ঢাকা: রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদ করিম প্রতারণার সব কৌশলই রপ্ত করেছেন। এতে ছাড় দেননি নিজের পরিবারকেও। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে শাহেদের স্ত্রীর মুখে উঠে আসে তার নানা অপকর্মের চিত্র। শাহেদের বিচারও দাবি করেন স্ত্রী সাদিয়া।
একই সঙ্গে তার বাড়ির মালিকের দাবি, বাসা ভাড়ার টাকা চাইতে গেলেও দেয়া হতো হুমকি। শাহেদের সহযোগীসহ দুইজনকে আটক করেছে র্যাব।
এদিকে উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে ঢোকার প্রবেশ মুখেই বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এখান থেকেই সমস্ত অপকর্ম নিয়ন্ত্রণ করতো রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় এই ভবনটিতে কি কি আছে। ভবনটিতে ছিল শাহেদের নিজস্ব টর্চার সেলও। টাকা চাইতে আসলেই করা হতো নির্যাতন
আরও পড়ুন:শাহেদের প্রতারণার বিষয়ে মুখ খুললেন স্ত্রী সাদিয়া
এ বিষয়ে এক ভুক্তভোগী গণমাধ্যমকে বলেন, এখানে তার কাছে টাকার জন্য গিয়ে ছিলাম। টাকা চাওয়া মাত্রই তার লোকজন আমার দুই হাত ধরে থেকে ওই রুমটি দরজা বন্ধ করে দিল। এরপরই তিনি আমাকে মারধর করতে থাকেন। এমনকি পাওনাদারকে নারী দিয়ে হেনস্তা করাও ছিলো শাহেদের অন্যতম কাজ। ভুক্তভোগীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গিয়ে অভিযোগ করতে পারতো না শাহেদের বিরুদ্ধে।
গণমাধ্যমে আরও একজন বলেন, হাওয়া ভবনের সঙ্গে তার ভালো যোগাযোগ ছিল। এবং গুলশান যুবদলের সভাপতির তার কাছের লোক ছিল। এসব কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ নালিশ করতে পারতো না। উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে ঢোকার প্রবেশ মুখেই বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এখান থেকেই সমস্ত অপকর্ম নিয়ন্ত্রণ করতো রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় এই ভবনটিতেই কি কি আছে। ভবনটিতে ছিল শাহেদের নিজস্ব টর্চার সেলও। টাকা চাইতে আসলেই করা হতো হেনস্তা।
অন্য এক ভুক্তভোগী বলেন, এখানে তার কাছে টাকার জন্য গিয়ে ছিলাম। টাকা চাওয়া মাত্রই তার লোকজন আমার দুই হাত ধরে থেকে ওই রুমটি দরজা বন্ধ করে দিল। এরপরই তিনি আমাকে মারধর করতে থাকেন। এমনকি পাওনাদারকে নারী দিয়ে হেনস্তা করাও ছিলো শাহেদের অন্যতম কাজ। ভুক্তভোগীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গিয়ে অভিযোগ করতে পারতো না শাহেদের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে বলছে, প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আয়ই ছিলো শাহেদের কাজ। র্যাব জানায়, কেঁচো খুড়তে গিয়ে আমরা অ্যানাকোন্ডা পেয়েছি। এতদিন প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল টাকার অর্জন করেই তিনি অবস্থানে এসেছেন। যখনই কারো সঙ্গে পরিচয় হয়েছে, তখন তিনি নিজেকে আর্মির মেজর, কখনো কর্নেল পরিচয় দিয়েছেন। এবং বিভিন্ন আইডি কার্ড তৈরি করে ভিন্ন ভিন্ন নিজের নাম দিয়ে প্রতারণা করেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অফিসের পরিচয় দিয়েও প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই প্রতারণা করে নানা জায়গা থেকে টাকা ধার নিয়ে আর কোটি টাকা মালিক হয়েছে।
পলাতক শাহেদকে খুঁজতে অভিযান চলছে বলেও জানায় এই র্যাব সদস্য। এদিকে, রিজেন্টের ব্যবস্থাপকসহ গ্রেফতার ৭ আসামির ৫ দিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। র্যাব আরও জানায়, কেঁচো খুড়তে গিয়ে আমরা অ্যানাকোন্ডা পেয়েছি। এতদিন প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল টাকার অর্জন করেই তিনি অবস্থানে এসেছেন। যখনই কারো সঙ্গে পরিচয় হয়েছে, তখন তিনি নিজেকে আর্মির মেজর, কখনো কর্নেল পরিচয় দিয়েছেন। এবং বিভিন্ন আইডি কার্ড তৈরি করে ভিন্ন ভিন্ন নিজের নাম দিয়ে প্রতারণা করেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অফিসের পরিচয় দিয়েও প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এই প্রতারণা করে নানা জায়গা থেকে টাকা ধার নিয়ে আর কোটি টাকা মালিক হয়েছে। পলাতক শাহেদকে খুঁজতে অভিযান চলছে বলেও জানায় এই র্যাব সদস্য। এদিকে, রিজেন্টের ব্যবস্থাপকসহ গ্রেফতার ৭ আসামির ৫ দিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :