ঢাকা: বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখায় ‘জেসিআই বাংলাদেশ শান্তি সম্ভব অ্যাওয়ার্ড- ২০১৭’ পেলেন বেসরকারি সংস্থা ডরপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম নোমান।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রাজধানীর গুলশানের স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে এ এইচ এম নোমান এ সম্মাননা গ্রহণ করেন।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ডরপের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রাজধানীর গুলশানের স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে ডরপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম নোমান এ সম্মননা গ্রহণ করেন।
ডরপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ব শান্তি দিবস উপলক্ষে বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্ব স্ব দেশে টেকসই পদ্ধতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখায় আন্তর্জাতিকভাবে জেসিআই এ সম্মাননা দিয়ে থাকে। এ বছর বাংলাদেশে এ সম্মাননা পান নোমানসহ মোট নয়জন ।
১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে লাখ লাখ লোকের প্রাণহানিতে ‘ধ্বংস থেকে সৃষ্টি’র স্লোগান নিয়ে রামগতি তথা বৃহত্তর নোয়াখালীতে ত্রাণ, পুনর্বাসন, পুনর্গঠন, উন্নয়ন ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে কাজ শুরু করেন এ এইচ এম নোমান। এখনও পর্যন্ত তিনি দারিদ্র্য বিমোচন কাজে নিয়োজিত আছেন।
ডরপের মাধ্যমে গরিব মায়েদের জন্য ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’ প্রদান কার্যক্রমের উদ্ভাবক ও অনুশীলক তিনি, সারা দেশে যা বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার। এছাড়া তিনি ২০ বছর এক প্রজন্ম মেয়াদে দারিদ্র্য বিমোচনে মাতৃত্বকালীন ভাতাকেন্দ্রিক ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কার্যক্রমের উদ্যোক্তা। এ কর্মসূচিটিও সরকার পাইলট আকারে বাস্তবায়ন করেছে।
দরিদ্র মায়েদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় সামাজিক বিনিয়োগ করে ‘পাবলিক পুয়র প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপিপি) মাধ্যমে ‘মা সংসদ’ প্লাটফরম পাইলট বাস্তবায়নকারী। এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করায় ইতিমধ্যে তিনি ‘মাতৃবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। তিনি ‘সার্বজনীন ব্যবস্থাপনা নির্বাচন পরিষদ’ ও ‘স্বাস্থ্যগ্রাম’ কার্যক্রমের প্রবক্তা।
এ এইচ এম নোমান ‘দারিদ্র্য বিমোচন ও মানবহিতৈষী’ কাজে অবদান রাখায় বাংলাদেশে প্রথম ‘গুসি পিস প্রাইজ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ২০১৩’ লাভ করেন।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থি ছিলেন বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট সেলিমা আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নর্দান ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
ইরফান হক ও ইসমত জাহানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, জেসিআই বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আশফাকুর রহমান, জেসিআই নর্থের লিগ্যাল কাউন্সিলর কানিজ ফাতেমাসহ উপদেষ্টা ও জাতীয় পরিষদের সদস্যরা।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম
আপনার মতামত লিখুন :