ঢাকা: বিএনপির কোনো নেতাই হয়তো ‘কেএম হাসান’কে নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির প্রধান করার প্রস্তাবের কথা আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদককে জানিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত জুলিয়া নিব্লেটের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বিএনপি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সার্চ সমিটির প্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি ‘কেএম হাসান’-এর নাম প্রস্তাব করেছে। তা জানতে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে রাষ্ট্রপতির কাছে বা বঙ্গভবনে যেতে হবে না। বিএনপির মধ্যে অনেক নেতাই আছেন যারা এ বিষয়টি তাকে জানিয়েছেন। বিএনপি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে নিজেদের দলের মধ্যে নিশ্চয়ই আলাপ-আলোচনা করেছিল। সেই আলোচনায় উপস্থিত থাকা যে কেউ হয়তো বিষয়টি আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদককে জানিয়েছেন।’
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের যে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, তা কিন্তু ‘জোরাল’ নয়। বিএনপি যে ‘কেএম হাসান’-এর নাম প্রস্তাব করেনি, সে বিষয়টি ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরাসরি অস্বীকার বা প্রত্যাহারও করেননি, তার প্রতিবাদের ভাষা অত্যন্ত দুর্বল। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক একজন দক্ষ নেতা।’
তিনি আরো বলেন, ‘অসত্য তথ্য প্রত্যাখান করারও একটা ভাষা আছে। ফখরুল ইসলামের প্রত্যাখানের ভাষা সে ধরনের ছিল না। আমরা আমাদের দলের তরফ থেকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য পৃথক আইন করার কথা বলেছি। আমরা কারও নাম প্রস্তাব করিনি, নাম প্রস্তাব করার প্রশ্নই ওঠে না।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি একজন দক্ষ, সৎ ও বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তার প্রতি আমাদের বিশ্বাস ও আস্থা আছে। তিনি অবশ্যই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে সার্চ কমিটি ও পরে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।’
এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এর আগে জাতি সাবেক প্রধান বিচারপতি ‘কেএম হাসান’কে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবেই মানেনি। কিন্তু বিএনপি তার নামই নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করল কীভাবে?’
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন
আপনার মতামত লিখুন :