• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খরচই তুলতে পারেনি অনেক প্রকাশনী


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬, ০৩:৫৫ পিএম
খরচই তুলতে পারেনি অনেক প্রকাশনী

সোনালীনিউজ ডেস্ক

অমর একুশে বইমেলা এবার পরিসর বাড়ানো হয়েছে। ধারণা ছিল বিক্রি রেকর্ড ছাড়াবে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এখনো পর্যন্ত স্টলের জন্য ধার্য চাঁদার টাকাও তুলতে পারেনি অনেক প্রকাশনী।

দি স্কাই পাবলিশার্সের নজরুল ইসলাম বলেন, গতবার রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলেও বিক্রি ছিল তবে এবার এখনো পর্যন্ত স্টলের জন্য ধার্য টাকাটাও তুলতে পারিনি। স্টলে চারজন লোক বসে থাকি অথচ ক্রেতার উপস্থিতি একেবারেই নাজুক।

নিজের স্টল সর্বকোণে হওয়ায় এই অবস্থা জানিয়ে তিনি বলেন, “নামি স্টলগুলো সবসময় ভালো অবস্থান পাচ্ছে। অথচ তুলনামূলক কম পরিচিত স্টলগুলো এদিক ওদিক হচ্ছে। ৩১ জানুয়ারি কিছু প্রকাশনী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে স্থান পরিবর্তন করে নিয়েছে। জানি না কিভাবে কী করেন। হয়ত কোথাও দুর্নীতি হচ্ছে।”

মেলায় আসা লেখক নির্ঝর বলেন, “স্টলে এসে বসে আছি, অথচ ক্রেতারা ফোনে জানান স্টল খুঁজে পাচ্ছি না। এমন অনেকেই হয়ত মাঝপথ ঘুরে যাচ্ছেন।”

মা প্রকাশনীর কর্মকর্তা আকরাম হোসেন রাসেল জানান, ট্রান্সপোর্ট সমস্যাকে বিক্রির ভাটা হিসেবে দেখছেন।

তিনি বলেন, দেখতেই পাচ্ছেন বসে আছি অথচ স্টল দর্শনার্থী শূন্য। বঙ্গবাজারের দিক থেকে কোনো দর্শনার্থী পরিবহনে করে আসতে পারছেন না। আমি নিজেও স্টলে বই আনার সময় এই ভোগান্তিতে পড়েছি। আমাকে পুরো পথ হেঁটে আসতে হয়েছে।

এছাড়াও রিয়া প্রকাশনী, চর্চা গ্রন্থ প্রকাশ, প্লাটফর্ম প্রকাশনী, শব্দশিল্প ও গদ্যপদ্য প্রকাশনার কর্মকর্তারা স্টল সিরিয়াল ব্যবস্থাপনাসহ মেলার নানা অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলেন।

এবারে একুশে বইমেলার সমন্বয়ক জালাল আহমেদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি জানান, মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি নেই। এছাড়া মেলার স্টল বরাদ্দ নিয়ে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!