ঢাকা: খাবার পর দাঁতে জমে থাকা খাবারের দ্বারা প্লাক এবং ক্যালকুলাস (পাথর) সৃষ্টি হয়, যার ফলে মাড়িতে প্রদাহ হয়। এসময় মাড়ি ফুলে যায় ও লালচে ভাব ধারণ করে।
এ সমস্যায় পরবর্তী সময়ে দাঁত ও চোয়ালের হাড়ও আক্রান্ত হয়। এরকম হলে দাঁত ব্রাশ করার সময় মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন কারণে মাড়ি থেকে রক্ত পড়তে পারে-
কারণ:-
নিয়মিত দাঁত পরিস্কার না করলে।
ডেনচার বা কৃত্রিম দাঁত ঠিকমত ফিট না হলে।
মাড়িতে ভাইরাল ও ফাংগাল ইনফেকশনের কারণে।
শক্ত ব্রিশেলযুক্ত ব্রাশ ব্যবহারের ফলে।
ভিটামিন-সি এর অভাবে।
বিভিন্ন তামাকজাত দ্রব্য ও পান শুপারী সেবনের ফলে।
রক্তের বিভিন্ন রোগ (যেমন- লিউকেমিয়া, হিমোফিলিয়া) এবং ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর এ ধরনের সমস্যা বেশী দেখা যায়।
মুখে আঁকা-বাঁকা দাঁতের কারণে।
মুখে ভাঙ্গা দাঁত থাকলে।
টুথপিক অথবা ম্যাচের কাঠি ব্যবহারের ফলে।
মানসিক চাপ বা ডিপ্রেশনের কারণেও এমন হতে পারে।
প্রতিকার:-
দাঁতে জমে থাকা খাবার বা প্লাক নিয়মিতভাবে পরিস্কার করতে হবে।
প্রতিদিন সকালে নাস্তার পরে এবং রাতে ঘুমানোর আগে ভালভাবে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
ডেনচার বা কৃত্রিম দাঁত ঠিকমত লাগানো না হলে, পুনরায় ডেন্টাল সার্জনের সাহায্য নিতে হবে।
নরম ব্রিশেলযুক্ত টুথব্রাশ ব্যবহার করতে হবে এবং তা প্রতি তিনমাস অন্তর-অন্তর পরিবর্তন করা উচিৎ।
ভাঙ্গা দাঁত বা আঁকা-বাঁকা দাঁত থাকলে অতিসত্তর এগুলোর চিকিৎসা করাতে হবে।
ভাইরাল বা ফাংগাল ইনফেকশন থাকলে পেরিওডন্টোলজিস্ট বা বিশেষজ্ঞ সার্জনের সাথে পরামর্শ করতে হবে।
তামাকজাত দ্রব্য ও পান-সুপারী বর্জন করতে হবে।
নিয়মিত ভিটামিন-সি যুক্ত এবং অন্যান্য তাজা ফল ও সাক-সবজি খেতে হবে।
ডায়াবেটিস, রক্তের বিভিন্ন রোগ, এনজাইটি, ডিপ্রেশন ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বছরে অন্তত একবার স্কেলিং (দাঁতের পাথর পরিস্কার) করতে হবে এবং প্রতি ছয় মাস অন্তর-অন্তর ডেন্টাল চেকআপ করাতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :