ঢাকা : ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে দিল্লিতে টানা সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত ১৪৮টি অভিযোগ করা হয়েছে পুলিশের কাছে এবং আটক হয়েছে ৬৩০ জন। এদিকে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও বর্তমানে পুলিশের তৎপরতার কথা উঠে আসছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাত পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। অথচ আগের দিন বৃহস্পতিবার নিহতের সংখ্যা ছিল ৩৮ জন। নিহত ৪৩ জনের মধ্যে গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং দিল্লি পুলিশের একজন কনস্টেবলও আছেন।
এঘটনায় আম আদমি পার্টির কাউন্সিলর তাহির হোসেনের দিকে কড়া নজর রেখেছিল দিল্লি পুলিশ। সহিংসতার পেছনে তারও হাত রয়েছে এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে হত্যার নেপথ্যে রয়েছেন বলে সন্দেহ রয়েছে পুলিশের। গত বুধবার ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তার দেহ নালা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ আরও কয়েকজনের দেহ নালা থেকে উদ্ধার করা হয়। দিল্লি পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের মধ্যে ২৬ জনের পরিচয় জানা গেছে। অন্যদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। তবে পরিচয় পাওয়াদের বেশিভাগই মুসলিম।
নিহতদের মধ্যে ১৩ জনের শরীরে গুলি লেগেছিল, ২২ জনের শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে। দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র মানদিপ সিং জানিয়েছেন, ফরেনসিক টিমকে ডাকা হয়েছে এবং ঘটনাস্থলগুলো পুনরায় পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। নিহতের ঘটনায় ২৫টি মামলা হয়েছে অস্ত্র আইনে। তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ এবং অন্যান্য প্রমাণাদি সংগ্রহ করছি।
সোনালীনিউজ/এএস
আপনার মতামত লিখুন :