• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এবারও এলো নয়া বাজেট


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৩, ২০১৬, ০৪:৪৩ পিএম
এবারও এলো নয়া বাজেট

বাজেট আসে বাজেট যায়। সেই পরিক্রমায় এবারও নয়া বাজেট ঘোষণা করা হলো। নতুন বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট হলো আগামী এক অথর্ বছরের আয় ও ব্যয়ের হিসাব। কোন কোন খাত থেকে  টাকান আসবে আর কোন খাতে কি পরিমান টাকা খরচ করা হবে তার পাওয়া যাবে বাজেটে। প্রতি বছরই বাজেট বরাদ্দ বাড়ে। প্রস্তাবিত বাজেট যখন বছর শেষে মেলে না, তখন নতুন বাজেট ঘোষণাকালে আগের বছর ঘোষিত বাজেটের সংশোধিত রূপ ঘোষণা করা হয়।

অর্থমন্ত্রীর বাজেট প্রস্তাবে তাতে আয় ও ব্যয়ের হিসাবে সামগ্রিক ঘাটতি থাকছে ৯৭ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা।এই ঘাটতির পরিমাণও মোট জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যেই থাকছে, যা অর্থনীতির বিবেচনায় সহনীয় বলে ধরা হয়। আমাদের দেশে বা এমনি অনুন্নত দেশগুলোতে সবসমযই ঘাটতি বাজেট হয়ে থাকে। এবারের বাজেটে ব্যয়  এবং আয় বেশি ধরা হয়েছে। নতুন বাজেটে ব্যয় বিদায়ী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে সাড়ে ১৫ শতাংশ এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি। প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার এই বাজেটের মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৭ কোটি টাকা; যার এক লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা যাবে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি)। আর অনুন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ৩২ শতাংশ বেশি। এই অনুন্নয়ন ব্যয়ের বড় একটি অংশ যাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং পেনশনে। এর সঙ্গে বিদেশি ঋণের পুঞ্জীভূত সুদ মেটানোর দায়ও রয়েছে। ঘোষিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে কর হিসেবে ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা আদায় করা যাবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী।

এবারের বাজেটে সবচেয়ে বেশি কর আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে, ৭২ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা। যা বিদায়ী অর্থবছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মূল বাজেটে ভ্যাট থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা ছিল ৬৪ হাজার ২৬২ কোটি টাকা। লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৫৩ হাজার ৯১৩ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। আয়কর ও মুনাফার উপর কর থেকে ৭১ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়ার আশা করা হয়েছে এবারের বাজেটে। বিদায়ী বাজেটে এর পরিমাণ ছিল ৬৪ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। এছাড়া নতুন বাজেটে আমদানি শুল্ক থেকে ২২ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক থেকে ৩০ হাজার ৭৫ টাকা, রপ্তানি শুল্ক থেকে ৪৪ কোটি টাকা, আবগারি শুল্ক থেকে ৪ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর ও শুল্ক থেকে ১ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

তবে আমাদের দেশে বাজেট ঘোষনার আগে ওপরে কিছু জিনিসের দাম বাড়ে।  এর কারন কিছু পণ্যের ওপর সরকার কর বৃদ্ধি করলে তার দাম বাড়্ এেবার দেশীয় শিল্প কারখানার উৎপাদিত পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, আমদানীকৃত বিলাশ সামগ্রীর দাম বাড়তে পারে। তাছাড়া তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়বে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাজেটের কারনে বাড়বে না বলেই মনে হয়। আমাদের দেশে সরকারি দল বা তাদের সমর্থকরা ঘোষিত বাজেটকে গনমুখী এবং বিরোধীরা ঘোষিত বাজেটকে গরীব মারার বাজেট বলে অবিহিত করে থাকে। আসলে বাজেটে মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেলে, আয় বাড়বে- আর তাতেই  হবে জনকল্যান। তখনই বাজেটকে বলা যাবে কল্যানমুখী বাজেট। দেশের বেশির ভাগ মানুষ গ্রমে থাকেন,  তাই  গ্রামীন জনগনের উন্নতির বিষয়কে ঘোষিত বাজেটে কতটা গুরুত্ব দেযা হয়েছে তা লক্ষ্য করার বিষয়। এবার বজেটে পরিবহন খাতকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এরপর যথারীতি শিক্ষা এবং তারপর জনপ্রতিরক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত।

সোনালীনিউজ/ঢাকা

Wordbridge School
Link copied!