• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এক বছর অপেক্ষার পর মিলল যে ছবি


ফিচার ডেস্ক জুন ১, ২০১৯, ০৮:০৬ পিএম
এক বছর অপেক্ষার পর মিলল যে ছবি

ঢাকা: একটা ভালোমানের ছবি তোলার জন্য একজন ফটোগ্রাফারকে কতটা কষ্ট করতে হয় তা শুধু যারা ছবি তোলেন তারাই জানেন। অনেকবার চেষ্টার পর হয়তো মনের মতো ছবিটি ধরা পড়ে ক্যামেরার ফ্রেমে। আবার অনেক সময় এক ক্লিকেই উঠে যায় বিখ্যাত কোনো ছবি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটা ভালো ছবি তুলতে অনেক পরিশ্রম করতে হয় আলোকচিত্রীকে। সত্যিকার অর্থে ছবিটি শিকার করতে হয় তাকে।

একজন ফটোগ্রাফার অনেক সময় অনেক চেষ্টার পরও তার কাঙ্ক্ষিত ছবিটি তুলতে ব্যর্থ হন। সময় ও পরিস্থিতি বাধা হয়ে দাঁড়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। তবে এতকিছুর পরও ছবি তোলার ইচ্ছেটা মরে না কোনো ফটোগ্রাফারেরই। তেমনি এক ফটোগ্রাফার স্টিভ বায়রো। কানাডিয়ান এই আলোকচিত্রীর অনেকদিনের চেষ্টা ছিল শিকারের অপেক্ষায় থাকা ঈগলকে ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি করা। দীর্ঘ অনেকদিন সাধনার পর তিনি তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছেন। অবশেষে তিনি তুলতে পেরেছেন বিখ্যাত হবার মতো একটা ছবি।

সম্প্রতি তার তোলা সেই ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ঝড় তুলেছে। রীতিমত প্রশংসার বন্যায় ভাসছেন বায়রো। ছবিটির মধ্যে দেখা যায়, হলুদ কমলাটে ধারালো ঠোঁট আর তীক্ষ্ম একজোড়া চোখের একটা ঈগল। শিকারের প্রতি গভীর মনোযোগ। বিশাল দুটি ডানা পুরোপুরি মেলে দিয়েছে। পানিতে তার প্রতিবিম্ব পড়েছে। মনে হচ্ছে এক্ষুণি পানিতে থাকা শিকার তুলে আনবে সে। শুধু যেন মুহূর্তের অপেক্ষা। একেবারে নিখুঁত ফটোগ্রাফি বলতে যা বোঝায় ছবিটা যেন তারই প্রতিফলন।

ছবিটি নিয়ে ফটোগ্রাফার স্টিভ বায়রো জানান, ‘ব্যাল্ড প্রজাতির এই ঈগলটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি এটির নাম দিয়েছি ব্রুস। ছবিটি তুলতে আমাকে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হয়েছে।’ আলোচিত এই ছবিটি তুলেছেন পাখিদের অভয়ারণ্য খ্যাত কানাডিয়ান র‍্যাপটর কনজারভেন্সিতে। এরপর ফেসবুকে আলোকচিত্রীদের একটি গ্রুপে ছবিটি পোস্ট করেন তিনি। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় এটি। বায়রো জানান, এই ছবিটি ছাড়াও ঐ দিন তিনি আরও বেশকিছু পাখির ছবি তুলেছেন।

তিনি বলেন, ‘বছর খানিক আগেও এইরকম একটি ছবি তুলতে অনেক চেষ্টা করেছি। পারিনি। তখন বুঝতে পেরেছিলাম মনের মতো ছবিটি তোলার জন্য আমি সঠিক অবস্থানে নেই। যেমনটা চাচ্ছি তেমনটা হচ্ছিল না।’

তবে এইবার আর সুযোগ হাতছাড়া করেননি এই ফটোগ্রাফার। এই ছবিটা তুলতে নদীর ধারে একটি পাথরের ওপর শুয়ে থাকতে হয়েছিল তাকে। ব্যাল্ড প্রজাতির এই ঈগলটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রতীক। পাশের দেশ কানাডাতেও এর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।

ডেইলি২৪লাইভ/ঢাকা/এসএস

Wordbridge School
Link copied!