একই সঙ্গে চালিয়ে যেতে চাই না। যে কোনো একটিতে ভালোভাবে কাজ করতে চাই। আর এখন যেহেতু সিনেমা করছি। সামনে আরো কয়েকটি সিনেমার কাজ আছে। সবমিলিয়ে শিগগিরই নাটকে কাজ করার পরিকল্পনা নেই।’

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারে স্পর্শিয়া বলেন, ‘কতটুকু হয়েছি, সেটা বলতে পারব না। তবে প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রস্তুত করছি। এমন নয় যে, আমি পুরোপুরি নাচগানে ভরপুর চলচ্চিত্র করছি বা করব। আমার অভিনয় করার সুযোগ আছে, ভালো গল্প এবং ভালো কিছু দিতে পারব এমন চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চাই। তবে বাণিজ্যিক ছবিতে খুব বেশি অভিনয় করতে চাই না। কারণ এ ধরনের চলচ্চিত্রে অভিনয়টা ঠিক উপভোগ করি না।’

টিভিপর্দায় ২০১১ সালে ‘অরুণোদয়ের তরুণ দল’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন স্পর্শিয়া। পেছন ফিরে তাকানো হয়ে ওঠেনি আর। পরে ২০১৩ সালে ‘ইম্পসিবল-৫’ নাটকের মাধ্যমে দর্শকদের হূদয়ে স্থান পান। রীতিমতো তারকা বনে যান। সে জনপ্রিয়তার পালে হাওয়া লাগে বিটিভিতে প্রচারিত নাটক ‘উজান গাঙ্গের নাইয়া’ প্রচারের পর। এখন তো পুরোদস্তুর নায়িকা। নিজের ব্যাপারে এ তারকা বলেন, ‘আমার মধ্যে লুকোচরি বলে কিছু নেই। কথায় কথায় সব বলে দেওয়া লোক আমি। কখনো নিজের গোপন কিছু রাখিনি। ভালোকে ভালো, খারাপকে খারাপ মুখের ওপরই বলে দেওয়া শিখেছি। এ জন্য স্পর্শিয়াকে পড়া সহজ। পড়তেও পারেন সবাই। মিডিয়ায় আমার খুব একটা কাছের বন্ধু নেই। যারা আছেন তারা আমাকে ভালোভাবেই চেনেন। আমার কথায় তারা অনেক সময় বিরক্তও হন। বিরক্ত হলেও সমর্থন করেন। কারণ আমি সঠিকটা বলি। ভণিতা করতে পারি না।’

স্পর্শিয়ার হাতে বিভিন্ন ছবিতে অভিনয়ের অফার আছে। তাই বেকার হওয়ার আশঙ্কা নেই। আছে কাজের অফুরন্ত সুযোগ। স্পর্শিয়ার হাসিকে অনেকেই ‘ক্রাশ’ হাসি বলে। এ রকম হাসিতে নাকি হূদয় নড়বড়ে হয়ে যায়। হাসলে দেখতে পাওয়া আঁকাবাঁকা দাঁতগুলো ছড়ায় অন্যরকম মোহ, যে মোহের মায়ায় পড়েন অনেকেই।

তবে এহেন সময়ে স্পর্শিয়া-প্রীতমের রোমান্স, আলোচনার পরিবর্তে সমালোচনাই বাড়ছে বেশি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!