• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনা ভাইরাস ও মাস্ক


পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি মার্চ ১১, ২০২০, ০২:২৮ পিএম
করোনা ভাইরাস ও মাস্ক

ঢাকা : বর্তমানে বিশ্বের বহু দেশেই ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর একটি প্রচলিত ব্যবস্থা হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার। চীনে নভেল করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবরে মানুষের মাঝে হঠাৎ বেড়ে গেছে মাস্কের ব্যবহার। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিন ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার পর মাস্কের চাহিদা বেড়েছে বহুগুণে।

শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সের মানুষ করোনা ও বায়ু দুষণের হাত থেকে বাঁচতে হরহামেশা নাক আর মুখ ঢাকা মুখোশ পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে এমন ধারণা পাওয়ার জন্য চারপাশে মাস্ক পড়া মানুষের একটি দৃশ্যই যথেষ্ট।

আঠারো শতকে প্রথম সার্জিক্যাল (অ্যান্টি ডাস্ট মাস্ক) মাস্কের চল শুরু হয়। বায়ুবাহিত ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এই মাস্ক কতটা কার্যকর সে ব্যাপারে যথেষ্টই সংশয়ে আছেন ভাইরোলজিস্ট বা ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা। তাদের ভাষ্যমতে সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক বায়ুবাহিত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে যথেষ্ট নয়। তবে হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কিছুটা কমাতে সাহায্য করতে পারে এই মাস্ক। আর হাত থেকে মুখের সংক্রমণের বিরুদ্ধেও কিছুটা সুরক্ষা দেয় এটি।

করোনা ভাইরাসের খবরে বাংলাদেশে হঠাৎ মাস্কের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতার চাহিদা মেটাতে পোশাক কারখানাগুলোতে রেক্সিন ও নেটজাতীয় কাপড় দিয়ে মাস্ক তৈরির ধুম পড়েছে। কারখানাগুলোর মালিক-কর্মচারীরা মাস্ক তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পোশাক ব্যবসায়ী, হকাররা ও সাধারণ শ্রেণি পেশার মানুষেরা বিভিন্ন নকশা ও রঙের মাস্ক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

অপরদিকে অজুহাত, সংকট ও সুযোগের কথা বলে ব্যবসায়ীরা বেশি দামে মাস্ক বিক্রি করছেন। আগে ফুটপাতে বা বাসে হকাররা কাপড়ের যেসব মাস্ক ৫ থেকে ১০টাকায় বিক্রি করতো এগুলো বর্তমানে ২০ থেকে ৪০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সর্বনিম্ন ২০টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৭৫০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এই মাস্ক।

সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে। গবেষকরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের আকার ১২০ থেকে ১৬০ন্যানোমিটার, যা ভালোমানের মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যায়। এ কারণে বাংলাদেশেও বেড়েছে এর চাহিদা।

দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা পুঁজি করে মাস্কের কৃত্রিম সংকট তৈরি এবং তা অধিক মূল্যে বিক্রি করার অভিযোগে শাস্তি প্রদানে মাঠে নেমেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!