• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রদলের কাউন্সিলে নিষেধাজ্ঞা


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯, ০৮:৩২ পিএম
ছাত্রদলের কাউন্সিলে নিষেধাজ্ঞা

ঢাকা : বিএনপির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ কাউন্সিলের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।  ছাত্রদলের সাবেক কমিটির ধর্ম বিষয়ক সহ সম্পাদক আমানুল্লাহর আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চতুর্থ সহকারী জজ নুসরাত জাহান বীথি এই আদেশ দেন।

সন্ধ্যায় এই আদেশের নথি বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। দলটির কেন্দ্রী নেতা রেজাউল করিম এই আদেশের নথি গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে আজ ঢাকার চতুর্থ সহকারী জজ আদালতে আমান উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি ছাত্রদলের আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের কাউন্সিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করেছেন। বিচারক শুনানি শেষে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের ১০ নেতাকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে আরো জানা যায়, সন্ধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে আদালতের নোটিশটি নেজারত শাখায় দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে নোটিশটি জারিকারক মোহাম্মদ মামুন নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসে পৌঁছে দিয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউল করিম নোটিশটি গ্রহণ করেছেন।

এবিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত নই। আদালতের স্থগিতাদেশ থাকলে কাউন্সিল স্থগিত হবে। আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের ৬ষ্ঠ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।  এতে সভাপতি পদে ৯ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।  আদালতের এই আদেশের ফলে কাউন্সিল স্থগিত হয়ে গেছে।

গত ১৫ জুলাই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। সে সময় বলা হয়েছিল, ২০০০ সালের আগে যারা এসএসসি পাস করেছে, তারা কাউন্সিলে প্রার্থী হতে পারবেন না। তখন এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ছাত্রদলের ‘বয়স্ক’ নেতাদের একাংশ বিদ্রোহ শুরু করে। বাদ পড়া নেতারা বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে টানা বিক্ষোভ করে। ফলে ১৫ জুলাই কাউন্সিল করতে ব্যর্থ হন দায়িত্ব পাওয়া নেতারা। ক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে সম্প্রতি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপের মাধ্যমে কথা বলে তাদের শান্ত করেন।

যদিও ক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাদের ক্ষোভ কমাতে বিশেষভাবে কাজ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!