বরগুনা : জেলার পাথরঘাটায় এক গরিব অসহায় ব্যক্তির বসতবাড়িসহ কবরস্থানও প্রভাব খাটিয়ে দখল করে আসছে এক ভিত্তবান মাদ্রাসা সুপার। জানা গেছে, উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড পূর্ব নাচনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত. মেছের আলির ছেলে দিন মজুর মো. পান্না মিয়ার বসতবাড়িসহ তার পিতা-মাতার কবরস্থানের জমি প্রভাব খাটিয়ে দখল করেছে প্রতিবেশী ভিত্তবান মঠবাড়িয়া টিকিকাটা মাদ্রাসার সুপার মাও. আবু জাফর ও তার শ্বশুর মো. মতিয়র রহমান বেপারী।
এ ব্যাপারে সরেজমিনে গিয়ে মো. পান্না মিয়ার বসতবাড়িসহ কবর স্থানের জমি দখল করে কবর স্থানের ওপর দিয়ে পাকা বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ সময় উপস্থিত প্রতিবেশী পূর্ব নাচনাপাড়া এনইসলাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাবুল আক্তার, উক্ত ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. খলিলুর রহমান,সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জসিমসহ একাধিক ব্যক্তি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মাদ্রাসা সুপার মাও. আবু জাফর ও তার শ্বশুর মো. মতিয়র রহমান বেপারী অর্থ ও পেশীশক্তির জোরে প্রতিবেশী দিন মজুর মো. পান্না মিয়ার বসতবাড়িসহ তার পিতা-মাতার কবরস্থানের জমি দখল করেছে।
উল্লেখিত ব্যক্তি বলেন, আমাদের সন্দেহ হয় যে মাদ্রাসা সুপার মাও. আবু জাফর অবৈধ পন্থায় টাকা আয় করে আসছেন, তা না হলে একজন মাদ্রাসা শিক্ষক কি করে একাধিক বাড়িসহ কোটি কোটি টাকার মালিক হন।
উল্লেখিত ব্যক্তিরা আরও বলেন, মাদ্রাসা সুপার জাফর ও তার স্ত্রীর ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে গেলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। এ ব্যাপারে সরেজমিনে গিয়ে অভিযুক্ত আবু জাফরকে না পাওয়ায় তার স্ত্রী মোসা. জোছনা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি যথাযথ উত্তর না দিয়ে সংবাদ প্রতিনিধির সামনেই প্রতিবেশী মো. পান্না মিয়া গংদের সঙ্গে বেপরোয়া আচরণ করেন।
এ ব্যাপারে নাচনাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফরিদের কাছে জানতে চাইলে তিনিও মাদ্রাসা সুপার জাফরের সম্পদের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, একজন শিক্ষক কি করে অঢেল সম্পদের মালিক হন। তিনি বলেন, তার স্ত্রী এবং তার শ্বশুর টাকার জোরে বেপরোয়া হয়ে গেছে তারা কোনো শালিস মিমাংসা মানেন না।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর
আপনার মতামত লিখুন :