ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে কার্গো হ্যান্ডেলিং সেবার মান বৃদ্ধির জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর সাথে তার সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করনে। এসময় তারা এই অনুরোধ জানান।
সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএএরসহ-সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল, পরিচালক মো. খসরু চৌধুরী এবং পরিচালক রাজিব চৌধুরী পস্থিত ছিলেন।
এসময় বিজিএমইএ নেতারা বলেন, রপ্তানি কার্গো স্ক্যানিং করার প্রক্রিয়াকে গতিশীল করার জন্য বিমান বন্দরে পর্যাপ্ত সংখ্যক এক্সপ্রোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (ইডিএস) মেশিন স্থাপন করা জরুরি।
পাশাপাশি, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে স্ক্যানিং প্রক্রিয়া যেহেতু প্রায়ই বাধাগস্ত হয়, সেহেতু বিমান বন্দরে বিদ্যমান ইডিএস মেশিনগুলোও যাতে সবসময় সচল থাকে, সেজন্য সেগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার উপরও জোর দেন তারা।
বিজিএমইএ নেতারা আরও বলেন, কার্গো ভিলেজে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক সময় পণ্য বিমান থেকে নামিয়ে খোলা জায়গায় রাখার ফলে বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়। এছাড়াও যথাস্থানে মার্কিং করে না রাখার কারণে পণ্য সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না।
এ সমস্যা সমাধানে বিমান হতে পণ্য নামানোর পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কেনোপির ভেতর পণ্য নিয়ে আসা ও পণ্য সহজে খুঁজে পাওয়ার জন্য যথাস্থানে মার্কিং করে রাখার নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রতিমন্ত্রীকে তারা অনুরোধ জানান।
পণ্য চালানগুলো খোলা আকাশের নিচে না রেখে বিজিএমইএ’র গুদাম/ক্যানোপি’তে যথাসম্ভব রাখা প্রয়োজন বলে মনে করনে সংগঠনটির নেতারা। তারা বলেন, সকল গুদাম ও ক্যানোপি’তে সারিবদ্ধভাবে মাল রাখার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, যাতে অধিক পরিমান পণ্য সংরক্ষণ করা যায়। এজন্য গুদামের সংখ্যা বৃদ্ধি করা উচিত বলেও মনে করেন বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ।
এসময় বিজিএমইএ প্রতিনিধিদল পণ্য চালান খুঁজে পেতে দেরি হলে ডেমারেজ চার্জ আদায় না করার জন্যও প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
সোনালীনিউজ/এমএইচ
আপনার মতামত লিখুন :