‘নিউ ইয়ার’ পালন কি খুবই প্রয়োজন?

  • কামাল লোহানি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০১৮, ০৫:৩৪ পিএম
‘নিউ ইয়ার’ পালন কি খুবই প্রয়োজন?

ঢাকা : ইংরেজির আরও বছর চলে গেল। বাংলার মানুষের জীবনে বহু ঘাত-প্রতিঘাত, আনন্দ-উল্লাস আর ব্যর্থতা-বেদনার আঘাত-ক্ষতচিহ্ন রেখে গেল। হয়তো কোথাও সফলতা কিংবা উন্নয়নের আনন্দ ছোঁয়া দিয়ে গেল। সে কারণে ক্যালেন্ডারের পাতা শেষ গেছে কিন্তু জীবনযাত্রার গতি স্তব্ধ যায়নি। সেই গতি আবারও সঞ্চারিত হবে নতুন করে। অভ্যাসবশে দেয়ালে টাঙানো কিংবা টেবিলে রাখা ইংরেজি দিনপঞ্জির দিকে তাকিয়ে চলার পথের ঠিকানায় পৌঁছার দিনক্ষণ খুঁজতে থাকব। আবার বছর পেরিয়ে যাবে এবং নতুন বছর আসবে বঙ্গবাসীর জীবনে।

এই যে সুদীর্ঘকাল থেকে, প্রায় ২৬০ বছর ধরে আমরা, আমাদের পূর্ব পুরুষেরা এমনিভাবে দিন পঞ্জিকার বদলে প্রেগরীয়াণ পদ্ধতির ক্যালেন্ডারই মেনে চলেছি। প্রথমে বাধ্য হয়ে, পরে অভ্যস্ত গেছি। ব্রিটিশ বণিক শাসকগোষ্ঠী এ দেশ ছেড়ে চলে গেছে প্রায় ৭০ বছর। ভারত ভাগ আমরা পাকিস্তানি হলাম, আর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীকে বিতাড়িত করলাম সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে। সেও ৪৫ বছর পেরিয়ে গেল, তবু আমরা গ্রেগরীয়াণ ক্যালেন্ডারকেই অনুসরণ করে চলেছি।

আমাদের নিজস্ব ভাষা, হিসাব, দিনপঞ্জি সবই রয়েছে কিন্তু নেই কেবল ‘জাত্যাভিমান’, যাকে এ ক্ষেত্রে আমি ঐতিহ্য বলতে চাই। বঙ্গবাসী হিসেবে যা নিয়ে গৌরব করে গোটা বিশ্বে সে হল আমার মাতৃভাষা। যার জন্য অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিতেও কোনো দ্বিধা বা কার্পণ্য করিনি। সে ইতিহাস রচনা করেও আমরা দাস-মনোবৃত্তি ত্যাগ করতে পারিনি। জানি, বিশ্ববাজার, পররাষ্ট্র-সম্পর্ক বজায় রাখতে ইংরেজি ভাষা ও ক্যালেন্ডার মেনে চলতে হবে। আন্তর্জাতিক প্রয়োজনে হয়তো আমরা গ্রেগরীয়াণ ক্যালেন্ডার অনুসরণ করতে পারি।

অথচ ইংরেজ রীতি ভেঙে সাপ্তাহিক ছুটির দিন রবিবারকে অমান্য করে শুক্রবারকে মেনে নিয়েছি, কারণ আমরা মুসলমান বনে গেছি সবাই। জুমার দিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন ধার্য করেছি ধর্মনিরপেক্ষতার মূলমন্ত্র জাতির সংবিধানে ধারণ করেও। স্বকীয়তা অন্তত দেশের অভ্যন্তরে তো ব্যবহৃত হতে পারত।

শুক্রবার যদি সাপ্তাহিক ছুটির দিন মেনে নিয়েও আন্তর্জাতিক সব ক্ষেত্রে নানাবিধ ব্যবসা-বাণিজ্য, লেনদেন, যাওয়া-আসা সবকিছু ঠিক থাকে; তাহলে বছরটা কেন বাংলা হবে না? এতে আপত্তি কোথায়? ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী যেসব দিবসে যেমন- স্বাধীনতা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি, ষোলই ডিসেম্বর তো পালন করতেই পারি। এর বাংলা সংস্করণ কেন হবে না বর্ষ-দিন গণনায়? পদ্ধতি প্রত্যাখ্যান করে অন্তত দেশ অভ্যন্তরে বাংলাকে অনুসরণ ও প্রচলন করতে পারব না?

আমাদের জীবন-সংগ্রামের বহু বছর আমরা যেহেতু ইংরেজ বণিক শাসনে কাটিয়েছি তাই আমরা তো গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহারে অভ্যস্ত গিয়েছিলাম। ইংরেজরা হিন্দু-মুসলমান ধর্মের ভিত্তিতে যখন ভারতকে ভাগ করে দিয়ে বিরোধপূর্ণ মানসিকতার পত্তন করে দিয়ে গেল, তখন কিন্তু ইসলাম ধর্মকে প্রাধান্য দিলেও বর্ষ গণনাকে পরিবর্তন করতে পারল না। হিজরি সনও অব্যাহত রাখল পাকিস্তানি জমানায়ও আমরা ইংরেজ প্রভুদের দিয়ে যাওয়া দিনপঞ্জি সাধারণ ছুটির দিন মেনে নিলাম, অনেকটা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও ব্যবসা-বাণিজ্য অব্যাহত রাখার প্রয়োজনে। পাল্টাতে সাহস পেল না।

সেই পাকিস্তানি সাম্প্রদায়িক মনোভাবের পরিবর্তন না হলেও বাংলার মানুষকে করতলগত করতে যখন পূর্ববাংলাকে উপেক্ষা করে রাষ্ট্র ভাষা উর্দু করতে চইল তরুণ ছাত্রসমাজ প্রতিরোধের আগুন জ্বেলে আমাদের চোখ খুলে দিলেন। প্রাণ দিলেন তবু মাতৃভাষা বাংলার অমর্যাদাকে রুখে দিলেই তো আমাদের মুক্তিসংগ্রামের সোপানের পত্তন হল।

সেই রক্তাক্ত পথ ধরে বহু চড়াই-উৎরাই-সংগ্রাম-বিদ্রোহের আবহে জমে ওঠা অযুত বঞ্চনা, অবহেলা-শোষণ-পীড়নের বিরুদ্ধে ক্ষোভ-ক্রোধ অবশেষে বিস্ফোরণ ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত মাতৃভ‚মিকে পুনরুদ্ধার করলাম কিন্তু আজ ৪৫ বছর পেরিয়ে গেলাম, আজও বাংলাকে সঠিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারলাম না।

অথচ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে কোনো ভাষার প্রতি আমাদের বিরোধিতা ছিল না, আমরা কেবল দাবি করেছিলাম, বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করতে কারণ পাকিস্তানে পূর্ববাংলার জনসংখ্যা ছিল পশ্চিম অনেক বেশি। আমরা সব আঞ্চলিক ভাষার সমান মর্যাদা চেয়েছিলাম। তৃতীয় প্রধান দাবি ছিল। সর্বস্তরে বাংলাকে প্রচলনের।

পাকিস্তানি অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ স্বাধিকার অবশেষে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বদেশ ভূমিকে পুনরুদ্ধার করলাম পাকিস্তানিদের হাত কিন্তু আজও বাংলাকে সর্বস্তরে তো প্রতিষ্ঠা দূরের কথা, দেখছি বাংলাকে ইংরেজি আর অন্য ভিনদেশী ভাষা গ্রাস করে নিচ্ছে। ফলে আমরা মুক্তিযোদ্ধা লাখো শহীদের রক্তোৎপল বাংলাদেশে ও বাংলা একমাত্র রাষ্ট্রভাষা সাংবিধানিকভাবে গ্রাহ্য হলেও রাষ্ট্রে ও সমাজে বাংলাভাষাকে ক্রমশ অবমাননার সম্মুখীন করে চলেছি। কোনো প্রতিরোধ নেই, তাজ্জব। তাই বাংলার জন্য সংগ্রামকে একুশে ফেব্রুয়ারি আজ বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

কিন্তু আমরাই বাংলার মানুষ, যাদের ৬৪ বছর পরেও ইংরেজি তাড়িয়ে বেড়াছে। নিজ অবস্থান আজ কলুষিত হচ্ছে ইংরেজির প্রধান্যের কারণে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। কথায় কথায় মন্তব্যে-বক্তৃতায় বলছি ভাষাসংগ্রাম আমাদের মুক্তিসংগ্রামের সূচনাকাল। অথচ সেই মাতৃভাষা আজ কলংকিত হচ্ছে নানাভাবে, তাকে আমরা নির্বিবাদে সহ্য করে তো যাচ্ছিই আবার বাংলা বর্ষপঞ্জি- যার ইতিহাস হাজার বছরের, তাকেও প্রত্যাখ্যান করছি ইংরেজির কাছে। তাই তো দেখি বাংলার মাটিতে আজও ইংরেজি বর্ষ উদযাপনের প্রবল আয়োজন-লক্ষণীয়, কেন বাংলা নববর্ষই জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পরই এমন ধুম ধাড়াক্কা ইংরেজি নিউইয়ারে?

আগেই বলেছি, আমরা যে কোন ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল কিন্তু নিজস্ব ঐতিহ্য পূর্বপুরুষের ইতিহাস বিসর্জন দিয়ে নয়। আমার নয় কেবল সব সচেতন মানুষেরই কামনা, ইংরেজি ক্যালেন্ডার আন্তর্জাতিক বিষয়, ব্যবসা-বাণিজ্য, পররাষ্ট্র সম্পর্ক ইত্যাদির জন্য অবশ্যই প্রয়োজন এবং চালু থাকতে পারে। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে হীনমন্যতা ত্যাগ করে আমরা কেন বাংলা বর্ষপঞ্জি ব্যবহার করতে পারব না। এত রাষ্ট্র এবং সরকারের সিদ্ধান্ত এবং মাতৃভক্তির বিষয়। সন্তান মায়ের প্রতি এত অবমাননা কেন করেই চলেছি জানি না। কিন্তু এটা জানি আমরা বাংলার মানুষ-বাংলায় কথা বলি এবং মুক্তিযুদ্ধে অগণিত মানুষের প্রাণের বিনিময়ে সশস্ত্র যুদ্ধে দেশমাতৃকাকে পাকিস্তানি দস্যু-দানবের হাত রক্ষা করেছি।

এখনও যখন প্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার চালু আছে প্রধানত, তখন গণমাধ্যমগুলোও ঐ উটকো মনেববৃত্তি ত্যাগ করতে পারেননি। কারণ আমি বলব, রাষ্ট্রের কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই বলি, ইংরেজি একটা বছর, ২০১৬ চলে গেল কত না দুঃখ-কষ্ট, আনন্দ-বেদনার স্মৃতি রেখে। আমরা কি আগুনে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার উৎসব যে করেছিল দেশের তথাকথিত বিরোধী দল- জামায়াতের দোস্ত বিএনপি? আমরা কি ভুলতে পারি হলি আর্টিজনের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের কথা?

জঙ্গিদের অভিমত উত্থানের কথা। ভাবতে পারি কি, কতটা ভয়াবহ ছিল দিনগুলো। সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, তাই এই অপতৎপরতা বন্ধ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু হেফাজত-জামায়াতের উত্থানকে নিষিদ্ধ না করে তাদের কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রশ্রয় দেয়ার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে, যা জনগণ গ্রহণ করতে পারেনি। হ্যাঁ- শুধু প্রশংসা আর ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতাই জানায়নি সাধারণ মানুষ, ওই মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে দমন করতে।

আবার এই সরকারই যুদ্ধাপরাধীদের সাহসী বিচারের মাধ্যমে শীর্ষ হন্তারক জামায়াত ও রাজাকারদের ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। এত কম অর্জন নয়, দেশবাসীর অর্জন অনন্য। সরকারকে কৃতজ্ঞতা। কিন্তু যারা আমাদের ভাই-বোন, মা-বাবাদের নির্বিচারে হত্যা করেছে লাখে লাখে, তাদের বিচার হচ্ছে হোক কিন্তু এসব ঢিমেতেতালে কেন?

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের অর্থায়নে হচ্ছে, বিশ্বব্যাংককে চপেটাঘাত, কম কথা নয়। আবার বিশ্বব্যাংক কর্তারা এসে বাংলাকে তোষামোদ করায় আমরা গলেও গিয়েছি, কেন? এমন অনেক অর্জন আছে আমাদের। উন্নয়নের মাত্রা নিত্যই জনগণকেও উৎসাহিত করছে। কিন্তু রামপাল, সুন্দরবন, নাসিরনগর, গোবিন্দগঞ্জ, দেশবাসীকে ক্ষুব্ধ হতে দেখি সরকারি ব্যর্থতায় এবং সরকার পক্ষীয় লোকজনের এসব কুকীর্তির সঙ্গে যুক্ত থাকায়। কেন সরকার দলে জামায়াতের অনুপ্রবেশকে উৎসাহিত করছে, এটা জনগণের প্রশ্ন। এমন অগ্রগতির খবর অনেক।

গত বছরটা গেছে দুঃখের, কারণ কোনো হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়নি। ব্লগার হত্যা, পহেলা বৈশাখের উচ্ছৃংখলতা, আরও অনেক কিছুর। জামায়াত আজও সচল বিএনপির মধ্যে তো বটেই এমনকি এরা ক্রমশ আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করছে।

ক্রীড়া ক্ষেত্রে জয়যাত্রা অব্যাহত ছিল। এখনও কিছু কিছু ক্ষেত্রে আছে। সংস্কৃতির জগতে অসম্ভব দায়িত্বহীনতার প্রবল স্বাক্ষর। প্রতিবাদের সাহসের অভাব। দুঃসহ-যন্ত্রণাদায়ক। টিভি একটার পর একটা অনুমতি পাচ্ছে। কিন্তু মানের মাত্রা ক্রমশ নামছে। এত টিভি কেন? ইদানীং টিভি মালিকরা বিদেশী ফিল্ম আর বিদেশী চ্যানেল দেখানোর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। সত্যিই তো ভারতীয় বাংলা-হিন্দি-সিরিয়ালে কী কুৎসিত কাহিনী, অনাকাক্সিক্ষত মারপিট। এগুলো দেখিয়ে দেশে কলহ, সংঘাত ইত্যাদির প্রসার ঘটাচ্ছে। সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অথচ বাংলাদেশের চ্যানেল ওরা দেখায় না। ইদানীং শিল্পী-কলাকুশলীরাও প্রতিবাদে মাঠে নেমেছেন।

গার্মেন্ট শ্রমিকদের দুর্দশা আর মালিকদের ঔদ্ধত্য, সরকারের বৈরি আচরণ সব মিলিয়ে যে খাত প্রধান উপার্জন বিদেশী মুদ্রা, তাদের ব্যবহার করছে বিজেএমইএ। তবু সরকার মজুরি বাড়ানোর কথা বিবেচনা করতে বলছে না বা নিজেরাও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। দেড় লাখ শ্রমিককে বেকার বানানোর চক্রান্তে মিলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে আবার খুলেছে। কনসাইনমেন্টের যে ক্ষতি হবে! বন্ধ করে ছিল, আগের শ্রমিকদের বিতাড়িত করে নতুন শ্রমিক কম বেতনে নেয়ার সুযোগ নিতেই বোধহয়। কী নির্মম! মালিকদের ভোগ-বিলাসী জীবনে জৌলুস তো এই মেহনতী গরিব মানুষগুলোর পেটে লাথি মেরেই।

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বহুদিন বাদে সম্মেলন হল। সৈয়দ আশরাফের স্থলাভিসিক্ত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপিও তাদের সম্মেলন করেছে, সাম্যবাদী দল কংগ্রেস অনুষ্ঠান করেছে। দেশের বৃহত্তম সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী ২৩ নভেম্বর তাদের দেড় হাজার প্রতিনিধি নিয়ে মানুষের ঐক্য দানবের দম্ভ ভাঙতেও স্লোগান নিয়ে ২০তম জাতীয় সম্মেলন করল। উদীচী একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশের একমাত্র সংগঠন।

ফিদেল ক্যাস্ত্রো বলেছিলেন- I will die when America will destroy সে ধ্বংসের সূচনা হয়েছে অরাজনৈতিক জুয়া ব্যবসার অধিপতি ট্র্যাম্প আসায়। তবু বলব ট্র্যাম্পের মতন যুদ্ধবাজ ধর্ষক, নানা বিদেশী অথচ বহুবিবাহে অভ্যস্ত মানুষের উত্থানে আমেরিকা ভয়ংকর এক পরিণতির দিকে চলেছে, তাই এখন দৃশ্যমান। এ আমেরিকা আমাদের বন্ধু হবে কি করে ওদের ওপর। নির্ভর করলে শেষে পস্তাতে হবে।

লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!