বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ লোপাটের ঘটনায় সুইফট দায়ী বলে জানিয়েছেন সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ফরাস উদ্দিন বলেন, ২০১৫ সালের ৮ মার্চ সুইফট বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি পত্র দেয়। সে পত্রে আরটিজিএস( তাৎক্ষণিক লেনদেনে প্রক্রিয়া) সঙ্গে সুইফটের সংযোগ দিতে বলা হয়। আর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অসতর্কতা, অজ্ঞতা ও দ্বায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে তা অনুমোদন করে। যা কাল হয়ে দাড়ায়। সংযোগ দেওয়ার পর ২৪ ঘন্টা বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভার চালু রাখতে বলে তারা। অথচ এর জন্য যে প্রযুক্তি সহযোগিতা প্রয়োজন তা করা হয়নি।
তিনি বলেন, সে সংযোগের পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্ভারে প্রবেশ করার একটি বিশেষ ম্যালওয়ার তৈরি করা হয়েছে। যা থেকে পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ডলার ডাকাতি করা হয়। এর দায় বর্তায় সুইফট এর উপর। কারণ সুইফট বিশ্বব্যাপী একটি সুরক্ষিত আর্থিক নিরাপত্তাদানকারী প্রতিষ্ঠান।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ফেডেরও কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে। কারণ ৩৫ অর্ডারের মধ্যে পাঁচটি অর্ডার কার্যকর করা হয়। এ পেমেন্টে দিবে কিনা তা জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকে বার্তা প্রেরণ করে ফেড। অথচ ফিরতি ম্যাসেজ না পেয়েই পেমেন্ট কার্যকর করা হয়। তাই তাদেরও দ্বায়িত্ব অবহেলার সুযোগ নেই।
ড. ফরাস উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের কেউ জড়িত নয় বলে তদন্ত কমিটি মনে করে। তবে এক্ষেত্রে তাদের চরম দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন ও অব্যবস্থাপনার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সরকারের সম্বন্বিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে অন্তত ৫ কোটি ডলার ফেরত আনা সম্ভব বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এ গভর্নর।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আমা
আপনার মতামত লিখুন :