পরিশ্রমের বিকল্প নেই

  • নাসরিন জাহান জয়া, বেরোবি (রংপুর) | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০১৭, ১২:৪৪ পিএম
পরিশ্রমের বিকল্প নেই

মিঠুন দাস

রংপুর: প্রধানমন্ত্রী পদক ২০১৪ সালে পেয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) চার মেধাবী শিক্ষার্থী। এরা হলেন- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত অর্থনীতি বিভাগের স্বল্পনা রাণী, বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত গণিত বিভাগের মিঠুন দাস, কলা অনুষদভুক্ত বাংলা বিভাগের আরিফা সুলতানা, বিজনেজ স্টাডিজ অনুষদভুক্ত অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের রাফিউল ইসলাম।

সোনালি নিউজের পক্ষ থেকে কথা হয় এই চার মেধাবীর সঙ্গে। প্রথম পর্বে স্বল্পনা রাণী ও আরিফা সুলতানার সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। আজ পড়ুন দ্বিতীয় পর্ব।

স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত মিঠুন দাস বিজ্ঞান অনুষদের গণিত বিভাগে সম্মান শ্রেণীতে তার অর্জিত সিজিপিএ ৩.৮৫৫ ও স্নাতোকোত্তরে অর্জিত ফলাফল ৪.০০। তার বাসা বগুড়ার দক্ষিণ চেলোপাড়ায়। বাবার নাম সুকুমার চন্দ্র দাস ও মায়ের নাম রুপালি রাণী দাস। বাবা ব্যবসায়ী ও মা গৃহিণী। দুই ভাই এক বোনের মাঝে মিঠুন দ্বিতীয়। 

স্বর্ণপদক পাওয়ায় খুবই আনন্দিত মিঠুন দাস জানান, ‘পরিশ্রম কখনোই বৃথা যায় না। আজ পরিশ্রম করলে একদিন না একদিন তার ফলাফল পাওয়া যাবেই। জীবনে বড় হতে হলে পরিশ্রমের বিকল্প নেই।’

মিঠুন আরও জানান, অনার্স জীবনের ফলাফল তাকে অনেক সম্মান এনে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠী ছাড়াও সকলের অনেক ভালবাসা পেয়েছেন। সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও দোয়া চান। বর্তমানে চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন মিঠুন।

প্রধানমন্ত্রির হাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ফলাফল প্রাপ্ত শিক্ষার্থী হিসেবে পদক গ্রহণ করেন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম। যিনি শুধু নিজের অনুষদের সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারীই নন, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী। 

বগুড়া সদরের আবু বক্কর সিদ্দিক ও মিসেস রুনা সিদ্দিকার দুই ছেলের মাঝে তিনি দ্বিতীয়। বাবা কৃষক ও মা স্কুল শিক্ষিকা। অর্জিত সম্মাননা মা-কে উৎসর্গ করতে চান রাফিউল। তিনি আরো জানান, বাবা মায়ের অবদানের জন্যই এতদূর আসা। বিশেষ করে মায়ের জন্যই এত ভালো ফলাফল করতে পেরেছেন। 

স্বর্ণপদক পাওয়ায় অনুভূতি জানতে চাইলে রাফিউল বলেন, ‘এই অনুভূতি ২-৪ শব্দে প্রকাশ করা যাবে না। নিজের মেধা-মনন দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ভালো ফলাফল অর্জন করার। নিজের বিশ্ববিদ্যালয় ও পরিবারকে প্রদর্শন করতে পেরেছি এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত না। দেশের প্রধানমন্ত্রির কাছ থেকে সম্মাননা অর্জন করা, এর চেয়ে বড় সম্মান আর নেই।’

রাফিউল

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বন্ধুসহ সকলের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রাফিউল বলেন, শিক্ষকগণ অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ এবং আন্তরিক। সব সময় যে কোনো ব্যাপারে তাদের পাশে পেয়েছি। তাই সবার কাছে দোয়া চান, যাতে ভবিষ্যতে পথ চলাটা আরো বেশি মসৃণ হয়।

রাফিউলের স্নাতকে অর্জিত ফলাফল ৩.৯৬০ ও স্নাতোকোত্তরে ৩.৯০। তিনি জানান, পরিশ্রম করতে হয় যে কোনো ক্ষেত্রেই। তাহলেই ভলো ফলাফল পাওয়া যায়।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে রাফিউল জানান, তার লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া। তাই সবার কাছে দোয়াপ্রার্থী।

স্বর্ণপদক নয়, চাকরি চাই

সোনালীনিউজ/এন

Link copied!