• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রেমে পড়ে পাখিরাও!


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ৩১, ২০১৬, ১২:৫৩ পিএম
প্রেমে পড়ে পাখিরাও!

সোনালীনিউজ ডেস্ক
প্রেম কি শুধু মানুষই করে? কিংবা মানুষই কি শুধু প্রেমে পড়ে? সবাই হয়তো ‘হ্যা’ বলেই এই প্রশ্নের উত্তর দিবেন। তবে শুনলে অবাক হবেন—মানুষের মতোই প্রেমের বাধা ফাঁদে আটকে যায় পাখিরাও! অবাক হচ্ছেন তো! ভাবছেন এবার কি অজগুবি গল্প? সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এসেছে এক সমীক্ষায়।
সমীক্ষায় জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইন্সটিটিউট অফ অর্নিথোলজির গবেষকরা জানিয়েছেন, নিজের পছন্দের সঙ্গী পেলে পাখিরাও সুখে ‘সংসার’ করে। সুস্থ থাকে এবং বেশিদিন বাঁচে। সমীক্ষার এই ফল প্রকাশিত হয়েছে পিএলওএস বায়োলজি জার্নালে।
বার্লিনে ‘জেব্রা ফিঞ্চ’ প্রজাতির পাখিদের নিয়ে সম্প্রতি গবেষণা চালিয়েছিলেন গবেষকরা। সেখানে এই পাখিদের পাঠানো হয়েছিল ‘স্পিড ডেটিংয়ে’। তবে তার আগে দু’টি দলে ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল তাদের। ২০টি মেয়ে পাখির একটি দলকে দেওয়া হয়েছিল তাদের পছন্দের ‘ডেট’ বেছে নেওয়ার অধিকার।
রীতিমতো দেখে, শুনে, বিচার-বিবেচনা করে ২০ জন পুরুষ-সঙ্গীকে বেছে নেওয়ার পর ওই পাখি-যুগলদের পাখিরালয়ের নিভৃতে ‘সংসার’ করতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অবশিষ্ট পাখিদের অবশ্য এই সৌভাগ্য হয়নি। খানিকটা নিজেদের ইচ্ছেমতও, খানিকটা আবার জোর করেই তাদের জোড়ায় বেঁধে দেন গবেষকরা। তারপরই সকলের গতিবিধি পরীক্ষা করতে শুরু করেন পাখি-বিজ্ঞানীরা।
কিছু সময় পর দেখা যায়, যেসব পাখিরা নিজেদের প্রেমাস্পদকে নিজেরাই বেছে নিয়েছে, তাদের সঙ্গমের হার বেশি। জীবনের আয়ুও বেশি। রোগ-ভোগের ঘটনা কম। এমনকি তাদের শাবকদের জীবনও দীর্ঘমেয়াদি। শুধু তাই নয়, এই পাখিজোড়ারা দ্বিতীয় দলটির তুলনায় বেশি পরিশ্রমী, সুখী এবং তারা তাদের শাবকদের লালনপালনের প্রতিও অনেকটাই বেশি দায়িত্বশীল।
বিজ্ঞানীদের ভাষায়—পাখিদের এই ‘জোড়ি’দের জীবন সত্যিই ‘পারফেক্ট’! কিন্ত্ত অন্য দলটির ক্ষেত্রে এ কথা একেবারেই বলা যায় না। এই পাখিদের দলটিও প্রকৃতির ধারা মেনে বংশবিস্তার করেছে ঠিকই। একসঙ্গে থেকেছে। কিন্তু তাদের মতোই তাদের শাবকদের জীবনের মেয়াদ বেশি নয়। 
দেখা গেছে, ডিম পাড়ার প্রথম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পর্যাপ্ত যত্নের অভাবে তাদের শাবকদের মৃত্যু হয়েছে। এই জোড়িগুলির সদস্যদের মধ্যে যোগাযোগের হার কম, সঙ্গমের হার কম। এমনকি, একে অন্যের প্রতি দায়িত্ববোধও লক্ষণীয়ভাবে কম। বিজ্ঞানীদের ভাষায় একেবারেই ‘হতাশাজনক’।
সোনালীনিউজ/আমা

Wordbridge School
Link copied!