• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কয়লাবাহী প্রথম জাহাজ পায়রায়


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯, ০১:০৪ পিএম
কয়লাবাহী প্রথম জাহাজ পায়রায়

ঢাকা : পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রায় ২০ হাজার টন কয়লা নিয়ে প্রথম জাহাজটি দেশে পৌঁছেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ইন্দোনেশিয়া থেকে জাহাজটি পায়রায় পৌঁছায়। এর মধ্য দিয়ে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জন্য জ্বালানি আমদানি শুরু হলো।

পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শাহ আবদুল মাওলা বলেন, ‘কয়লা বোঝাই শেষে জাহাজটি গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানি করা কয়লার জাহাজটি এসে পৌঁছেছে।’

তিনি বলেন, কেন্দ্রটির জন্য জাহাজটিতে ১৯ হাজার ৭৯০ টন কয়লা আনা হয়েছে। এখন থেকে নিয়মিত ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আনা হবে বলে জানান তিনি।

আবদুল মাওলা জানান, বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জাহাজ থেকে কয়লা ইয়ার্ডে আনলোড করার কাজ শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির টেস্টিং শিগগিরই শুরু হবে বলে জানান তিনি।

রাষ্ট্রীয় নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনের সিএমসি পায়রায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে। এটির নির্মাণ একেবারে শেষের পথে। কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট আগামী ডিসেম্বরে এবং দ্বিতীয় ইউনিট আগামী বছর মাঝামাঝি বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে।

গত ১৬ জুন এই কেন্দ্রের কয়লা সরবরাহের জন্য চুক্তি করে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল)। সে অনুযায়ী ১০ বছর ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি পিটি বায়ার্ন রিসোর্চ টিবিকে কেন্দ্রটির জ্বালানি সরবরাহ করবে। পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বলছে, ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানি পিটি বায়ার্ন রিসোর্চ টিবিকে এ অঞ্চলের সব থেকে বড় কয়লা সরবরাহকারী কোম্পানির একটি। কয়লা উৎপাদনের সঙ্গে পিটি বায়ার্নের রয়েছে বন্দর অবকাঠামোও।

এ ছাড়া কয়লা পরিবহনের জন্য জার্মানির কোম্পানি ওলডেনডরফের সঙ্গে আলাদা চুক্তি করছে বিসিপিসিএল। ওই চুক্তিটির মেয়াদ ৫ বছর। ওলডেনডরফ বিশ্বের সমুদ্র পরিবহনে প্রথম শ্রেণির একটি কোম্পানি।

প্রতি টন কয়লার বর্তমান মূল্য ধরা হয়েছে ৫৫ ডলার। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ ২৫ ডলার যোগ হয়ে পায়রা কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছাতে ব্যয় দাঁড়াবে ৮০ ডলার।

কয়লার জাহাজ আসতে ১২ মিটার ড্রাফট প্রয়োজন হলেও দেশের মোংলা এবং পায়রাবন্দর এলাকায় এই ড্রাফট নেই। মাতারবাড়ীতে বন্দর নির্মাণ করা হলে সেখান থেকে লাইটার জাহাজে করে কয়লা অন্য বন্দরগুলোতে নেওয়া যেতে পারে।

পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র বলছে, এখন সরাসরি ৫০ হাজার টনের জাহাজের অর্ধেক অর্থাৎ ২৫ বা ২৬ হাজার টন ভরে কেন্দ্রের জেটিতে সরাসরি জাহাজ আনা হবে। এক বছর পর আন্দামানে ৩ লাখ টনের জাহাজ আনা হবে। সেখান থেকে পরে লাইটার জাহাজে করে কেন্দ্র এলাকায় কয়লা আনা হবে। এতে পরিবহন খরচ কিছুটা কমবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!