• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নুসরাত হত্যার বিচার শুরু


আদালত প্রতিবেদক জুন ২০, ২০১৯, ১১:২৫ পিএম
নুসরাত হত্যার বিচার শুরু

ঢাকা : ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আগামী ২৭ জুন থেকে মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। এর মধ্য দিয়ে বহুল আলোচিত এই মামলার বিচার শুরু হলো।

আদালত আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহাম্মেদ বলেন, মামলার ১৬ আসামির পক্ষে জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে। এছাড়া আগামী ২৭ জুন সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর দিন ঠিক করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) মামলার ধার্য তারিখে নুসরাত হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ১৬ আসামিকে নারী ও শিশু নিযাতন দমন ট্রাইবুনাল  আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক মো. মামুনুর রশিদের আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও বাদীর আইনজীবী অভিযোগ গঠনের পক্ষে এবং আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের বিরোধিতা করে বক্তব্য দেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক  মামুনুর রশিদ ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

অভিযোগপত্রের ১৬ আসামি হলেন- ১. সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা, ২. নূর উদ্দিন, ৩. শাহাদাত হোসেন শামীম, ৪. সোনাগাজীর পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, ৫. সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, ৬. জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, ৭. হাফেজ আব্দুল কাদের, ৮. আবছার উদ্দিন, ৯. কামরুন নাহার মনি, ১০. উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, ১১. আব্দুর রহিম শরীফ, ১২. ইফতেখার উদ্দিন রানা, ১৩. ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, ১৪. মোহাম্মদ শামীম, ১৫. মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহসভাপতি রুহুল আমীন ও ১৬. মহিউদ্দিন শাকিল।

 মামলায় মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অন্য পঁচজনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে পিবিআই। আদালত তা অনুমোদন করে।

এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া যৌন হয়রানির মামলার পর নুসরাতের জবানবন্দি গ্রহণের সময় তার ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সাইবার আইনে মামলা হওয়ার পর সোনাগাজী থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ল্লেখ্য, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে মেয়েকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে মামলা করেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। মামলাটি তুলে না নেওয়ায় গত ৬ এপ্রিল পরীক্ষার হল থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে সিরাজ উদ্দৌলার সহযোগীরা নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল মারা যান তিনি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!