• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জেন ওয়াই কনকর্ডের সন্ধানে নাসা


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১২, ২০১৬, ০৫:০৩ পিএম
জেন ওয়াই কনকর্ডের সন্ধানে নাসা

সোনালীনিউজ ডেস্ক

দ্রুতগামী বিমান মানেই একটাই নাম উঠে আসে! নামটি হল কনকর্ড! ১৯৭৬ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত আকাশে উড়েছে এই বিমান৷ সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টা প্রতি ১,৩৫৪ মাইল৷ অর্থাৎ শব্দের গতির (ঘণ্টায় ৭৬৮ মাইল) প্রায় দ্বিগুণ৷ কিন্তু এই বিমান উড়ত এবং আকাশে থাকত তখন এত বেশি শব্দ করত যেসব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি তার ছিল না৷ শুধু যেখানে যেতে সাগরের উপর দিয়ে উড়তে হত সেখানেই চলার অনুমতি ছিল কনকর্ডের৷

বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ
২০০০ সালে এয়ার ফ্রান্সের একটি কনকর্ড বিমান দুর্ঘটনায় পড়লে উড়ানে থাকা ১০০ জন যাত্রী ও ৯ জন কেবিন ক্রুর মৃত্যু হয়৷ এরপর থেকে কনকর্ডে যাত্রীর পরিমাণ কমতে থাকে৷ ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার হামলার ঘটনায়ও সার্বিকভাবে বিমান যাত্রীর সংখ্যা কমতে থাকে৷ অন্যদিকে কনকর্ড রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বাড়তে থাকায় ২০০৩ সালে এর পরিচালনা বন্ধ করে দেওয়া হয়৷

কনকর্ডের বিকল্প সন্ধান
শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে বিমান চড়ার আগ্রহী যাত্রী আছেন অনেক৷ সেই চাহিদা মেটাতে নাসা এবার এমন বিমান তৈরি করতে চায় যেটা দ্রুতগতিতে যাওয়ার পাশাপাশি শব্দ করবে কনকর্ডের চেয়ে অনেক কম৷ বিমানটি দেখতে কেমন হবে, শিল্পীর চোখ দিয়ে তার একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছে নাসা৷ তবে আসল বিমানের নকশা কে করবে তা ঠিক করতে নির্মাতাদের কাছ থেকে নকশা চাওয়া হয়েছিল৷ এর মধ্যে লকহিড মার্টিনকে বেছে নিয়েছে নাসা৷

নাসার আশা
কোয়াইট সুপারসনিক টেকনোলজি বা কিউএসএসটি বিমানের নকশা তৈরির জন্য আগামী ১৭ মাসে নাসার কাছ থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার পাবে লকহিড৷ নাসা আশা করছে, প্রয়োজনীয় অর্থ পেলে ২০২০ সালের মধ্যে এই বিমান পরীক্ষামূলকভাবে আকাশে উড়তে পারে৷

লকহিডের নকশা
এই বিমানের নাম ‘সুপারসনিক গ্রিন মেশিন’৷ ওড়ার সময় যেন শব্দ (সনিক বুম) কম হয় সেই জন্য প্লেনের পিছনের পাখায় ‘উলটো ভি’ এর মতো যে জিনিসটি দেখা যাচ্ছে সেখানে সুপারসনিক জেট ইঞ্জিন বসিয়েছে লকহিড৷ নাসার কমিটির সামনে ২০১০ সালে এই নকশা পেশ করেছিল লকহিড৷ সেসময় তারা জানিয়েছিল, ২০৩০-৩৫ সালের দিকে বিমানটি আকাশে উড়তে পারে৷

এন+২
এটিও লকহিডের করা নকশা৷ তিনটি জেট ইঞ্জিন থাকবে এই বিমানে৷ একটি প্লেনের ওপর৷ অন্য দু’টি দুই ডানার নীচে৷ এয়ারক্রাফটটি হতে হবে বেশ লম্বা৷ ২০২৫ সালের মধ্যে এই প্রযুক্তি তৈরি সম্ভব বলে জানিয়েছে লকহিড৷

অ্যারিয়ন এএস২
এয়ারবাসের সঙ্গে মিলে অ্যারিয়ন কর্পোরেশন এই সুপারসনিক বিজনেস জেট এর নকশা করেছে৷ ২০ আসন বিশিষ্ট এই সুপারসনিক প্লেন কিনতে ইতিমধ্যে চুক্তি করেছে ফ্লেক্সজেট৷ তারা মোট ২০টি প্লেন কিনবে৷ প্রথম বিমান হাতে পাওয়ার কথা ২০২৩ সালে৷ ফ্লেক্সজেট এর প্রধান নির্বাহী সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে চললেও আকাশে এই প্লেন চলার শব্দ ভূমি পর্যন্ত পৌঁছাবে না৷

স্পাইক এস-৫১২
যুক্তরাষ্ট্রের বস্টন ভিত্তিক স্পাইক এয়ারস্পেস এই সুপারসনিক বিজনেস জেট এর নকশা করেছে৷ এটি তৈরি হলে নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডন যেতে সময় লাগবে মাত্র ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা৷ ১২ থেকে ১৮ জন যাত্রী বহন করতে পারবে স্পাইক৷ সূত্র: কলকাতা

সোনালীনিউজ/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!