• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গৃহদাহে পুড়ছে বিএনপি


মহিউদ্দিন খান মোহন অক্টোবর ১৭, ২০২০, ০৪:৪২ পিএম
গৃহদাহে পুড়ছে বিএনপি

ঢাকা : দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি সম্পর্কে আপাত সর্বশেষ খবর হলো, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাসা আক্রান্ত হয়েছে দলীয় কর্মীদের দ্বারা।

সংসদীয় আসন ঢাকা-১৮-এর উপনির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের কর্মী-সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে গত ১০ অক্টোবর। ওই আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে আবেদন করেছিলেন নয়জন নেতা। দল মনোনয়ন দেয় যুবদলের ঢাকা মগহানগর (উত্তর) কমিটির সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনকে।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বঞ্চিত নেতাদের সমর্থকরা মহাসচিবের বাসার সামনে জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয় এবং ইটপাটকেল ও ডিম নিক্ষেপ করে বলে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, মহাসচিব তখন বাসাতেই ছিলেন। ঘটনাটি রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

কেননা এর আগে মনোনয়ন বঞ্চিতদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বা চেয়ারপারসনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ করার নজির থাকলেও দলের মহাসচিবের বাসায় হামলার ঘটনা এটাই প্রথম। হামলার পরে দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এর সঙ্গে সরকারের এজেন্টরা জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে।
পরদিন ১১ অক্টোবর রাতে দলটির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে, যেটাতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেছেন। ওই ঘটনার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

লক্ষণীয় হলো, স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও ঘটনাকে সরকারের এজেন্টদের কাজ বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। অবশ্য রাজনীতিতে ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর এমন প্রয়াস সব সময়ই দেখা যায়। এটা সব রাজনৈতিক দলই করে। কোনো কিছু নিয়ে বেকায়দা অবস্থা তৈরি হলেই প্রতিপক্ষের ওপর দায় চাপিয়ে নিজেরা পানি থেকে ডাঙ্গায় ওঠা হাঁসের মতো পালক ঝাড়া দিয়ে শরীরকে ঝরঝরে করার চেষ্টা করে।

সরকারের এজেন্টরা মহাসচিবের বাসায় হামলা করেছে বলে বিএনপি দাবি করলেও একদিন পরেই তারা দলের স্থানীয় ১৩ জন নেতাকে ওই ঘটনার দায়ে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। এখন প্রশ্ন হলো, ওই ১৩ জন কি আসলেই সরকারের এজেন্ট? যদি হয়ে থাকে তাহলে এমন এজেন্ট বিএনপিতে আর কতজন আছে?

এ ঘটনা বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে চরম হতাশার সৃষ্টি করেছে। একজন ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী সেদিন ফোনে বলছিলেন, দলের এই চরম দুর্যোগের সময়েও যদি নেতারা ঐক্যবদ্ধ এবং দলের স্বার্থকে ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে স্থান দিতে না পারেন, তাহলে এ দলের ভবিষ্যৎ কী?

তাকে বললাম, বিএনপির ভবিষ্যৎ বলা আমার মতো স্বল্প জ্ঞানের মানুষের পক্ষে অসম্ভব। তবে এটা বলতে পারি, তোমাদের নেতাদের মধ্যে দলীয় চেতনা দিন দিন লোপ পাচ্ছে। ফলে দলের কর্মী হওয়ার প্রধান যে পূর্বশর্ত দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া, তার প্রচণ্ড অভাব দেখা যাচ্ছে। তোমাদের নেতারা ‘আমরা’ ও ‘আমাদের’ শব্দ দুটি ভুলে গেছে। তার জায়গা দখল করেছে ‘আমি’ ও ‘আমার’।

এই সংকীর্ণ ভাবনা থেকে যতদিন তোমাদের নেতারা বের না হতে পারবেন, ততদিন আশার সূর্য দেখার আশা না করাই ভালো।

কর্মীটি আমার কথার সঙ্গে সহমত পোষণ করে বলল, দেখেন না, বড় বড় নেতা কীরকম বেসুরে কথা বলছেন! দলে কোনো শৃঙ্খলা আছে বলে তো মনে হয় না। চোখের সামনে নিজেদের গড়া দলটি শেষ হয়ে যাচ্ছে, অথচ কিছুই করতে পারছি না। হতাশ কর্মীটি ফোন রেখে দিলেন।

বুঝতে পারলাম বড় নেতা বলতে তিনজন কেন্দ্রীয় নেতার সাম্প্রতিক বক্তব্যের দিকেই সে ইঙ্গিত করেছে। কয়েকদিন আগে একটি টিভি চ্যানেলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, মেজর হাফিজউদ্দিন আহমদ (অব.) এবং ব্যারিস্টার মেজর শাহজাহান ওমর (অব.)-এর দেওয়া বক্তব্য দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

তাদের ওই বক্তব্য নিয়ে একাধিক দৈনিকে বিশেষ প্রতিবেদনও  প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। কেন হঠাৎ করে এই তিন সিনিয়র নেতা দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সম্বন্ধে অমন খোলামেলা সমালোচনা করলেন তা অনেকের কাছেই কুয়াশাচ্ছন্ন। এদের মধ্যে শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেনের মন্তব্য ছিল একেবারে চাঁছাছোলা। তিনি বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া কীসের আপসহীন? আপস না করলে উনি জেল থেকে বেরুলেন ক্যামনে?

সরকারের কথা শুনেই তো বেরিয়েছেন। বেগম জিয়া তিনবার প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছেন তার একটিই কারণ, তিনি  জিয়াউর রহমানের বিধবা স্ত্রী।’

এ প্রসঙ্গে তিনি খালেদা জিয়ার লেখাপড়া জানা না-জানার প্রসঙ্গটিও টেনে এনেছেন। অপরদিকে মেজর হাফিজ বলেছেন, ‘আমরা নেতাকর্মীরা সরকারের সঙ্গে আপস করে ফেলেছি। এ কারণে বেগম জিয়া জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন।’

আর শাহজাহান ওমর বলেছেন, ‘তারেক রহমান কতটুকু দল চালাতে পারবেন তা আপনারাও দেখেন, আমিও দেখি। লন্ডনে বসে কথাবার্তা, ভাব আদান-প্রদান করা কঠিন। তিনি খোমেনি নন।’

এ বিষয়ে একটি দৈনিকের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে শাহজাহান ওমর ‘তারেক রহমানকে নেতা মানার প্রশ্নই আসে না’ বলেও মন্তব্য করেছেন।

বিএনপির এই তিন সিনিয়র নেতার বক্তব্য প্রচারিত হওয়ার পর দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ। তারা তাদের ক্ষোভের কথা তুলে ধরছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। তারা এই তিনজনের বহিষ্কার দাবি করেছেন। কেউ কেউ তাদের সরকারের এজেন্ট আখ্যায়িত করে দল ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলেও অভিযোগ এনেছেন। তবে এ বিষয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতারা এখনো পর্যন্ত রয়েছেন নীরব। বোধ করি তারা লন্ডনের নির্দেশের অপেক্ষায় আছেন।  

অবশ্য বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে কিছু কিছু সংবাদপত্র লিখেছে, তাদের বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়েছেন। কিন্তু দেশে অবস্থানকারী নেতারা এখনই এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা বা তিন নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে নন। দলের এই শোচনীয় অবস্থার সময়ে কোনো ধরনের ভাঙন বা বিভক্তি তারা চাচ্ছেন না।

বস্তুত বিএনপির এই তিনজন সিনিয়র নেতা দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সম্পর্কে যেসব কথা বলেছেন, তা যদি সঠিকও হয়, দলের কেন্দ্রীয় দায়িত্বে থেকে তারা এ ধরনের কথা বলতে পারেন কি না সে প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। তাদের কথাকে দলীয় নেতৃত্বের সরাসরি বিরুদ্ধাচরণ বলাটা অযৌক্তিক হবে না। বিশেষ করে শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেনের বক্তব্য ছিল অত্যন্ত আক্রমণাত্মক এবং শালীনতাবিবর্জিত। দলে অবস্থান করে দলীয় নেত্রীর লেখাপড়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা কখনোই সুবিবেচনাপ্রসূত হতে পারে না।
এদিক দিয়ে মেজর হাফিজের বক্তব্য ছিল অনেকটাই নমনীয়। সম্ভবত ওয়ান-ইলেভেনের সময় বেগম জিয়ার জেলে থাকার সুযোগে দলের অস্থায়ী মহাসচিব বনে যাবার কথা মনে রেখেই তিনি সংযত ভাষা ব্যবহার করেছেন। আর শাহজাহান ওমর তারেক রহমানকে নেতা না মানার কথা বলে বিদ্রোহ করেছেন বলা যায়।

বেশ কিছুদিন ধরেই তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে সিনিয়রদের ক্ষোভের কথা শোনা যাচ্ছিল। তারেক রহমান স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করার সময় নিজের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি সিনিয়রদের কোনো কথাই শোনেন না। উপস্থিত নেতারা শুধু তার বক্তব্যকে মাথা নেড়ে সমর্থন জানিয়ে যান। মহাসচিব মির্জা আলমগীর তার হুকুম তামিল করা ছাড়া আর কোনো ভূমিকাও নাকি রাখতে পারেন না।

দলের পুনর্গঠনের ক্ষেত্রেও তারেক রহমানের একক সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে, এমন অভিযোগ রয়েছে নেতাকর্মীদের একাংশের মধ্যে। প্রচার রয়েছে, সিনিয়রদের একপাশে সরিয়ে রেখে অপেক্ষাকৃত জুনিয়রদের সামনে টেনে আনতে চান তারেক রহমান।

ভবিষ্যতে দলের মধ্যে তার নেতৃত্বকে যাতে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে না পারে, সেজন্য নিজস্ব একটি বলয় তৈরি করতে চান তিনি।

সাম্প্রতিক উপনির্বাচনগুলোতে মনোনয়নের ক্ষেত্রেও তার সিদ্ধান্তেরই প্রতিফলন ঘটেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক অভিজ্ঞ মহল।

এটা ঠিক যে, বর্তমানে বিএনপিতে তারেক রহমানের কথাই শেষ কথা। গণতন্ত্রের জন্য ‘লড়াইরত’ দল বিএনপিতে গণতন্ত্র কতটা আছে এ প্রশ্ন অনেকেই তুলেছেন। অবশ্য ভেতরে ভেতরে অনেকেই ক্ষোভ পুষলেও মুখে কিছুই বলেন না। দলটির তরুণ নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের অনুসারী হলেও প্রবীণ নেতাদের অবজ্ঞা করা ও রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ কতিপয় জুনিয়র নেতাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। নেতাকর্মীদের এসব অসন্তোষের খবর সংবাদমাধ্যমে মাঝেমধ্যেই প্রকাশ পাচ্ছে।

বিশেষ করে লন্ডনে তারেক রহমানকে ঘিরে থাকা কয়েকজন বিতর্কিত ব্যক্তির কার্যকলাপ দলটির ভেতরে বিদ্রোহের তুষের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারেক রহমানের কাছাকাছি থাকা ওইসব ব্যক্তির কারণে অনেক প্রবীণ নেতা দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের ইতোমধ্যে গুটিয়ে নিয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি, যার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়, তার প্রচণ্ড দাপটের কাছে অসহায় হয়ে কসবা থেকে নির্বাচিত সাবেক এমপি মশিউর রহমান দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে আছেন। ওই ব্যক্তি দেশে অবস্থানরত তার ভাইকে বিএনপির রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। শুধু তার ভাই তারেক রহমানের একান্তজন, এই পরিচয়ে তিনি এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীদের হাইকোর্ট দেখিয়ে চলেছেন।

সম্প্রতি শুরু হওয়া পুনর্গঠন কার্যক্রম নিয়েও বিএনপির অভ্যন্তরে ধূমায়িত হয়ে উঠেছে ক্ষোভের আগুন। তারেক রহমানের দোহাই দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একটি অংশকে নানাভাবে ম্যানেজ করে মূল দল ও অঙ্গ সংগঠনের কমিটি বানানোর অভিযোগ উঠেছে। এর সঙ্গে আছে টাকার বিনিময়ে পকেট কমিটি বানানোর পুরনো অভিযোগ। সম্প্রতি আমার এলাকা মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে গিয়েছিলাম। সেখানে ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী জানাল, ত্যাগী কর্মীদের বাদ দিয়ে বিতর্কিতদের দিয়ে উপজেলা ও কলেজ শাখা গঠন করা হয়েছে।

তারা আরো জানাল, কমিটি দুটি করতে নাকি ৭/৮ লাখ টাকা করে ব্যয় হয়েছে। ২১ সদস্যের ওই আংশিক কমিটির ১৬ জন সাথে সাথেই পদত্যাগ করেছে। একজন কর্মী ক্ষোভের সঙ্গেই বলল, এই সংকটের সময়েও যদি নেতারা কমিটি বাণিজ্য বন্ধ না করেন, তাহলে এ দল আর সুদিনের মুখ দেখবে না।

এদিকে গত ১৩ অক্টোবর কয়েকটি দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে, দলকে চাঙা করতে মেয়াদোত্তীর্ণ  ঢাকা মহানগরসহ ১১টি কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এ পুনর্গঠন নিয়েও নতুন জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন অনেকে। কারণ বেশ কয়েকটি কমিটির সভাপতি পদে কেন্দ্রীয় নেতারা রয়েছেন, যা দলীয় গঠনতন্ত্রের ‘এক নেতা এক পদ’ নীতির পরিপন্থী। ফলে পুরনো কমিটি ভাঙতে গেলে নতুন সমস্যার উদ্ভব হতে পারে।  

বিএনপির বর্তমান লেজেগোবরে অবস্থার জন্য যে শীর্ষ নেতৃত্বের অবিমৃশ্যকারী সিদ্ধান্ত দায়ী, তা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো, দুর্যোগে মানুষ সাধারণত সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করে। কিন্তু বিএনপিতে দেখা যাচ্ছে উল্টো দৃশ্য। ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যেও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা দলের নয়, কোটারি স্বার্থ রক্ষার চেষ্টায় রত। ফলে যে গৃহদাহে পুড়ছে বিএনপি, তা সহসা নির্বাপিত হবে, এমন সম্ভাবনা অনেকেই দেখছেন না।

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

 

*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।

Wordbridge School
Link copied!