• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যমুনার বালিতে মিলেছে ‘মোনাজাইট’


সোনালীনিউজ ডেস্ক আগস্ট ৬, ২০১৯, ০৩:৩৩ পিএম
যমুনার বালিতে মিলেছে ‘মোনাজাইট’

ঢাকা: বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর জানিয়েছে, যমুনার বালিতে ব্যাটারি (মোবাইল ল্যাপটপ) তৈরির উপাদান মোনাজাইটের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যমুনার বালিতে ৬ থেকে ১০ শতাংশ হারে এই উন্নতমানের খনিজ বালুর উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি।

বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের পরিচালক (ভূতত্ত্ব) সালমা আক্তার নিশ্চিত করেছেন, অস্ট্রেলিয়া তাদের সমুদ্র তীরে সামান্য হারে প্রাপ্ত এই হেভি খনিজ আহরণ করছে। অস্ট্রেলিয়ায় বালিতে ২ থেকে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ এই খনিজের উপস্থিতি রয়েছে। অল্প পরিমাণ উপস্থিতিতেই সংগ্রহ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে দেশটি। সেখানে বাংলাদেশে যমুনার বক্ষে ১০ শতাংশ উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়।

তিনি বলেন, ব্রহ্মপুত্র- যমুনা বেসিনের উজান থেকে গোয়ালন্দ পর্যন্ত ৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে একটি সমীক্ষা করা হয়। ২০১৫ সালে ডিসেম্বর শুরু হওয়া প্রকল্পটির নাম ছিলো, “নদী বক্ষের বালিতে ভারি খনিজ শনাক্ত ও আর্থিক মূল্যায়ন”। এর আগে একটি ছোট সার্ভে হয়েছিলো। সেই সার্ভেতে এসব মূল্যবান খনিজ বালির উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়।

সালমা আক্তার আরো বলেন, এবারের সমীক্ষার প্রধান লক্ষ্য ছিলো, এর পরিমাণ কতো এবং বাণিজ্যিকভাবে আহরণযোগ্য কি না। আমরা ব্রহ্মপুত্র–যমুনা এবং পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের বালির নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে টেস্ট করেছি। এসব হেভি খনিজ বাণিজ্যিকভাবে আহরণযোগ্য বলে আমাদের জরিপ দল নিশ্চিত হয়েছে।

আমরা সোমবার (৫ আগস্ট) জ্বালানি বিভাগের সচিবের উপস্থিতিতে রিপোর্ট উপস্থাপন করছি। ১০ ফুট, ১৫ ফুট ৩০ ফুট গভীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষা করেছি। টাইটানিয়াম, ইলমেনাইট, জিরকন, রুটাইল, ম্যাগনেটাইট, লিউকক্সিন, কেনাইট, গারনেট ও মোনাজাইট শনাক্ত করা হয়েছে। পরীক্ষায় জিরকন ৬ থেকে ১০ শতাংশ, ইলমেনাইট ৮ থেকে ১১ শতাংশ শনাক্ত করা হয়েছে। আমরা মনে করছি এই পরিমাণ খনিজ বাণিজ্যিকভাবে আহরণযোগ্য। এরমধ্যে ব্যাটারি তৈরির উপাদানটি সবচেয়ে দামি। এই খনিজ উপাদান এখন পুরোটাই আমদানি করে বাংলাদেশ। আমদানির পরিবর্তে রফতানি করা সম্ভব বলে মনে করেন এই ভূতত্ত্ববিদ।

এবার কিছু একটা হতে যাচ্ছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর। এসব খনিজ বালুর পাশাপাশি আরও কিছু মূল্যবান খনিজ থাকতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। অনেকদিন ধরেই নদী ও সমুদ্রের বালুতে খনিজ উপাদান নিয়ে নানা রকম গবেষণা চলছে। অনেক সম্ভাবনার কথা বলা হলেও কোনটারই চূড়ান্ত পরিণতি দেখা মেলেনি।

সোমবার (৫ আগস্ট) প্রেজেন্টেশন দেখে দুপুর আড়াইটায় সচিবালয় ফেরেন জ্বালানি বিভাগের সচিব আবু হেনা রহমাতুল মুনিম। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে যচ্ছিলেন ঠিক তখন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নেমে যাচ্ছিলেন। সিঁড়ির গোড়ায় দাঁড়িয়ে প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন মূল্যবান খনিজ সম্পর্কে।

সচিব আরো বলেন, দারুণ আশার কথা। এখন কনস্যালটেন্ট নিয়োগ করে এগিয়ে যাওয়া উচিত। প্রতিমন্ত্রীও তাকে উৎসাহ দিয়ে এগিয়ে যেতে বলেন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!