ঢাকা : গত ১৯ জুন সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন নিখিল-নুসরাত। ঘটা করে বিয়ে সেরে কলকাতায় ফিরেই অবশ্য নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সদ্য নির্বাচিত তারকা সাংসদ নুসরাত। দিল্লিতে গিয়ে শপথ নিয়েছেন। পাশাপাশি নিজের কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজেও ব্যস্ত ছিলেন নুসরাত। শেষমেশ গত ৪ জুলাই কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে রিসেপশনের আয়োজন করেছিলেন নবদম্পতি।
বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই রয়েছেন নুসরাত। পাকা গৃহিণীর মতো সুখে ঘরকন্না করছেন। নুসরাত রান্না করতে খুব ভালোবাসেন। মাঝেমধ্যেই তাই নিজের হাতে রেঁধে খাওয়াচ্ছেন নতুন পরিবারের সদস্যদের।
এছাড়া নিখিল-নুসরাতের নতুন ফ্ল্যাটের কাজও চলছে জোরকদমে। সেই কাজ শেষ হলেই নতুন করে সংসার পাতবেন দুই লভবার্ডস। সব মিলিয়ে নতুন সংসার চুটিয়ে উপভোগ করছেন এই তারকা দম্পতি। এত সুখের পরও নিজের পরিবারকে এখনো অনেক বেশি মিস করেন নুসরাত।
সম্প্রতি ভারতের এক সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নুসরাত বলেন, ঈশ্বরের নাম বলায় কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু কাউকে বলতে বাধ্য করায় সমস্যা আছে। ঈদে আমাকেও প্রায় হাজারজন ঈদ মোবারক না লিখে ‘জয় শ্রীরাম’ লিখে পাঠিয়েছেন। তবে আমি কোনো উত্তর দেইনি।
অভিনয় জগৎ থেকে নিজ দক্ষতায় রাজনীতির অঙ্গনে স্থান করেছেন অভিনেত্রী নুসরাত। যদিও কখনো কখনো তার রাজনীতির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রায় সময় বিতর্ক পিছু ছাড়ে না অভিনেত্রীর। বিয়ে করেও বেশ বিতর্কে ছিলেন তিনি। মুসলিম হয়ে কীভাবে বিয়ের পর মঙ্গলসূত্র, চূড়া, সিঁদুর পরেন সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন সমালোচকরা।
এ প্রসঙ্গে নিন্দুকদের জবাব দিয়ে তিনি বলেন, যখন পোশাক নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল আমি উত্তর দেইনি। আমার ভক্তদের অনেকেই আমার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লড়েছেন। সংসদে আমার সহকর্মীরা পাশে ছিলেন। সাংসদের বাইরে আমি একজন মানুষও। কী পরব, কী করব, কাকে বিয়ে করব তা নিয়ে নিজস্ব পছন্দ আছে।
রাজনীতির মাঠ কেমন লাগছে এমন প্রশ্নে নুসরাত বলেন, কখনো কখনো মনে হয় আমার রাজনীতিক হওয়ার কথা ছিল। প্রথম দিন সংসদে গিয়ে ভালোই লাগছিল। নতুন হিসেবে সবাই আমাকে সহযোগিতা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছেন। আমার দায়িত্ব অনেক বড়। আমি এখনো শিখছি ও অনুসরণ করছি।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :