• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরিষা চাষে ৩শ’ কৃষকের ভাগ্যবদল


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ৩০, ২০১৬, ০৪:৩১ পিএম
সরিষা চাষে ৩শ’ কৃষকের ভাগ্যবদল

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউরা ইউনয়নে ১৫০ হেক্টর অনাবাদী জমিকে ৩ ফসলের আওতায় আনা হয়েছে। যেখানে আগে বছরে একটি ফসল হতো সেখানে রবি মৌসুমে সরিষা, গম ও বোরো ধানসহ বছরে ৩ ফসল ফলিয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ তহবিল থেকে প্রাথমিকভাবে ৩শ’জন কৃষককে বারি-১৪ জাতের সরিষা বীজ এবং ১টি এলএলপি (সেচ মেশিন) প্রদান করা হয়। সদর উপজেলায় কৃষি উন্নয়ন বিষয়ক কোর কমিটির উদ্যোগে রাজিউরা ইউনিয়নের উচাইল, শংকরপাশা ও চারিনাও গ্রামে এ কর্মসূচির আওতায় ১৪০ হেক্টর সরিষা, ৫ হেক্টর গম ও ৫ হেক্টর বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। সরিষা চাষে হেক্টর প্রতি শূন্য দশমিক ৮০ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়। এতে হেক্টর প্রতি ৪-৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। চলতি মৌসুমে শুধুমাত্র ১৪০ হেক্টর জমি থেকে ৩০ লাখ টাকা নীট মুনাফা অর্জিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন কৃষি বিভাগ ও চাষীরা।
স্থানীয় উপকারভোগী রেদোয়ান আহমেদ, জামাল মিয়া, লায়েক মিয়া ও মহিবুল হাসানসহ কৃষকরা জানান, গভীর নলকূপের মাধ্যমে এই এলাকায় পানি সেচ দিয়ে আরো প্রায় ২শ’ হেক্টর জমি চাষের আওতায় আনা যাবে। তাদের দাবি বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার আগামী ১ বছরের মধ্যে গভীর নলকূপ স্থাপন করলে বিপুল পরিমাণ শস্য উৎপাদন সম্ভব।
রাজিউরা ইউনিয়নের (উচাইল ব্লক)উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সুনীল চন্দ্র দাশ জানান, ওই এলাকার বিস্তীর্ণ হাওরে ১ টির বেশি ফলন হতো না। গত কয়েক বছরে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে সরিষা ও গম চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। এখন চারিদিকে হলুদ আর সবুজের সমারোহ।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র সোম বলেন, এ এলাকার অনাবাদী জমি শুধু আবাদীই নয়, ভবিষ্যতে এখানে গভীর নলকূপের মাধ্যমে সেচের আওতায় এনে ৩ ফসল চাষ নিশ্চিত করা হবে। এর জন্য বিএডিসির মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণের কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়াও রাজিউরা ইউনিয়নের হুরগাও, পাটলী গ্রামসহ এবছর ২২০ হেক্টর জমিতে সরিষা ও গম চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৭০ হেক্টর বেশি। হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সফিউল আলম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফাকুল হক চৌধুরী, আলম উচাইল গ্রামের সরিষার মাঠ পরিদর্শন করে মুগ্ধ হয়েছেন। তারা বলেন, সরকার আনাবাদী জমিকে চাষের আওতায় আনতে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে অনাবাদী জমি চাষের আওতায় আসার পাশাপাশি বিদ্যমান জমিতে ফসলের পরিমাণ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বৃহত্তর সিলেট বিভাগে অনাবাদী জমি চাষের আওতায় আনার কর্মসূচির অংশ হিসেবে হবিগঞ্জ জেলার ৮ উপজেলায় ১ হাজার ৮শ’ হেক্টর অনাবাদী জমি চাষের আওতায় আনা হয়েছে। চলতি বছরে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিটি উপজেলা থেকে ১টি করে ইউনিয়ন নির্বাচন করা হয়েছে। এতে শুধু হবিগঞ্জ জেলা থেকে প্রতিবছর অতিরিক্ত প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন রবিশস্য উৎপাদিত হবে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা

Wordbridge School
Link copied!