• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রোজার শুদ্ধতায় চাই বিশুদ্ধ নিয়ত


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ৮, ২০১৯, ০১:৫৬ পিএম
রোজার শুদ্ধতায় চাই বিশুদ্ধ নিয়ত

ঢাকা : শুরু হলো অবারিত রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মাস মাহে রমজান। রোজা পালন এ মাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল। তবে আমলের প্রাণ হলো নিয়ত। নিয়ত অর্থ সংকল্প।

এটি মনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়। এতে নেই কোনো কষ্ট-ক্লেশ, নেই কোনো মেহনত। প্রতিটি কাজ দ্বীনি হোক কিংবা দুনিয়াবি, শুরুতেই নিয়ত শুদ্ধ করা জরুরি। সব কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করার সংকল্প হচ্ছে বিশুদ্ধ নিয়ত। এই নিয়ত মুমিন ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত সব কাজ নেকির কাজে পরিণত করতে পারে। একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোনো কাজ করাকে ইখলাস বলা হয়। আর বিশুদ্ধ নিয়তের মাধ্যমেই ইবাদতে ইখলাস আসে।

নিয়তের গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই সব আমলের প্রতিদান নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। আর প্রত্যেক ব্যক্তি (প্রতিদান হিসেবে) তাই পাবে, যা সে (কাজের ক্ষেত্রে) নিয়ত করেছে। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের (সা.) সন্তুষ্টির উদ্দেশে হিজরত করবে, তার হিজরত আল্লাহ ও রাসুল (সা.)-এর জন্যই হবে। আর যে বৈষয়িক উন্নতি কিংবা কোনো নারীকে বিয়ের উদ্দেশে হিজরত করবে, তার হিজরত ওই বিষয়ের জন্যই হবে।’ (বুখারি শরিফ, হাদিস : ১)

তাই বলা যায়, উত্তম নিয়তের কারণে আমলের সওয়াব পাওয়া যায় আর নিয়ত বিশুদ্ধ না হলে আমলও নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে সওয়াব পাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে না। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ মনে শহীদি মৃত্যু প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাকে শহীদের মর্যাদা দান করেন, যদিও সে নিজ বিছানায় মৃত্যুবরণ করে।’ (মুসলিম শরিফ)। তাই রোজা কবুল হওয়ার জন্যও বিশুদ্ধ নিয়ত জরুরি। তাছাড়া হানাফি মাজহাব মতে, নিয়ত ছাড়া রোজা শুদ্ধ হয় না। তাই রোজার নিয়ত বিষয়ে কিছু তথ্য উল্লেখ করা হলো—

১. প্রত্যেক রোজার জন্য স্বতন্ত্র নিয়ত জরুরি। অর্থাৎ কততম রোজা রাখছে তা স্পষ্ট হওয়া উচিত। তবে রমজানের রোজা রাখছি এমন নিয়ত দ্বারাও রোজা সহীহ হবে।

২. রোজার নিয়ত মুখে করা জরুরি নয়, অন্তরে নিয়ত করলেই যথেষ্ট হবে। তবে মুখে নিয়ত করা উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে শামি : খ. ৩ পৃ. ৩৪৫)

৩. নিয়ত আরবিতে হওয়া জরুরি নয়। যে কোনো ভাষায় নিয়ত করা যায়। নিয়ত এভাবে করা যায়— আমি আজ রোজা রাখার নিয়ত করলাম। (জাওয়াহিরুল ফিকাহ : খ. ১, পৃ. ৩৭৮)

৪. সূর্য হেলে পড়ার দেড় ঘণ্টা আগ পর্যন্ত রমজানের রোজার নিয়ত করা বৈধ। তবে রাতে নিয়ত করাই উত্তম।

৫. যে ব্যক্তি পুরো রমজানই রোজা রাখা বা না রাখার কিছুই নিয়ত করেনি, তাহলে সে কাজা করে নেবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!