সিরাজগঞ্জ: জেলার তাড়াশে তানিয়া খাতুন (২৮) নামের এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। তবে এ ঘটনাটি নিহতের স্বামী ও পরিবারের লোকজন আত্মহত্যা হিসেবে এলাকায় প্রচার চালিয়েছে।
শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে উপজেলা সদরের নিমতলা আবাসিক এলাকার স্বামী সবুজ আলীর বাড়ি থেকে তার গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
তানিয়া উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের নকল নবিশ সবুজ আলীর স্ত্রী। তাদের ঘরে তানভীর আহম্মেদ (২) নামের এক সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার হামকুড়িয়া গ্রামের মওলানা আবু সাঈদের মেয়ে তানিয়ার সাথে উপজেলা সদরের শাহরিয়ার রহমানের ছেলে সবুজের সাথে ৩ বছর পুর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। এ নিয়ে প্রায় তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো। শনিবার সকালে গৃহবধুর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার পর থেকেই গৃহবধূর স্বামী সবুজ ও পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দেয়।
গৃহবধূ তানিয়ার ভাই বাবলু হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যার হত্যার পর মৃতদেহ ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে। কারণ বিয়ে পর থেকেই আমার বোনের উপর নানা ধরনের অত্যাচার ও নির্যাতন করতো স্বামী ও পরিবারের লোকজন। পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই শুক্রবার রাতে আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর রহমান জানান, শুক্রবার গভীর রাতে ওই পরিবারের লোকজন থানায় খবর দেয় গৃহবধূ তানিয়া গলায় ওড়না পেঁছিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার সকালে পুলিশ গৃহবধূ তানিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার। তবে ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য গৃহবধূর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা গেলেই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন
আপনার মতামত লিখুন :