নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়ীয়া বাজারের অদূরে পদ্মা নদীতে মঙ্গলবার সকালে খেয়ানৌকা ডুবে অন্তত ১০ যাত্রী নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন উপজেলার চকবাদকয়া গ্রামের মৃত রহমান আলীর ছেলে চান্দের আলী (৫০), একই গ্রামের মৃত লাল চাঁদ মন্ডলের ছেলে জামাল উদ্দিন (৪৮) ও মহরকয়া গ্রামের মৃত মহম্মদ তালুকদারের ছেলে ভাষান আলী (৩২)। লালপুর ও রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৭টার দিকে বিলমাড়িয়া বাজারের ঘাট থেকে খেয়ানৌকায় করে শতাধিক যাত্রী পদ্মার চরের মাঠে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। নৌকাটি মাঝ নদীতে গিয়ে ডুবে যায়। যাত্রীদের অনেকে সাঁতরিয়ে তীরে উঠলেও অন্তত ১০ জনের কোনো সন্ধান মেলেনি। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সকাল সাড়ে ১০টা) নিখোঁজ কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে লালপুর ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।
লালপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুল আলম, লালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু ওবায়েদ ও এলাকাবাসী জানায়, প্রতিদিনের মতো আজ সকালে উপজেলার বিলমাড়িয়া খেয়া ঘাট থেকে একটি নৌকায় করে পলাশীর চরে কাজ করতে যাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। বিলমাড়িয়া ঘাট থেকে মাঝ নদীতে গেলে প্রচণ্ড বাতাস ও অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে নৌকাটি ডুবে যায়।
পরে সাঁতরে ও অন্য নৌকার সহযোগিতায় যাত্রীরা তীরে পৌঁছালেও কয়েকজন যাত্রীর কোনো সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজদের উদ্ধারে নাটোরের ফায়ার সার্ভিস ও রাজশাহী থেকে ডুবুরি দলের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ
আপনার মতামত লিখুন :