• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কাঁদলেন খালেদা জিয়ার বোন


নিউজ ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০, ০৮:৫৮ পিএম
কাঁদলেন খালেদা জিয়ার বোন

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ, কিন্তু তা গোপন করছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের চিকিৎসকরা- হাসপাতালে বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করার পর এমনটাই অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। 

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন স্বজনরা। স্বাস্থ্যের চরম অবনতি হওয়ায় মানবিক দিক বিবেচনায় বেগম জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তার বোন বেগম সেলিমা ইসলাম। 

তিনি বলেন, তার বর্তমান অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার বিকল্প নেই, সেজন্যই বিএনপি নেত্রীর মুক্তি প্রয়োজন। বেগম জিয়ার যে চিকিৎসা প্রয়োজন বিএসএমএমইউতে তা হচ্ছে না জানিয়ে সেলিমা ইসলাম দাবি করেন সেখানকার চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য নিয়ে সত্য বলছেন না। বিকেলে বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন খালেদা জিয়ার মেজোবোন সেলিমা ইসলাম।

এদিকে, মঙ্গলবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম জিয়াকে দেখতে বিএসএমএমইউ এ আসেন তার পরিবারের পাঁচ সদস্য। মেজোবোন সেলিমা ইসলাম ও ভাই সাঈদ ইসকান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমাসহ পরিবারের আরো তিন সদস্য দেখা করেন বেগম জিয়ার সঙ্গে। প্রায় দেড়ঘণ্টা ভেতরে অবস্থানের পর বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই বোন সেলিমা ইসলাম দাবি করেন, আগের থেকে আরো অবনতি হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার।

তিনি আরো বলেন, বেগম জিয়ার বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি হাঁটতে পারছেন না। এক হাত বেঁকে গেছে। ডায়াবেটিস বেড়েছে। কারো সাহায্য ছাড়া তিনি ৫ মিনিটও দাঁড়াতে পারেন না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বেগম জিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেলিমা ইসলাম বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য মানবিক বিবেচনায় বেগম জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া উচিৎ।

সেলিমা ইসলাম বলেন, শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা বিবেচনা করে তাকে মুক্তি দেয়া উচিত। তাহলে আমরা তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারবো। জামিন ছাড়া সেটা সম্ভব না।  

উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন শারীরিক নানা সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর আগে বেশ কয়েকবার তার উন্নত চিকিৎসার জন্য মুক্তি দাবি করে বিএনপি ও তার পরিবার। 

সোনলীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!