শিক্ষার্থীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, শিক্ষিকাকে জেলে দিলেন বিচারক

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২১, ০৭:১৪ পিএম
শিক্ষার্থীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, শিক্ষিকাকে জেলে দিলেন বিচারক

ছবি : ইন্টারনেট

ঢাকা : ১৫ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে নিজের অনৈতিক বাসনা চরিতার্থ করতে ব্যবহার করেছেন ৩৫ বছর বয়সী শিক্ষিকা কেন্দিস বারবার। বৃটেনে ঘটনাটি বেশ আগের হলেও শুক্রবার (৬ মার্চ) এ অপরাধে তাকে ভর্ৎসনা করেছেন বিচারক। দিয়েছেন ৬ বছর দুই মাসের জেল। 

উল্লেখ্য, বারবারা ৩ সন্তানের মা। ওই শিক্ষার্থীর দাবি, তাকে অনৈতিক সম্পর্কে বাধ্য করানোর ফল হিসেবে তার জিসিএসই’র ফল খারাপ হয়েছে। 

এ খবর দিয়ে অনলাইন ডেইলি মেইল বলছে, ওই শিক্ষার্থীকে অনৈতিক সম্পর্কে বাধ্য করে তিনি তাকে সে ঘটনা অন্যদের কাছে প্রকাশ না করতে তাকে হুমকি দিয়েছিলেন। তবে এমন কোনো ঘটনা কখনো ঘটেনি বলে দাবি ওই শিক্ষিকার। অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে অ্যালিসবারি ক্রাউন কোর্টের বিচারক তাকে অভিযুক্ত করে ওই শাস্তি দেয়।

অভিযোগে বলা হয়, বারবার অপ্রাপ্ত বয়স্ক একটি বালককে (১৫) একটি ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে খড়ের গাদার ভিতর তাকে চুমু খেতে শুরু করে। বালকটির কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিসিয়ে জানতে চায়- এখন তোমার কি করতে ইচ্ছে করছে? এরপরই তার সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে ওই শিক্ষিকা। 

তিনি বাকিংহামশায়ারের ওয়েন্ডোভারের প্রিন্সেস রিসবরো স্কুলের সাপ্লাই শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি শুধু ওই বালকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন এমন নয়। একই সঙ্গে তার কাছে নিজের নগ্ন ছবিও পাঠিয়েছেন। পরে তাদের এসব গোপন কথা কারো কাছে প্রকাশ না করতে হুমকি দেয়।

আদালতে বারবারার আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন করেন যে, বারবারার উচ্চতা ৫ ফুট। এমন উচ্চতার একজন নারীর পক্ষে তার এত ছোট শিক্ষার্থীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব নয়। অন্যদিকে বিবাদী বারবারা দাবি করেন, তিনি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কাজ নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত থাকতেন। ফলে ছাত্রদের সঙ্গে ঘুমানোর মতো তার হাতে ছিল না। 

কিন্তু অ্যালিসবারি ক্রাউন কোর্টে রেকর্ডার বল ঢালিওয়াল তাকে জেল দিয়ে বলেছেন, তিনি আস্থার ভয়াবহ লঙ্ঘন করেছেন। তার ভাষায়- আপনার কাছে যে শিশুর দেখাশোনা করতে দেয়া হয়েছিল আপনি তার কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন। নিজের অনৈতিক লালসা মেটানোর জন্য তাকে উত্তেজিত করেছেন। স্কুলের শেষ বছরে ওই বালকের বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। তার ওপর আপনার কন্ট্রোল ও কর্তৃত্ব ছিল। এই সুযোগে তাকে আপনি নিজের শয্যাসঙ্গী করেছেন। এমনকি ঘটনা প্রকাশ না করতে তাকে আপনি হুমকি দিয়েছেন। আপনার অবস্থানগত কারণে তার ওর্প আপনার কার্যত নিয়ন্ত্রণ ছিল।

উল্লেখ্য, ওই ১৫ বছর বয়সী বালককে বারবারা শুধু যে নগ্ন ছবি পাঠিয়েছেন তা নয়। একই সঙ্গে পাঠিয়েছেন আপত্তিকর সব টেক্সট ম্যাসেজ। নিজে বিছানায় শুয়ে আছেন, আর তার চারপাশে সেক্সটয় ছড়িয়ে আছে- এমন ছবিও ওই বালককে পাঠিয়েছেন তিনি। এক পর্যায়ে নিজের টপলেস ছবি পাঠান।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Link copied!